alt

জাতীয়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন : মায়ানমারকে চাপ দিন, দ. কোরিয়াকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

: বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০২২

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মায়ানমারকে জোরালোভাবে চাপ দিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। একইসঙ্গে তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশটির সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘বাংলাদেশ-কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর’ শীর্ষক এক সেমিনারে দক্ষিণ কোরিয়াকে থেকে এসব সহযোগিতা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ড. মোমেন বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদসহ আন্তর্জাতিক ফোরামে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোরিয়া বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়েছে। মায়ানমার আপনাদের ভালো বন্ধু। মিয়ানমারের সঙ্গে আপনাদের ভালো সম্পর্ক। গত কয়েক বছরে মায়ানমারে কোরিয়ার বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে কোরিয়া ভালো পদক্ষেপ নিতে পারে। আপনারা এ বিষয়ে মিয়ানমারকে জোরালোভাবে চাপ দিন। আমি আপনাদের অনুরোধ করছি মিয়ানমারকে চাপ দিন।

মায়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে রাজি হলেও এখনো প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মায়ানমার আমাদের শত্রু নয়, বন্ধু দেশ। তাদের খারাপ সময়ে আমরা সহযোগিতা করেছি। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিতে রাজি হয়েছে। তারা তাদের লোকদের নিরাপত্তা দিতে রাজি হয়েছে। কিন্তু এখনো প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি। এ বিষয়ে আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই। প্রত্যাবাসন হলে রোহিঙ্গারা নিশ্চিত ভবিষ্যৎ পাবে।

অতীতে আলোচনার মাধ্যমে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিয়েছে বলে জানান মোমেন। তিনি বলেন, আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অতীতে এ সমস্যার সমাধান করেছি। তার ইতিহাস রয়েছে। ৯০’এর দশকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিয়েছিল মায়ানমার। বর্তমানে এক মিলিয়নের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। আমরা এ সমস্যার সমাধান চাই।

প্রকল্প বাস্তবায়নে দ. কোরিয়ার সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশে প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা থেকে বের হয়ে আরও দ্রুত ও টেকসই প্রকল্পে যেতে দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষতার বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছেন ড. মোমেন। তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষতা রয়েছে। এই কাজে দেশটির যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। আর বাংলাদেশের বড় সমস্যা হলো প্রকল্প বাস্তবায়নের দীর্ঘসূত্রিতা। আমাদের এখানে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়ার পর সেটি সহজে শেষ হয় না। তিন বছরের একটা প্রকল্প শেষ হতে দেখা যায় দশ বছর লেগে যায়। আমাদের এখানে বার বার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। যার কারণে খরচও বাড়ে।

ড. মোমেন বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া প্রকল্প বাস্তবায়নে কঠোরতা অবলম্বন করে। সেখানে প্রকল্প শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের প্রকল্প পরিচালক পরিবর্তন হয় না। সময় মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে না পারলে জরিমানা করা হয়, ডিমোশন করা হয়, অনেক সময় জেলে পর্যন্ত পাঠানো হয়। আবার দক্ষতা দেখালে প্রকল্প পরিচালক নীতি নির্ধারণ পর্যায়ে পদন্নোতি পান। বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশকে এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়া সহযোগিতা করতে পারে।

ডুয়িং বিজনেসেও কোরিয়ার সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ

দক্ষিণ কোরিয়াতে ব্যবসায়িক পরিবেশ অনেক ভালো অ্যাখা দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক্ষেত্রে দেশটির সহযোগিতা চেয়েছে। বিশেষ করে ডুয়িং বিজনেসে ভালো অবস্থানে যেতে দেশটির সহযোগিতা চেয়ে ড. মোমেন বলেন, ডুয়িং বিজনেসে দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বে চতুর্থ। যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও তাদের অবস্থান ভালো। আমরা ১৬৮তম অবস্থানে। গত তিন বছরে আমরা মাত্র তিনটি র‍্যাংক পেয়েছি। এই খাতে আমরা কীভাবে ভালো করতে পারি, সে বিষয়ে কোরিয়ার সহযোগিতা চাই। আমরা কিভাবে উন্নতি করতে পারি, সে বিষয়ে তাদের সহযোগিতা চাই।

ছবি

বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চায় প্রধানমন্ত্রী

গাজীপুরে মরে যাচ্ছে মুরগি, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে খামার

ছবি

আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ছবি

একটানা এতদিন এত তাপ দেখেনি বাংলাদেশ

রোববার খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে ‘ভিত্তিহীন’ তথ্য রয়েছে

ছবি

গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা টিকিয়ে রাখতে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে বদ্ধপরিকর ইসি

ছবি

থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

ছবি

মৃত্যুর দু’বছর পর ব্রুনাই থেকে ফিরছে দুই বাংলাদেশির লাশ

ছবি

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হলেন এম ইউ কবীর চৌধুরী

বাল্যবিবাহ রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে : মানবাধিকার কমিশন

ছবি

১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি: এলজিআরডি মন্ত্রী

ছবি

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি

ছবি

যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

ছবি

গ্যাস সংকটে আগামীর ‘ভরসা’ এলএনজি

ছবি

রানা প্লাজা ধসের ১১ বছর : ‘আমার স্বপ্নও ভেঙে গেছে’

