জুলাই-অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দেবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে এ আদেশের দিন ধার্য করেন।
আদালত অভিযোগ গঠন করলে মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হবে—এটাই হবে তার বিরুদ্ধে প্রথম কোনো এমন মামলা।
তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনে শেখ হাসিনাকে ‘মাস্টারমাইন্ড’, ‘হুকুমদাতা’ ও ‘সুপিরিয়র কমান্ডার’ হিসেবে উল্লেখ করে মানবতাবিরোধী পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—উসকানি, রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহারে নির্দেশ, হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, লাশ পুড়িয়ে ফেলা ও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করার মতো অপরাধ।
প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, ১৪ জুলাইয়ের একটি প্রেস কনফারেন্সে শেখ হাসিনা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে আখ্যা দিয়ে সহিংসতার পরিবেশ তৈরি করেন। পরে সেনা, পুলিশ ও দলীয় বাহিনী দিয়ে দমন-পীড়ন চালানো হয়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার এই বিচার কার্যক্রম শুরু করে। ১ জুন আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
ট্রাইব্যুনালের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই সময় প্রায় দেড় হাজার মানুষকে হত্যা, ২৫ হাজারকে গুলি করে আহত, নির্দিষ্টভাবে শিশু হত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
জুলাই-অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দেবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে এ আদেশের দিন ধার্য করেন।
আদালত অভিযোগ গঠন করলে মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হবে—এটাই হবে তার বিরুদ্ধে প্রথম কোনো এমন মামলা।
তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনে শেখ হাসিনাকে ‘মাস্টারমাইন্ড’, ‘হুকুমদাতা’ ও ‘সুপিরিয়র কমান্ডার’ হিসেবে উল্লেখ করে মানবতাবিরোধী পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—উসকানি, রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহারে নির্দেশ, হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, লাশ পুড়িয়ে ফেলা ও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করার মতো অপরাধ।
প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, ১৪ জুলাইয়ের একটি প্রেস কনফারেন্সে শেখ হাসিনা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে আখ্যা দিয়ে সহিংসতার পরিবেশ তৈরি করেন। পরে সেনা, পুলিশ ও দলীয় বাহিনী দিয়ে দমন-পীড়ন চালানো হয়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার এই বিচার কার্যক্রম শুরু করে। ১ জুন আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
ট্রাইব্যুনালের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই সময় প্রায় দেড় হাজার মানুষকে হত্যা, ২৫ হাজারকে গুলি করে আহত, নির্দিষ্টভাবে শিশু হত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।