প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বরিশাল-খুলনা-মোংলা মহাসড়কের বেকুঠিয়াতে কঁচা নদীর ওপর ‘৮ম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু’ চীনা সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর সম্পন্ন হওয়ার পর এখন শুধু বাকি রয়েছে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষা। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র উপস্থিতিতে রোববার (৭ আগস্ট) ঢাকার চীনা দূতাবাসের ইকোনোমি মিনিস্টার বাংলাদেশর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি হস্তান্তরের দলিলে স্বাক্ষর করেন বলে সড়ক অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। ‘৮ম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু’ নির্মাণে চীন সরকার ৬৫৫ কোটি টাকার অনুদান প্রদান করেছে।
চীনা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সেতুটির পরিপূর্ণ নকশা প্রণয়নসহ কাজের তত্ত্বাবধানে পরামর্শকও নিয়োগ করে। ‘চায়না রেলওয়ে ১৭তম ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড’ ৯টি স্প্যান ও ৮টি পিয়ার বিশিষ্ট এই সেতুটির নির্মাণ কাজ গত ৩০ জুনের মধ্যে সম্পন্ন করে সড়ক অধিদপ্তরকে অবহিত করার পরে রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে তা হস্তান্তর করা হলো। এ সেতুটি নির্মাণের ফলে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে খুলনার দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের সঙ্গে প্রায় দেড়শ’ কিলোমিটার হ্রাস পাবে। এর ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-মাওয়া-খুলনা মহাসড়কের ওপর যানবাহনের চাপও অনেকটাই হ্রাস পাবে। পাশাপাশি নদনদীবহুল দক্ষিণাঞ্চলের আরও একটি মহাসড়ক সম্পূর্ণ ফেরিমুক্ত হলো।
চীনা প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরকালে ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর ৮ম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু নির্মাণে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর দুই বছর পরে ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর ‘প্রি-স্ট্রেসড কংক্রিট বক্স গার্ডার’ ধরনের সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতুটি নির্মাণে প্রায় পৌনে ২শ’ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হয়েছে। সেই টাকায় সেতুটির উভয়প্রান্তে প্রায় দেড় কিলোমিটার সংযোগ সড়কের জন্য ১৩.৩২ হেক্টর জমি অধিগ্রহণসহ প্রশাসনিক ব্যয় এবং সিডি-ভ্যাট পরিশোধসহ টোল প্লাজা নির্মাণে ব্যয় হয়েছে।
কঁচা নদীর ওপর প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ মূল সেতুটির উভয়প্রান্তে ৪৯৫ মিটার ভায়াডাক্টসহ সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫শ’ মিটার। ১৩.৪০ মিটার প্রস্থ সেতুটির পিরোজপুর ও বরিশাল প্রান্তে ১ হাজার ৪৬৭ মিটার সংযোগ সড়কসহ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নির্বিঘ্ন রাখতে আরও ২টি ছোট সেতু ও বক্স কালভার্ট নির্মিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম-বরিশাল এবং মোংলা বন্দরসহ খুলনা নদীবন্দরের সঙ্গে পণ্য ও জ্বালানিবাহী বড় ধরনের নৌযানের চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে কঁচা নদীর সর্বোচ্চ জোয়ারের থেকে ৬০ ফুট উচ্চতায় সেতুটি নির্মিত হয়েছে। ফলে নৌবাহিনীর ফ্রিগেটসহ যেকোন ধরনের যুদ্ধ জাহাজের চলাচলেও কোন প্রতিবন্ধকতা থাকছে না। এমনকি কঁচা নদীর মধ্যভাগে সেতুটির তলদেশে সবচেয়ে প্রশস্ত স্প্যানটিতে ১২২ মিটার এলাকা নৌযান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে মূল সেতু ও সংযোগ সড়কসহ নদীশাসন ও অত্যাধুনিক কম্পিটিউরাইজড টোল প্লাজার নির্মাণ কাজও প্রায় শেষ হয়েছে।
আগামী মাসের যেকোন সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন বলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ইতোমধ্যে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
