আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন করা হবে। এই বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য হলো, করলে জাটকা সংরক্ষণ, বাড়বে ইলিশের উৎপাদন। দেশের ২০ জেলার জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন করা হবে।
১ এপ্রিল পিরোজপুরের হুলার হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদ্বোধন করা হবে। ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় জণগণকে সম্পৃক্ত ও সচেতন করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা কাউন্সিল মিলনায়তনে মৎস্য জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এই সব কথ্্া বলেছেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানান, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের নানা কার্যক্রম তুলে ধরেছেন। এরমধ্যে ইলিশের বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনা করে মা ইলিশ আহরণের নিষিদ্ধ সময় ২২ দিন নির্ধারণ,জাটকা নিরাপদে বৃদ্ধির জন্য ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সারাদেশে ৮ মাস জাটকা ধরা,পরিবহন,মজুদ,ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা,দেশের ইলিশ সমৃদ্ধ নদ-নদীতে ৬টি ইলিশ অভয়াশ্রম স্থাপন ও নিষিদ্ব সময়ে এ অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা,নিষিদ্ধ কালে জেলেদের প্রতি বছর ডিজিএফ খাদ্য সহায়তা দেয়া, জাটকা আহরণে বিরত অতি দরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা,সাসটেইনেবল কোষ্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প বাস্তবায়ন,ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়নসহ সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, দেশে ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে যেখানে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ লাখ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন,২০২১-২২ অর্থ বছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৫ লাখ ৬৭ হাজার মেট্রেক টনে পৌছেছে। ফলে জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণ করতে পারলে ইলিশের উৎপাদন আরও অনেক বেশী বৃদ্ধি পাবে।
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে এমন জাল যেমন বেহুন্দি জাল,কারেণ্টজালসহ অন্যান্য অবৈধ জাল যাতে কেউ ব্যবহার করতে না পারে সে জন্য সরকার আইন দ্বারা নিষিদ্ধ করেছে।
এ বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে যেখানে বেআইনী জাল উৎপাদন হবে, সেখানে অভিযান চলবে। আর যারা জাটকা নিধনের চেষ্টা করবে,মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যে সব অঞ্চলে জাটকরা ধরা হবে সে অঞ্চলে বরফ কল বন্ধ রাখা হবে। বাজারেও মোবাইল কোর্ট থাকবে। জাটকা পরিবহন ও বিপণে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
জাটকা নির্ধনে ক্ষতিকর জাল ধ্বংসে গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের ১৭টি জেলায় আইন শৃংখলা রক্ষাকারী সংস্থার সহায়তায় বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনার মাধ্যমে মোট ৯৮৭টি মোবাইল কোর্ট ও ৩ হাজার ২২৬টি অভিযান পরিচালনা করে ৭ হাজার ৫৪টি বেহুন্দি জাল,৫৪৯ সদশমিক ১৯ লাখ মিটার কারেণ্ট জাল এবং ১২ হাজার ৪৮টি অন্যান্য নিষিদ্ধ জাল আটক করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ডঃ নাহিদ রশীদ,অতিরিক্ত সচিব মোঃ আব্দুল কাইয়ূম,মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজি আশরাফ উদ্দীন,মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ডঃইয়াহিয়া মাহমুদ,মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ.ম্হবুবুল হক এবং মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন এই সব তথ্য জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন করা হবে। এই বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য হলো, করলে জাটকা সংরক্ষণ, বাড়বে ইলিশের উৎপাদন। দেশের ২০ জেলার জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন করা হবে।
১ এপ্রিল পিরোজপুরের হুলার হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদ্বোধন করা হবে। ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় জণগণকে সম্পৃক্ত ও সচেতন করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা কাউন্সিল মিলনায়তনে মৎস্য জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এই সব কথ্্া বলেছেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানান, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের নানা কার্যক্রম তুলে ধরেছেন। এরমধ্যে ইলিশের বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনা করে মা ইলিশ আহরণের নিষিদ্ধ সময় ২২ দিন নির্ধারণ,জাটকা নিরাপদে বৃদ্ধির জন্য ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সারাদেশে ৮ মাস জাটকা ধরা,পরিবহন,মজুদ,ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা,দেশের ইলিশ সমৃদ্ধ নদ-নদীতে ৬টি ইলিশ অভয়াশ্রম স্থাপন ও নিষিদ্ব সময়ে এ অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা,নিষিদ্ধ কালে জেলেদের প্রতি বছর ডিজিএফ খাদ্য সহায়তা দেয়া, জাটকা আহরণে বিরত অতি দরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা,সাসটেইনেবল কোষ্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প বাস্তবায়ন,ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়নসহ সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, দেশে ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে যেখানে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ লাখ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন,২০২১-২২ অর্থ বছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৫ লাখ ৬৭ হাজার মেট্রেক টনে পৌছেছে। ফলে জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণ করতে পারলে ইলিশের উৎপাদন আরও অনেক বেশী বৃদ্ধি পাবে।
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে এমন জাল যেমন বেহুন্দি জাল,কারেণ্টজালসহ অন্যান্য অবৈধ জাল যাতে কেউ ব্যবহার করতে না পারে সে জন্য সরকার আইন দ্বারা নিষিদ্ধ করেছে।
এ বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে যেখানে বেআইনী জাল উৎপাদন হবে, সেখানে অভিযান চলবে। আর যারা জাটকা নিধনের চেষ্টা করবে,মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যে সব অঞ্চলে জাটকরা ধরা হবে সে অঞ্চলে বরফ কল বন্ধ রাখা হবে। বাজারেও মোবাইল কোর্ট থাকবে। জাটকা পরিবহন ও বিপণে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
জাটকা নির্ধনে ক্ষতিকর জাল ধ্বংসে গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের ১৭টি জেলায় আইন শৃংখলা রক্ষাকারী সংস্থার সহায়তায় বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনার মাধ্যমে মোট ৯৮৭টি মোবাইল কোর্ট ও ৩ হাজার ২২৬টি অভিযান পরিচালনা করে ৭ হাজার ৫৪টি বেহুন্দি জাল,৫৪৯ সদশমিক ১৯ লাখ মিটার কারেণ্ট জাল এবং ১২ হাজার ৪৮টি অন্যান্য নিষিদ্ধ জাল আটক করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ডঃ নাহিদ রশীদ,অতিরিক্ত সচিব মোঃ আব্দুল কাইয়ূম,মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজি আশরাফ উদ্দীন,মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ডঃইয়াহিয়া মাহমুদ,মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ.ম্হবুবুল হক এবং মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন এই সব তথ্য জানিয়েছেন।