২৩টি রাজনৈতিক দল জুলাই জাতীয় সনদের সমন্বিত খসড়া বিষয়ে এখন পর্যন্ত লিখিত মতামত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দিয়েছে। এসব দলের মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণফোরাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও বাংলাদেশ জাসদসহ বড় ও ছোট নানা দল রয়েছে।
আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ঐকমত্য কমিশনের জনসংযোগ দপ্তর এসব তথ্য জানিয়েছে। তাদের দেওয়া এই তালিকায় জামায়াতে ইসলামীর নাম থাকলেও দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘জামায়াত আগামীকাল কমিশনকে তাদের মতামত দেবে।’
মতামত জমা দেওয়া অন্য দলগুলোর মধ্যে রয়েছে এলডিপি, খেলাফত মজলিস, এবি পার্টি, এনডিএম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জেএসডি, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২-দলীয় জোট, আমজনতার দল, জাতীয় গণফ্রন্ট, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, জাকের পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি।
গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার আনার উদ্যোগ নেয়। প্রথম ধাপে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের ৮৪টি প্রস্তাবের ভিত্তিতে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ নামে দলিল তৈরির কাজ চলছে। গত ২৯ জুলাই রাজনৈতিক দলগুলোকে এই সনদের প্রথম খসড়া দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এরপর দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে তৈরি করা হয় ‘সমন্বিত খসড়া’, যা গত শনিবার দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়।
প্রথম খসড়ায় বলা হয়েছিল, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করবে দলগুলো। এ বিষয়ে বিএনপি একমত হলেও জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও আরও কিছু দল আপত্তি জানায়। তারা সনদকে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনা এবং বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণের দাবি তোলে। পরে সংশোধিত খসড়ায় অঙ্গীকারের ভাষায় পরিবর্তন আনা হয়।
অন্যদিকে সনদ বা সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। পরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও এ নিয়ে আলোচনা হবে।
বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এখনো জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে মতামত জমা দেয়নি। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), নাগরিক ঐক্য, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণ অধিকার পরিষদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও ইসলামী ঐক্যজোট।
শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
২৩টি রাজনৈতিক দল জুলাই জাতীয় সনদের সমন্বিত খসড়া বিষয়ে এখন পর্যন্ত লিখিত মতামত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দিয়েছে। এসব দলের মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণফোরাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও বাংলাদেশ জাসদসহ বড় ও ছোট নানা দল রয়েছে।
আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ঐকমত্য কমিশনের জনসংযোগ দপ্তর এসব তথ্য জানিয়েছে। তাদের দেওয়া এই তালিকায় জামায়াতে ইসলামীর নাম থাকলেও দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘জামায়াত আগামীকাল কমিশনকে তাদের মতামত দেবে।’
মতামত জমা দেওয়া অন্য দলগুলোর মধ্যে রয়েছে এলডিপি, খেলাফত মজলিস, এবি পার্টি, এনডিএম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জেএসডি, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২-দলীয় জোট, আমজনতার দল, জাতীয় গণফ্রন্ট, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, জাকের পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি।
গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার আনার উদ্যোগ নেয়। প্রথম ধাপে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের ৮৪টি প্রস্তাবের ভিত্তিতে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ নামে দলিল তৈরির কাজ চলছে। গত ২৯ জুলাই রাজনৈতিক দলগুলোকে এই সনদের প্রথম খসড়া দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এরপর দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে তৈরি করা হয় ‘সমন্বিত খসড়া’, যা গত শনিবার দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়।
প্রথম খসড়ায় বলা হয়েছিল, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করবে দলগুলো। এ বিষয়ে বিএনপি একমত হলেও জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও আরও কিছু দল আপত্তি জানায়। তারা সনদকে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনা এবং বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণের দাবি তোলে। পরে সংশোধিত খসড়ায় অঙ্গীকারের ভাষায় পরিবর্তন আনা হয়।
অন্যদিকে সনদ বা সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। পরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও এ নিয়ে আলোচনা হবে।
বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এখনো জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে মতামত জমা দেয়নি। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), নাগরিক ঐক্য, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণ অধিকার পরিষদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও ইসলামী ঐক্যজোট।