জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী (২৫ মে) বুধবার। এদিন ভোর সাড়ে ৬ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্নে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (২৫ মে) প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের নেতৃত্বে কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুরসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় কবির সমাধির সামনে দাঁড়িয়ে ফাতেহা পাঠ করে দোয়া করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কবি নজরুলের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে কবির দুই নাতনি মিষ্টি কাজি ও খিলখিল কাজি। এসময় তারা কবির জন্মদিনকে সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি জানান একই সাথে কবিকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে কবির রচনাগুলো বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত করার দাবি জানান তারা। এছাড়া নতুন প্রজন্মের কাছে নজরুলকে পরিচিত করতে স্কুল কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে জন্মদিন পালনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
এছাড়াও সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক মো: আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ, সহ-সভাপতি মুহাম্মদ নুর আলম সরদারসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে কবি নজরুলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জাতীয় কবির সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: আল মামুন বলেন, ‘সাম্য, প্রেম ও দ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১২৩ তম জন্মবার্ষিকীতে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এর পক্ষ থেকে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের মাঝে বেঁচে না থাকলেও তাঁর আদর্শ ও চেতনা এখনো বেঁচে আছে প্রতিটি বাঙ্গালির হৃদয়ের মণিকোঠায়। কবির জীবদ্দশায় তিনি অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ছিলেন। বাল্যকাল থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং বিদ্রোহ করাই তাঁর নীতি ও আদর্শ ছিল। তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমরা তরুণ প্রজন্মরা এগিয়ে যেতে চাই।’
উল্লেখ্য, দ্রোহ-প্রেম-সাম্যের কবি কাজী নজরুলের জন্ম ১৮৯৯ সালে ২৫ মে, বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে। দারিদ্র্যপীড়িত শৈশব-কৈশোর কাটানো এই কবির পরিচিতি ছিল দুখু মিয়া নামেই। কৈশোরেই জীবনযুদ্ধে নামতে হয়েছিল। মসজিদের মুয়াজ্জিন, রুটির দোকানের কর্মী— কী পেশা নিতে হয়নি! সব সংগ্রামকে ছাপিয়ে, বাউন্ডুলে-ছন্নছাড়া এক জীবন নিয়েও বাংলা সাহিত্যের আকাশে তার আবির্ভাব ধূমকেতুর মতো, তারুণ্যের তেজদীপ্ততায় সবাইকে চমকে দিয়ে। তবে ধূমকেতুর মতো ক্ষণস্থায়ী নয়, ধ্রুবতারার মতো এক স্থায়ী আসন তিনি গড়ে নিয়েছেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে, বাংলার মানুষের মন ও মননে।
বুধবার, ২৫ মে ২০২২
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী (২৫ মে) বুধবার। এদিন ভোর সাড়ে ৬ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্নে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (২৫ মে) প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের নেতৃত্বে কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুরসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় কবির সমাধির সামনে দাঁড়িয়ে ফাতেহা পাঠ করে দোয়া করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কবি নজরুলের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে কবির দুই নাতনি মিষ্টি কাজি ও খিলখিল কাজি। এসময় তারা কবির জন্মদিনকে সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি জানান একই সাথে কবিকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে কবির রচনাগুলো বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত করার দাবি জানান তারা। এছাড়া নতুন প্রজন্মের কাছে নজরুলকে পরিচিত করতে স্কুল কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে জন্মদিন পালনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
এছাড়াও সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক মো: আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ, সহ-সভাপতি মুহাম্মদ নুর আলম সরদারসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে কবি নজরুলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জাতীয় কবির সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: আল মামুন বলেন, ‘সাম্য, প্রেম ও দ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১২৩ তম জন্মবার্ষিকীতে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এর পক্ষ থেকে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের মাঝে বেঁচে না থাকলেও তাঁর আদর্শ ও চেতনা এখনো বেঁচে আছে প্রতিটি বাঙ্গালির হৃদয়ের মণিকোঠায়। কবির জীবদ্দশায় তিনি অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ছিলেন। বাল্যকাল থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং বিদ্রোহ করাই তাঁর নীতি ও আদর্শ ছিল। তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমরা তরুণ প্রজন্মরা এগিয়ে যেতে চাই।’
উল্লেখ্য, দ্রোহ-প্রেম-সাম্যের কবি কাজী নজরুলের জন্ম ১৮৯৯ সালে ২৫ মে, বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে। দারিদ্র্যপীড়িত শৈশব-কৈশোর কাটানো এই কবির পরিচিতি ছিল দুখু মিয়া নামেই। কৈশোরেই জীবনযুদ্ধে নামতে হয়েছিল। মসজিদের মুয়াজ্জিন, রুটির দোকানের কর্মী— কী পেশা নিতে হয়নি! সব সংগ্রামকে ছাপিয়ে, বাউন্ডুলে-ছন্নছাড়া এক জীবন নিয়েও বাংলা সাহিত্যের আকাশে তার আবির্ভাব ধূমকেতুর মতো, তারুণ্যের তেজদীপ্ততায় সবাইকে চমকে দিয়ে। তবে ধূমকেতুর মতো ক্ষণস্থায়ী নয়, ধ্রুবতারার মতো এক স্থায়ী আসন তিনি গড়ে নিয়েছেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে, বাংলার মানুষের মন ও মননে।