সোমবার, ০৮ আগস্ট ২০২২
প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বরিশাল-খুলনা-মোংলা মহাসড়কের বেকুঠিয়াতে কঁচা নদীর ওপর ‘৮ম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু’ চীনা সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর সম্পন্ন হওয়ার পর এখন শুধু বাকি রয়েছে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষা। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র উপস্থিতিতে রোববার (৭ আগস্ট) ঢাকার চীনা দূতাবাসের ইকোনোমি মিনিস্টার বাংলাদেশর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি হস্তান্তরের দলিলে স্বাক্ষর করেন বলে সড়ক অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। ‘৮ম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু’ নির্মাণে চীন সরকার ৬৫৫ কোটি টাকার অনুদান প্রদান করেছে।
চীনা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সেতুটির পরিপূর্ণ নকশা প্রণয়নসহ কাজের তত্ত্বাবধানে পরামর্শকও নিয়োগ করে। ‘চায়না রেলওয়ে ১৭তম ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড’ ৯টি স্প্যান ও ৮টি পিয়ার বিশিষ্ট এই সেতুটির নির্মাণ কাজ গত ৩০ জুনের মধ্যে সম্পন্ন করে সড়ক অধিদপ্তরকে অবহিত করার পরে রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে তা হস্তান্তর করা হলো। এ সেতুটি নির্মাণের ফলে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে খুলনার দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের সঙ্গে প্রায় দেড়শ’ কিলোমিটার হ্রাস পাবে। এর ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-মাওয়া-খুলনা মহাসড়কের ওপর যানবাহনের চাপও অনেকটাই হ্রাস পাবে। পাশাপাশি নদনদীবহুল দক্ষিণাঞ্চলের আরও একটি মহাসড়ক সম্পূর্ণ ফেরিমুক্ত হলো।
চীনা প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরকালে ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর ৮ম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু নির্মাণে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর দুই বছর পরে ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর ‘প্রি-স্ট্রেসড কংক্রিট বক্স গার্ডার’ ধরনের সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতুটি নির্মাণে প্রায় পৌনে ২শ’ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হয়েছে। সেই টাকায় সেতুটির উভয়প্রান্তে প্রায় দেড় কিলোমিটার সংযোগ সড়কের জন্য ১৩.৩২ হেক্টর জমি অধিগ্রহণসহ প্রশাসনিক ব্যয় এবং সিডি-ভ্যাট পরিশোধসহ টোল প্লাজা নির্মাণে ব্যয় হয়েছে।
কঁচা নদীর ওপর প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ মূল সেতুটির উভয়প্রান্তে ৪৯৫ মিটার ভায়াডাক্টসহ সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫শ’ মিটার। ১৩.৪০ মিটার প্রস্থ সেতুটির পিরোজপুর ও বরিশাল প্রান্তে ১ হাজার ৪৬৭ মিটার সংযোগ সড়কসহ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নির্বিঘ্ন রাখতে আরও ২টি ছোট সেতু ও বক্স কালভার্ট নির্মিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম-বরিশাল এবং মোংলা বন্দরসহ খুলনা নদীবন্দরের সঙ্গে পণ্য ও জ্বালানিবাহী বড় ধরনের নৌযানের চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে কঁচা নদীর সর্বোচ্চ জোয়ারের থেকে ৬০ ফুট উচ্চতায় সেতুটি নির্মিত হয়েছে। ফলে নৌবাহিনীর ফ্রিগেটসহ যেকোন ধরনের যুদ্ধ জাহাজের চলাচলেও কোন প্রতিবন্ধকতা থাকছে না। এমনকি কঁচা নদীর মধ্যভাগে সেতুটির তলদেশে সবচেয়ে প্রশস্ত স্প্যানটিতে ১২২ মিটার এলাকা নৌযান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে মূল সেতু ও সংযোগ সড়কসহ নদীশাসন ও অত্যাধুনিক কম্পিটিউরাইজড টোল প্লাজার নির্মাণ কাজও প্রায় শেষ হয়েছে।
আগামী মাসের যেকোন সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন বলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ইতোমধ্যে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।