পদ ভোটারদের প্রভাবিত করে: ডা. ইকবাল
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের সংগঠন বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর ৮টি পদের বিপরীতে এখন ৩১ জন প্রার্থী হয়েছেন। ভোটার সাড়ে ৫ হাজারেরও বেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
নির্বাচন নিয়ে স্বাচিপ নেতারা বলেন, স্বাস্ব্য সেক্টরের শীর্ষ পদে থেকে নির্বাচন ও প্রচারণা চালালে সেক্টরের কী হবে। নির্বাচনে পদের প্রভাব পড়বে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন।
চিকিৎসকরা জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা পদে থেকে নির্বাচন করার কারণে জুনিয়ররা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পাচ্ছেন।
অভিযোগ রয়েছে, শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা সরকারি পদ ও সব সুযোগ-সুবিধা, প্রটোকল ব্যবহারের ফলে নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন। এ নিয়ে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
বিসিপিএসের সদস্য ও প্রবীণ কয়েকজন চিকিৎসক জানান, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স ও সার্জনস (বিসিপিএস) প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৮ সালে ১০ জানুয়ারি আদেশটি আইনে রূপান্তরিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানটিতে একটি কাউন্সিল রয়েছে। কাউন্সিল যেসব নীতি-নির্ধারণ করে তা কার্যনির্বাহী পরিষদ বাস্তবায়ন করে।
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ শুক্রবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই বছর নির্বাচনে চাঁদা পরিশোধ সাপেক্ষে সাড়ে ৫ হাজারেরও বেশি এফসিএস ডিগ্রিধারী ভোটার নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। এছাড়া চলমান এফসিপিএস পরীক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে পাস করলে তারাও ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে কয়েকজন প্রার্থী স্বাস্থ্য সেক্টরের প্রশাসনের শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত থেকে দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় ধরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা হাসপাতালে নির্বাচনী প্রচারণা চালালে তারা সরকারি দায়িত্ব কিভাবে পালন করবেন।
শীর্ষ পদে থাকা ব্যক্তিরা এ নির্বাচন করার ফলে সরকার প্রতিপক্ষ হয়ে যায় বলে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন। এ ধরনের শীর্ষ ব্যক্তিরা নির্বাচনে পরাজিত হলে সে ক্ষেত্রে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে স্বাস্থ্য সেক্টরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ সম্পর্কে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের একজন সিনিয়র নেতা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, এটা খুবই খারাপ। বিষয়টি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। একটু লেখেন, যদি পরিবর্তন আসে।
এ সম্পর্কে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, শীর্ষ কর্মকর্তারা নির্বাচনে প্রার্থী ও মাসব্যাপী দেশজুড়ে প্রচারণায় ব্যস্ত থাকলে স্বাস্থ্য সেক্টরের কি হবে। পদ ভোটারদের প্রভাবিত করে।
এ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়য়া জানান, স্বাস্থ্য সেক্টরের শীর্ষ পদে থেকে দেশব্যাপী নির্বাচনে মনোযোগ দেয়া দায়িত্বশীলতার পরিচয় নয় বলে তিনি মনে করেন।
পদ ভোটারদের প্রভাবিত করে: ডা. ইকবাল
বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের সংগঠন বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর ৮টি পদের বিপরীতে এখন ৩১ জন প্রার্থী হয়েছেন। ভোটার সাড়ে ৫ হাজারেরও বেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
নির্বাচন নিয়ে স্বাচিপ নেতারা বলেন, স্বাস্ব্য সেক্টরের শীর্ষ পদে থেকে নির্বাচন ও প্রচারণা চালালে সেক্টরের কী হবে। নির্বাচনে পদের প্রভাব পড়বে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন।
চিকিৎসকরা জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা পদে থেকে নির্বাচন করার কারণে জুনিয়ররা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পাচ্ছেন।
অভিযোগ রয়েছে, শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা সরকারি পদ ও সব সুযোগ-সুবিধা, প্রটোকল ব্যবহারের ফলে নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন। এ নিয়ে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
বিসিপিএসের সদস্য ও প্রবীণ কয়েকজন চিকিৎসক জানান, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স ও সার্জনস (বিসিপিএস) প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৮ সালে ১০ জানুয়ারি আদেশটি আইনে রূপান্তরিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানটিতে একটি কাউন্সিল রয়েছে। কাউন্সিল যেসব নীতি-নির্ধারণ করে তা কার্যনির্বাহী পরিষদ বাস্তবায়ন করে।
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ শুক্রবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই বছর নির্বাচনে চাঁদা পরিশোধ সাপেক্ষে সাড়ে ৫ হাজারেরও বেশি এফসিএস ডিগ্রিধারী ভোটার নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। এছাড়া চলমান এফসিপিএস পরীক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে পাস করলে তারাও ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে কয়েকজন প্রার্থী স্বাস্থ্য সেক্টরের প্রশাসনের শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত থেকে দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় ধরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা হাসপাতালে নির্বাচনী প্রচারণা চালালে তারা সরকারি দায়িত্ব কিভাবে পালন করবেন।
শীর্ষ পদে থাকা ব্যক্তিরা এ নির্বাচন করার ফলে সরকার প্রতিপক্ষ হয়ে যায় বলে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন। এ ধরনের শীর্ষ ব্যক্তিরা নির্বাচনে পরাজিত হলে সে ক্ষেত্রে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে স্বাস্থ্য সেক্টরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ সম্পর্কে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের একজন সিনিয়র নেতা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, এটা খুবই খারাপ। বিষয়টি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। একটু লেখেন, যদি পরিবর্তন আসে।
এ সম্পর্কে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, শীর্ষ কর্মকর্তারা নির্বাচনে প্রার্থী ও মাসব্যাপী দেশজুড়ে প্রচারণায় ব্যস্ত থাকলে স্বাস্থ্য সেক্টরের কি হবে। পদ ভোটারদের প্রভাবিত করে।
এ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়য়া জানান, স্বাস্থ্য সেক্টরের শীর্ষ পদে থেকে দেশব্যাপী নির্বাচনে মনোযোগ দেয়া দায়িত্বশীলতার পরিচয় নয় বলে তিনি মনে করেন।