ছবি

এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য

ছবি

থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

ছবি

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৩ নতুন বিচারক

ছবি

কক্সবাজারে ভোটার হওয়া রোহিঙ্গাদের তালিকা চায় হাই কোর্ট

ছবি

ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

তাপপ্রবাহের এলাকা আরও বাড়বে

ছবি

ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে ৫টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই

ছবি

ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির

ছবি

সোমালি জলদস্যুদের দ্বারা জব্দ করা জাহাজ সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছেছে; ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকের সবাই নিরাপদ

ছবি

পদে থেকেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন

ছবি

পদত্যাগ না করেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন

ছবি

বান্দরবানের তিন উপজেলায় ভোট স্থগিত : ইসি সচিব

ছবি

তীব্র দাবদাহের মধ্যেও বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড , আছে লোড শেডিংও

ছবি

বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি সই

ছবি

ঢাকা থেকে প্রধান ১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়ল

ছবি

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কাতারের আমির

ছবি

তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বাড়লো আরও ৩ দিন, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

ছবি

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ড এর যৌথ অংশগ্রহণে টিএল-২০২৪ উদ্বোধন

ছবি

শিশু অধিকার বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে মিডিয়ার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ--স্পীকার

tab

জাতীয়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন : মায়ানমারকে চাপ দিন, দ. কোরিয়াকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০২২

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মায়ানমারকে জোরালোভাবে চাপ দিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। একইসঙ্গে তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশটির সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘বাংলাদেশ-কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর’ শীর্ষক এক সেমিনারে দক্ষিণ কোরিয়াকে থেকে এসব সহযোগিতা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ড. মোমেন বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদসহ আন্তর্জাতিক ফোরামে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোরিয়া বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়েছে। মায়ানমার আপনাদের ভালো বন্ধু। মিয়ানমারের সঙ্গে আপনাদের ভালো সম্পর্ক। গত কয়েক বছরে মায়ানমারে কোরিয়ার বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে কোরিয়া ভালো পদক্ষেপ নিতে পারে। আপনারা এ বিষয়ে মিয়ানমারকে জোরালোভাবে চাপ দিন। আমি আপনাদের অনুরোধ করছি মিয়ানমারকে চাপ দিন।

মায়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে রাজি হলেও এখনো প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মায়ানমার আমাদের শত্রু নয়, বন্ধু দেশ। তাদের খারাপ সময়ে আমরা সহযোগিতা করেছি। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিতে রাজি হয়েছে। তারা তাদের লোকদের নিরাপত্তা দিতে রাজি হয়েছে। কিন্তু এখনো প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি। এ বিষয়ে আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই। প্রত্যাবাসন হলে রোহিঙ্গারা নিশ্চিত ভবিষ্যৎ পাবে।

অতীতে আলোচনার মাধ্যমে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিয়েছে বলে জানান মোমেন। তিনি বলেন, আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অতীতে এ সমস্যার সমাধান করেছি। তার ইতিহাস রয়েছে। ৯০’এর দশকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিয়েছিল মায়ানমার। বর্তমানে এক মিলিয়নের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। আমরা এ সমস্যার সমাধান চাই।

প্রকল্প বাস্তবায়নে দ. কোরিয়ার সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশে প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা থেকে বের হয়ে আরও দ্রুত ও টেকসই প্রকল্পে যেতে দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষতার বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছেন ড. মোমেন। তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষতা রয়েছে। এই কাজে দেশটির যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। আর বাংলাদেশের বড় সমস্যা হলো প্রকল্প বাস্তবায়নের দীর্ঘসূত্রিতা। আমাদের এখানে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়ার পর সেটি সহজে শেষ হয় না। তিন বছরের একটা প্রকল্প শেষ হতে দেখা যায় দশ বছর লেগে যায়। আমাদের এখানে বার বার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। যার কারণে খরচও বাড়ে।

ড. মোমেন বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া প্রকল্প বাস্তবায়নে কঠোরতা অবলম্বন করে। সেখানে প্রকল্প শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের প্রকল্প পরিচালক পরিবর্তন হয় না। সময় মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে না পারলে জরিমানা করা হয়, ডিমোশন করা হয়, অনেক সময় জেলে পর্যন্ত পাঠানো হয়। আবার দক্ষতা দেখালে প্রকল্প পরিচালক নীতি নির্ধারণ পর্যায়ে পদন্নোতি পান। বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশকে এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়া সহযোগিতা করতে পারে।

ডুয়িং বিজনেসেও কোরিয়ার সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ

দক্ষিণ কোরিয়াতে ব্যবসায়িক পরিবেশ অনেক ভালো অ্যাখা দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক্ষেত্রে দেশটির সহযোগিতা চেয়েছে। বিশেষ করে ডুয়িং বিজনেসে ভালো অবস্থানে যেতে দেশটির সহযোগিতা চেয়ে ড. মোমেন বলেন, ডুয়িং বিজনেসে দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বে চতুর্থ। যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও তাদের অবস্থান ভালো। আমরা ১৬৮তম অবস্থানে। গত তিন বছরে আমরা মাত্র তিনটি র‍্যাংক পেয়েছি। এই খাতে আমরা কীভাবে ভালো করতে পারি, সে বিষয়ে কোরিয়ার সহযোগিতা চাই। আমরা কিভাবে উন্নতি করতে পারি, সে বিষয়ে তাদের সহযোগিতা চাই।

back to top