alt

রাজনীতি

একদফা দাবিতে বিএনপির রোডমার্চ অব্যাহত

জেলা বার্তা পরিবেশক, ঝিনাইদহ : মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মঙ্গলবার ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে খুলনা অভিমুখে বিএনপির রোডমার্চ -সংবাদ

‘কর্তৃত্ববাদী সীমাহীন লুটপাটকারী’ হীরক রাজাকে (সরকারকে) ‘দড়ি ধরে টান মারার’ সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশ স্বাধীন করেছি গণতন্ত্র, বাক?স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। কোন রাজা-রানীর রাজত্বের জন্য নয়।

তিনি বলেন, ‘দেশে আজ কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করা হয়েছে। দেশ আজ হীরক রাজার দেশে পরিণত হয়েছে। এভাবে আর চলতে দেয়া যায় না। এখন দড়ি ধরে টান মারার সময় এসে গেছে।’

মঙ্গলাবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সরকার পতনের একদফা দাবিতে ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে খুলনা অভিমুখে রোডমার্চের উদ্বোধনী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দেশ দেউলিয়া হওয়ার পথে, অর্থনীতি খারাপ। ডলারের রিজার্ভ শূন্যের কোঠায় ঠেকেছে। গত ১৫ বছর দেশে সীমাহীন লুটপাট চলেছে। পি কে হালদারসহ অনেক রাঘববোয়াল হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। ফলে ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০৯ হাজার কোটি টাকায়। এই চুরিধারির প্রতিবাদ করলে জেলে পাঠানো হচ্ছে।’

‘সময়মতো এই চোরদের বিচার করা হবে,’ বলে হুঁশিয়ারি দেন আব্বাস।

এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আপনারা উদ্দীপ্ত হন, সম্মিলিত হন। ইনশা আল্লাহ, আমরা দড়ি ধরে টান মারব। এই হীরক রাজা আর থাকবে না।’ তার বক্তব্য শেষ হলে সেখান থেকে খুলনার উদ্দেশে গাড়ি ছাড়ে।

ঝিনাইদহ বাস টার্মিনালে সমাবেশ শুরুর পর উপস্থিত নেতাকর্মীদের নজর কাড়ে খালেদা জিয়ার প্রতীকী কারাগার। এর ভেতর থেকে একটি শিশু খালেদা জিয়া সেজে সবাইকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছিল। প্রতীকী কারাগারের বাইরে নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কিছুদিন আগে দেখা করেছেন জানিয়ে সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ওনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ম্যাডাম কিছু বলবেন? উনি মাথা নাড়লেন, কিন্তু কোন কথা বললেন না। আমি তার চোখের দিকে তাকালাম। তার চাহনিতে অব্যক্ত ভাষা। তিনি হয়তো এটাই বলতে চেয়েছিলেন, তোমরা আমার জন্য কী করছ? আমি কি দেশের গণতন্ত্র, দেশের মানুষ ও রাষ্ট্রের জন্য কিছুই করিনি?’

সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘আমরা একদফার দাবিতে রাস্তায় নেমেছি। এই ফ্যাসিবাদী বিরোধী আন্দোলনে শত শত নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ৪০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। তারপরও বিএনপি মাঠ ছাড়েনি। কারণ, একটাই। হাসিনার পদত্যাগ ছাড়া বিএনপি ঘরে ফিরবে না।’

‘আর কত রক্ত দেশের মানুষ দিলে শেখ হাসিনা ক্ষান্ত হবে? প্রশ্ন রেখে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান বলেন, ‘এই খুনি জালিম সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত বিদায় না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। শয়তানির একটা সীমা আছে। সরকার চোর-ডাকাতদের মুক্তি দিচ্ছে, অথচ তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তি দিচ্ছে না। সময় থাকতে পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙে দিন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করুন।’

‘নইলে মাইর একবার শুরু হলে রেহাই পাবেন না,’ বলেও হুঁশিয়ারি দেন শামসুজ্জামান।

ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামানের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহদী আহম্মেদ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা) অনিন্দ্য ইসলাম, স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক সোহরাব উদ্দীন, বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দীন টুকু, কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম, মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কু-ু, মেহেরপুরের নেতা মাসুদ অরুণ, চুয়াডাঙ্গার মাহবুব হাসান খান, শরিফুজ্জামানসহ জেলা ও উপজেলার বিএনপির নেতারা।

ঝিনাইদহ থেকে শুরু হওয়া রোডমার্চে মাগুরা সদর উপজেলার আলমখালী বাজার থেকে জেলার নেতাকর্মীরা যোগ দেন। দুপুর দেড়টার দিকে রোডমার্চটি মাগুরা শহরের ভায়না মোড় হয়ে যশোর অভিমুখে রওনা দেয়। এরপর মাগুরা-যশোর সড়কের শেখপাড়া মসজিদের সামনে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মহাসড়কে প্রায় আধাঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।

বিএনপি নেতারা জানান, মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়ায় আরও একটি পথসভা শেষে যশোর হয়ে খুলনায় যাবে রোডমার্চটি।

ছবি

জুলাই আন্দোলনের হত্যা মামলায় আইভী কারাগারে

ছবি

আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবি: যমুনার সামনে বাদ জুমা বড় জমায়েতের ডাক

ছবি

আ. লীগকে নিষিদ্ধের দাবি: রাতে শুরু হওয়া বিক্ষোভ সকালেও চলছে

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধের চূড়ান্ত প্রক্রিয়ায়, দাবি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার

ছবি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সিইসি ও বিচারপতিসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

ছবি

“জাতির বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নয়: মানবিক করিডোর নিয়ে সরকারকে বিএনপির হুঁশিয়ারি”

ছবি

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত সাবেক এমপি তুহিনের আপিল গ্রহণ, জামিন মঞ্জুর

ছবি

দল গোছাতে দুই মাসে এক কোটি সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্য বিএনপির

ছবি

কবিগুরুর গান জাতীয় সংগীত হিসেবে পেয়ে আমরা গর্বিত: তারেক রহমান

ছবি

আজহারের রিভিউ শুনানি শেষ, রায় ২৭ মে

ছবি

সংসদের নিম্নকক্ষে আনুপাতিক ভোটে দ্বিমত নাগরিক ঐক্যের, অধিকাংশ প্রস্তাবে একমত

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রণীত সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি গণতন্ত্রী পার্টির

ছবি

রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক মতপার্থক্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে: এনসিপি

ছবি

লন্ডনে চিকিৎসার পর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি, ফিরোজায় ফিরলেন

ছবি

হেফাজতের দুঃখ প্রকাশ: মহাসমাবেশে দুই বক্তার আপত্তিকর বক্তব্য নিয়ে বিবৃতি

ছবি

দুই ঘণ্টায় ‘ফিরোজা’য় পৌঁছালেন খালেদা জিয়া, নেতাকর্মীদের ভিড়ে সড়কজুড়ে উচ্ছ্বাস

ছবি

দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া, যাচ্ছেন ‘ফিরোজায়’

ছবি

দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, নেতাকর্মীদের ঢল বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত

ছবি

কিছু সংস্কার প্রস্তাব ধর্ম ও নারীকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে: এনসিপি

ছবি

চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, হিথ্রোতে আবেগঘন বিদায়

ছবি

গয়েশ্বরের মন্তব্য: ‘আদালত বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্য সেকেন্ড হোম হয়ে গেছে’

ছবি

গাজীপুরে এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা

ছবি

৬ মে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, পথে পথে অভ্যর্থনার প্রস্তুতি বিএনপির

ছবি

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে থাকার কথা বললেন মির্জা ফখরুল

ছবি

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় দেশে পৌঁছাবেন খালেদা জিয়া

ছবি

কাতারের রাজকীয় বিমানে মঙ্গলবার দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া

ফেব্রুয়ারি কিংবা এপ্রিলে নির্বাচন হওয়া উচিত: জামায়াতে আমির

ছবি

বিশেষ বিমানে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, অভ্যর্থনায় প্রস্তুত বিএনপি

ছবি

সাকিবকে আওয়ামী লীগে যোগ না দিতে বলেছিলাম, না শুনে বিপদে পড়েছে: হাফিজ উদ্দিন

ছবি

নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবি অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থি: বাসদ

ছবি

চার দফা দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করে মহাসমাবেশ শেষ করলো হেফাজতে ইসলাম

ছবি

মামলা প্রত্যাহারের দাবি, হুঁশিয়ারি ও যুদ্ধের প্রস্তুতির আহ্বান মামুনুল হকের

ছবি

এই ভূখণ্ডে আওয়ামী লীগের আর পুনর্বাসন হবে না: হাসনাত আবদুল্লাহ

ছবি

জোবাইদা রহমানের জন্য চার স্তরের নিরাপত্তা চেয়ে আইজিপিকে বিএনপির চিঠি

ছবি

দীর্ঘ মেয়াদে অনির্বাচিত সরকারে ‘নানা সমস্যা’: সংলাপে জাতীয়তাবাদী জোট

ছবি

নির্বাচনের উপযুক্ত সময় ফেব্রুয়ারি, এপ্রিল পার হওয়া উচিত নয়: জামায়াত আমির

tab

রাজনীতি

একদফা দাবিতে বিএনপির রোডমার্চ অব্যাহত

জেলা বার্তা পরিবেশক, ঝিনাইদহ

মঙ্গলবার ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে খুলনা অভিমুখে বিএনপির রোডমার্চ -সংবাদ

মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

‘কর্তৃত্ববাদী সীমাহীন লুটপাটকারী’ হীরক রাজাকে (সরকারকে) ‘দড়ি ধরে টান মারার’ সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশ স্বাধীন করেছি গণতন্ত্র, বাক?স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। কোন রাজা-রানীর রাজত্বের জন্য নয়।

তিনি বলেন, ‘দেশে আজ কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করা হয়েছে। দেশ আজ হীরক রাজার দেশে পরিণত হয়েছে। এভাবে আর চলতে দেয়া যায় না। এখন দড়ি ধরে টান মারার সময় এসে গেছে।’

মঙ্গলাবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সরকার পতনের একদফা দাবিতে ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে খুলনা অভিমুখে রোডমার্চের উদ্বোধনী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দেশ দেউলিয়া হওয়ার পথে, অর্থনীতি খারাপ। ডলারের রিজার্ভ শূন্যের কোঠায় ঠেকেছে। গত ১৫ বছর দেশে সীমাহীন লুটপাট চলেছে। পি কে হালদারসহ অনেক রাঘববোয়াল হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। ফলে ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০৯ হাজার কোটি টাকায়। এই চুরিধারির প্রতিবাদ করলে জেলে পাঠানো হচ্ছে।’

‘সময়মতো এই চোরদের বিচার করা হবে,’ বলে হুঁশিয়ারি দেন আব্বাস।

এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আপনারা উদ্দীপ্ত হন, সম্মিলিত হন। ইনশা আল্লাহ, আমরা দড়ি ধরে টান মারব। এই হীরক রাজা আর থাকবে না।’ তার বক্তব্য শেষ হলে সেখান থেকে খুলনার উদ্দেশে গাড়ি ছাড়ে।

ঝিনাইদহ বাস টার্মিনালে সমাবেশ শুরুর পর উপস্থিত নেতাকর্মীদের নজর কাড়ে খালেদা জিয়ার প্রতীকী কারাগার। এর ভেতর থেকে একটি শিশু খালেদা জিয়া সেজে সবাইকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছিল। প্রতীকী কারাগারের বাইরে নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কিছুদিন আগে দেখা করেছেন জানিয়ে সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ওনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ম্যাডাম কিছু বলবেন? উনি মাথা নাড়লেন, কিন্তু কোন কথা বললেন না। আমি তার চোখের দিকে তাকালাম। তার চাহনিতে অব্যক্ত ভাষা। তিনি হয়তো এটাই বলতে চেয়েছিলেন, তোমরা আমার জন্য কী করছ? আমি কি দেশের গণতন্ত্র, দেশের মানুষ ও রাষ্ট্রের জন্য কিছুই করিনি?’

সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘আমরা একদফার দাবিতে রাস্তায় নেমেছি। এই ফ্যাসিবাদী বিরোধী আন্দোলনে শত শত নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ৪০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। তারপরও বিএনপি মাঠ ছাড়েনি। কারণ, একটাই। হাসিনার পদত্যাগ ছাড়া বিএনপি ঘরে ফিরবে না।’

‘আর কত রক্ত দেশের মানুষ দিলে শেখ হাসিনা ক্ষান্ত হবে? প্রশ্ন রেখে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান বলেন, ‘এই খুনি জালিম সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত বিদায় না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। শয়তানির একটা সীমা আছে। সরকার চোর-ডাকাতদের মুক্তি দিচ্ছে, অথচ তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তি দিচ্ছে না। সময় থাকতে পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙে দিন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করুন।’

‘নইলে মাইর একবার শুরু হলে রেহাই পাবেন না,’ বলেও হুঁশিয়ারি দেন শামসুজ্জামান।

ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামানের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহদী আহম্মেদ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা) অনিন্দ্য ইসলাম, স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক সোহরাব উদ্দীন, বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দীন টুকু, কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম, মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কু-ু, মেহেরপুরের নেতা মাসুদ অরুণ, চুয়াডাঙ্গার মাহবুব হাসান খান, শরিফুজ্জামানসহ জেলা ও উপজেলার বিএনপির নেতারা।

ঝিনাইদহ থেকে শুরু হওয়া রোডমার্চে মাগুরা সদর উপজেলার আলমখালী বাজার থেকে জেলার নেতাকর্মীরা যোগ দেন। দুপুর দেড়টার দিকে রোডমার্চটি মাগুরা শহরের ভায়না মোড় হয়ে যশোর অভিমুখে রওনা দেয়। এরপর মাগুরা-যশোর সড়কের শেখপাড়া মসজিদের সামনে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মহাসড়কে প্রায় আধাঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।

বিএনপি নেতারা জানান, মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়ায় আরও একটি পথসভা শেষে যশোর হয়ে খুলনায় যাবে রোডমার্চটি।

back to top