সরকারের পদত্যাগ কিংবা অপসারণ সময়ের ব্যাপার মাত্র : বিএনপি
মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ -সংবাদ
সরকারের পদত্যাগের ‘একদফা’ দাবিতে রাজধানীর পাশে টঙ্গী ও জিনজিরায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুই সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি শুরু করেছে বিএনপি। সমাবেশে বিএনপির নেতারা বলেছেন, ‘এই সরকারের পদত্যাগ কিংবা অপসারণ সময়ের ব্যাপারমাত্র।’ আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য বিএনপি আর প্রশাসনের অনুমতির অপেক্ষা করবে না বলেও ঘোষণা দেন তারা।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার ঢাকার জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার জিনজিরায় সমাবেশ আয়োজন করে জেলা বিএনপি। সমাবেশ শুরুর আগে থেকেই বৃষ্টির শুরু হয়। তাই বেলা ২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সমাবেশ শুরু হয় দেরিতে। সমাবেশ শেষ হওয়ার আগেও আরেক দফায় বৃষ্টি হয়। তবে বৃষ্টি বাধা উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে অবস্থান করেন। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘যাই-যাই করছে, বড় ভয়ে এই সরকার। আজকে যে অবস্থায় আছে, এই অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হলে, জাতিকে মুক্ত করতে হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দরকার। আমরা এমন দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব, আমরা ঢাকা শহরসহ সারাদেশে এমন একটা অবস্থা সৃষ্টি করব যে, এই সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে। সেই দিনের জন্য আপনারা প্রস্তুতি নিন, আপনারা কেউ ঘরে বসে থাকবেন না।’
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে নেতারা বক্তব্য দেন।
এদিকে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী কলেজগেট এলাকায় সমাবেশ আয়োজন করে মহানগর বিএনপি। সমাবেশ উপলক্ষে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে দুপুরের আগেই অনুষ্ঠানস্থলে যোগ দেন। এ সময় ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে’ স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন ডু অর ডাই। হয় বাঁচব না হয় মরব। শেখ হাসিনার অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে বাঁচতে একদম চাই না। তাই আমাদের সেজন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করে সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা করতে পারব। আমরা লড়ছি জনগণের জন্য। জনগণ পাশে থাকবে। আমাদের পুলিশ, এসপি, থানা কিছুই লাগবে না।’
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, এখন আন্দোলন হচ্ছে, এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের আন্দোলন। বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে যারা রয়েছে, তারা একটি লক্ষ্যে আন্দোলন করছে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা সরকারের পতন, স্বৈরাচার পতন। কেউ পিছিয়ে যাওয়ার জন্য আজকে প্রস্তুত নয়। জীবনের বিনিময়ে বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সঙ্গে জনগণ, তাদের সঙ্গে কেউ নেই। বাংলাদেশের মানুষও নেই, বিদেশিরাও নেই।’
মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকারে সভাপতিত্বে সমাবেশে ঢাকা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার, জেলা বিএনপি সভাপতি ফজলুল হক মিলনসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সরকারের পদত্যাগ কিংবা অপসারণ সময়ের ব্যাপার মাত্র : বিএনপি
মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সরকারের পদত্যাগের ‘একদফা’ দাবিতে রাজধানীর পাশে টঙ্গী ও জিনজিরায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুই সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি শুরু করেছে বিএনপি। সমাবেশে বিএনপির নেতারা বলেছেন, ‘এই সরকারের পদত্যাগ কিংবা অপসারণ সময়ের ব্যাপারমাত্র।’ আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য বিএনপি আর প্রশাসনের অনুমতির অপেক্ষা করবে না বলেও ঘোষণা দেন তারা।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার ঢাকার জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার জিনজিরায় সমাবেশ আয়োজন করে জেলা বিএনপি। সমাবেশ শুরুর আগে থেকেই বৃষ্টির শুরু হয়। তাই বেলা ২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সমাবেশ শুরু হয় দেরিতে। সমাবেশ শেষ হওয়ার আগেও আরেক দফায় বৃষ্টি হয়। তবে বৃষ্টি বাধা উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে অবস্থান করেন। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘যাই-যাই করছে, বড় ভয়ে এই সরকার। আজকে যে অবস্থায় আছে, এই অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হলে, জাতিকে মুক্ত করতে হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দরকার। আমরা এমন দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব, আমরা ঢাকা শহরসহ সারাদেশে এমন একটা অবস্থা সৃষ্টি করব যে, এই সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে। সেই দিনের জন্য আপনারা প্রস্তুতি নিন, আপনারা কেউ ঘরে বসে থাকবেন না।’
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে নেতারা বক্তব্য দেন।
এদিকে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী কলেজগেট এলাকায় সমাবেশ আয়োজন করে মহানগর বিএনপি। সমাবেশ উপলক্ষে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে দুপুরের আগেই অনুষ্ঠানস্থলে যোগ দেন। এ সময় ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে’ স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন ডু অর ডাই। হয় বাঁচব না হয় মরব। শেখ হাসিনার অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে বাঁচতে একদম চাই না। তাই আমাদের সেজন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করে সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা করতে পারব। আমরা লড়ছি জনগণের জন্য। জনগণ পাশে থাকবে। আমাদের পুলিশ, এসপি, থানা কিছুই লাগবে না।’
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, এখন আন্দোলন হচ্ছে, এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের আন্দোলন। বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে যারা রয়েছে, তারা একটি লক্ষ্যে আন্দোলন করছে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা সরকারের পতন, স্বৈরাচার পতন। কেউ পিছিয়ে যাওয়ার জন্য আজকে প্রস্তুত নয়। জীবনের বিনিময়ে বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সঙ্গে জনগণ, তাদের সঙ্গে কেউ নেই। বাংলাদেশের মানুষও নেই, বিদেশিরাও নেই।’
মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকারে সভাপতিত্বে সমাবেশে ঢাকা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার, জেলা বিএনপি সভাপতি ফজলুল হক মিলনসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।