ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দুটি উড়োজাহাজের ধাক্কা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় বিমানের প্রধান (প্রিন্সিপাল) প্রকৌশলীসহ ৫ জনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া পাঁচজন হলেন- বিমানের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ বদরুল ইসলাম, প্রকৌশলী মো. মাইনুল ইসলাম, সৈয়দ বাহাউল ইসলাম, সেলিম হোসেন খান এবং জিএসই অপারেটর মো. হাফিজুর রহমান।
বুধবার (১১ মে) রাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মুখপাত্র ও জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার তাঁদের বরখাস্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সাময়িকভাবে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিপূর্ণ তদন্ত শেষে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত সোমবার বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বিমানের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এতদিন পরও কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। জানা গেছে, এরপরই বুধবার এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে বাংলাদেশ বিমান করপোরেশন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (১৯৭৯) প্রবিধানমালার ৫৫ ধারা লঙ্ঘনের জন্য এই পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়ী করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই ঘটনায় বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) আলী নাসেরকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি এবং বিমানের চিফ অব সেফটির নেতৃত্বে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। এ ছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে দুই বিমানের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজের লেজের হরিজেন্টাল স্ট্যাবিলাইজার ভেঙে গেছে। অপর বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজের ককপিটের একটি অংশ ছিদ্র ও নোজের বড় অংশ (বিমানের নাক) দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।
দুটি উড়োজাহাজই বিমানবহরে নতুন। ড্যাশ-৮ কিউ ৪০০-এর অনভিজ্ঞ টোম্যানকে দিয়ে হ্যাঙ্গার থেকে বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ বের করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার এক দিন পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। এটি নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা- তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
বুধবার, ১১ মে ২০২২
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দুটি উড়োজাহাজের ধাক্কা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় বিমানের প্রধান (প্রিন্সিপাল) প্রকৌশলীসহ ৫ জনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া পাঁচজন হলেন- বিমানের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ বদরুল ইসলাম, প্রকৌশলী মো. মাইনুল ইসলাম, সৈয়দ বাহাউল ইসলাম, সেলিম হোসেন খান এবং জিএসই অপারেটর মো. হাফিজুর রহমান।
বুধবার (১১ মে) রাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মুখপাত্র ও জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার তাঁদের বরখাস্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সাময়িকভাবে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিপূর্ণ তদন্ত শেষে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত সোমবার বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বিমানের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এতদিন পরও কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। জানা গেছে, এরপরই বুধবার এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে বাংলাদেশ বিমান করপোরেশন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (১৯৭৯) প্রবিধানমালার ৫৫ ধারা লঙ্ঘনের জন্য এই পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়ী করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই ঘটনায় বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) আলী নাসেরকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি এবং বিমানের চিফ অব সেফটির নেতৃত্বে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। এ ছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে দুই বিমানের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজের লেজের হরিজেন্টাল স্ট্যাবিলাইজার ভেঙে গেছে। অপর বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজের ককপিটের একটি অংশ ছিদ্র ও নোজের বড় অংশ (বিমানের নাক) দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।
দুটি উড়োজাহাজই বিমানবহরে নতুন। ড্যাশ-৮ কিউ ৪০০-এর অনভিজ্ঞ টোম্যানকে দিয়ে হ্যাঙ্গার থেকে বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ বের করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার এক দিন পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। এটি নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা- তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।