ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যার পর মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
একইসঙ্গে মামলার ৮ জন পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের-২ চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
এর আগে, গত ১৩ আগস্ট মামলার রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের প্রাথমিক শুনানি শেষে আজ অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৪ ও ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ধারাবাহিকভাবে সংঘটিত হয় একাধিক হত্যাকা-।
৪ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনেই একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন ৫ আগস্ট পাঁচজনকে হত্যা করে তাদের মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এ সময় আরও একজন আহত অবস্থায় আগুনে ফেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগও আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।
ঘটনার প্রায় এক মাস পর, অর্থাৎ ১১ সেপ্টেম্বর, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার অভিযোগের সঙ্গে দাখিল করা হয়েছে ৩১৩ পৃষ্ঠার বিশ্লেষণধর্মী বিবরণ, ৬২ জন সাক্ষীর নাম ও সাক্ষ্য, ১৬৮ পৃষ্ঠার দালিলিক প্রমাণ, এবং দুটি পেনড্রাইভ যেখানে ঘটনার সময়কার বিভিন্ন ভিডিও ও অন্যান্য ডিজিটাল উপাত্ত রয়েছে।
প্রসিকিউশন বলছে, হত্যার এ ঘটনাগুলো ছিল পূর্বপরিকল্পিত ও নৃশংস। নিহতদের পরিচয়, হত্যার ধরন, সময় এবং স্থান বিশ্লেষণ করে এটিকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিচারযোগ্য বলে মত দিয়েছে তারা।
মামলায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, তাদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম ছাড়াও আরও ১৫ জন রয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে আটজন এখনও পলাতক রয়েছেন বলে আদালতকে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। ট্রাইব্যুনাল এদিন তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মরদেহ পোড়ানোর মামলায় রাজসাক্ষী হতে আবেদন করেছেন পুলিশ সদস্য শেখ আফজালুল হক। তিনি এ মামলার আসামি ও আশুলিয়া থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫
আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যার পর মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
একইসঙ্গে মামলার ৮ জন পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের-২ চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
এর আগে, গত ১৩ আগস্ট মামলার রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের প্রাথমিক শুনানি শেষে আজ অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৪ ও ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ধারাবাহিকভাবে সংঘটিত হয় একাধিক হত্যাকা-।
৪ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনেই একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন ৫ আগস্ট পাঁচজনকে হত্যা করে তাদের মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এ সময় আরও একজন আহত অবস্থায় আগুনে ফেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগও আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।
ঘটনার প্রায় এক মাস পর, অর্থাৎ ১১ সেপ্টেম্বর, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার অভিযোগের সঙ্গে দাখিল করা হয়েছে ৩১৩ পৃষ্ঠার বিশ্লেষণধর্মী বিবরণ, ৬২ জন সাক্ষীর নাম ও সাক্ষ্য, ১৬৮ পৃষ্ঠার দালিলিক প্রমাণ, এবং দুটি পেনড্রাইভ যেখানে ঘটনার সময়কার বিভিন্ন ভিডিও ও অন্যান্য ডিজিটাল উপাত্ত রয়েছে।
প্রসিকিউশন বলছে, হত্যার এ ঘটনাগুলো ছিল পূর্বপরিকল্পিত ও নৃশংস। নিহতদের পরিচয়, হত্যার ধরন, সময় এবং স্থান বিশ্লেষণ করে এটিকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিচারযোগ্য বলে মত দিয়েছে তারা।
মামলায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, তাদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম ছাড়াও আরও ১৫ জন রয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে আটজন এখনও পলাতক রয়েছেন বলে আদালতকে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। ট্রাইব্যুনাল এদিন তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মরদেহ পোড়ানোর মামলায় রাজসাক্ষী হতে আবেদন করেছেন পুলিশ সদস্য শেখ আফজালুল হক। তিনি এ মামলার আসামি ও আশুলিয়া থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক।