বাংলাদেশে সংক্রমিত করোনা ভাইরাসের ৩০৪টি জিনোম সিকোয়েন্স ডেটা গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা (জিআইএসএআইডি) প্রতিষ্ঠানে জমা করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)। করোনার ভ্যাকসিন আবিস্কারের ক্ষেত্রে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকার থাকায় এসব ডাটা পেয়ে বাংলাদেশ এবং বিসিএসআইআরের প্রশংসা করেছে জিআইএসআইডি। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে দ্রুত গতিতে জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করায় স্বল্প সুবিধা সম্পন্ন দেশ- বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং সুরিনামের প্রশংসা করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএন।
বুধবার দুপুরে রাজধানীতে বিসিএসআইআরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আফতাব আলী শেখ।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের নির্দেশনায় গঠিত গবেষক দলকে ডাটা বিশ্লেষণে সাইটেক কনসালটিং অ্যান্ড সল্যুশন লিমিটেড, যুক্তরাজ্য শাখার সিনিয়র কনসালটেন্ট ড. সমীর উজ্জামান সমীর এবং অস্ট্রেলিয়া শাখার সিনিয়র কনসালটেন্ট ইশরার ওসমান বিশেষভাবে সহায়তা করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে গবেষক দলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো সেলিম খানের নেতৃত্বে সহযোগী গবেষকদের মধ্যে ড. মো. আহসান হাবীব, ড. শাহীনা আক্তার, ড. তানজিনা আখতার বানু, ড. মুরশেদ হাসান সরকার, বর্ণা গোস্বামী, ইফফাত জাহান এবং মো. সাদ্দাম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
‘বিসিএসআইআর-জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির কোভিড-১৯ গবেষণার অগ্রগতি ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ শীর্ষক ওই সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির লিখিত বক্তব্যে বিসিএসআইআর’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আফতাব আলী শেখ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে অত্যাধুনিক জিনোমিক গবেষণাগার স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা জিআইএসএআইডিতে এখন পর্যন্ত ৩০৪টি সিকোয়েন্স জমা দিয়েছি। এর মধ্যে পাঁচ থেকে ছয়টি আলাদা বৈশিষ্ট্যের ভাইরাস পাওয়া গেছে। এখনো ‘কনক্লুশন’ করা হয়নি। হলে সবাইকে জানানো হবে।” ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন এন্ড রেফারাল সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক এ কে এম সামসুজ্জামান ও তার গবেষক দল এ গবেষণা কাজে নমুনা সরবরাহ করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৯ সেপ্টেম্বর দেশে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) জিনোম সিকোয়েন্সে আটটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য পাওয়া গেছে বলে জানায় বিসিএসআইআর। ওই দিন তারা ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন (এনসিবিআই) এবং জিএসএআইডিতে ১৭১টি জিনোম সিকোয়েন্সিং ডাটা জমা দেওয়ার কথা জানায়। পরবর্তিতে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় কোভিড-১৯ এর জিনগত বৈচিত্র পর্যবেক্ষণ করার জন্য সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের সর্বমোট ২৬৩টি জিনোম সিকোয়েন্সিং ও ডাটা বিশ্লেষণ করে জিএসএআইডিতে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১
বাংলাদেশে সংক্রমিত করোনা ভাইরাসের ৩০৪টি জিনোম সিকোয়েন্স ডেটা গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা (জিআইএসএআইডি) প্রতিষ্ঠানে জমা করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)। করোনার ভ্যাকসিন আবিস্কারের ক্ষেত্রে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকার থাকায় এসব ডাটা পেয়ে বাংলাদেশ এবং বিসিএসআইআরের প্রশংসা করেছে জিআইএসআইডি। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে দ্রুত গতিতে জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করায় স্বল্প সুবিধা সম্পন্ন দেশ- বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং সুরিনামের প্রশংসা করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএন।
বুধবার দুপুরে রাজধানীতে বিসিএসআইআরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আফতাব আলী শেখ।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের নির্দেশনায় গঠিত গবেষক দলকে ডাটা বিশ্লেষণে সাইটেক কনসালটিং অ্যান্ড সল্যুশন লিমিটেড, যুক্তরাজ্য শাখার সিনিয়র কনসালটেন্ট ড. সমীর উজ্জামান সমীর এবং অস্ট্রেলিয়া শাখার সিনিয়র কনসালটেন্ট ইশরার ওসমান বিশেষভাবে সহায়তা করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে গবেষক দলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো সেলিম খানের নেতৃত্বে সহযোগী গবেষকদের মধ্যে ড. মো. আহসান হাবীব, ড. শাহীনা আক্তার, ড. তানজিনা আখতার বানু, ড. মুরশেদ হাসান সরকার, বর্ণা গোস্বামী, ইফফাত জাহান এবং মো. সাদ্দাম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
‘বিসিএসআইআর-জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির কোভিড-১৯ গবেষণার অগ্রগতি ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ শীর্ষক ওই সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির লিখিত বক্তব্যে বিসিএসআইআর’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আফতাব আলী শেখ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে অত্যাধুনিক জিনোমিক গবেষণাগার স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা জিআইএসএআইডিতে এখন পর্যন্ত ৩০৪টি সিকোয়েন্স জমা দিয়েছি। এর মধ্যে পাঁচ থেকে ছয়টি আলাদা বৈশিষ্ট্যের ভাইরাস পাওয়া গেছে। এখনো ‘কনক্লুশন’ করা হয়নি। হলে সবাইকে জানানো হবে।” ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন এন্ড রেফারাল সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক এ কে এম সামসুজ্জামান ও তার গবেষক দল এ গবেষণা কাজে নমুনা সরবরাহ করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৯ সেপ্টেম্বর দেশে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) জিনোম সিকোয়েন্সে আটটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য পাওয়া গেছে বলে জানায় বিসিএসআইআর। ওই দিন তারা ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন (এনসিবিআই) এবং জিএসএআইডিতে ১৭১টি জিনোম সিকোয়েন্সিং ডাটা জমা দেওয়ার কথা জানায়। পরবর্তিতে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় কোভিড-১৯ এর জিনগত বৈচিত্র পর্যবেক্ষণ করার জন্য সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের সর্বমোট ২৬৩টি জিনোম সিকোয়েন্সিং ও ডাটা বিশ্লেষণ করে জিএসএআইডিতে পাঠানো হয়েছে।