জাতীয় সংসদ নির্বাচন
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ আজ রোববার শুরু হচ্ছে। প্রথম দিন চারটি ব্যাচে ১০০ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ইউএনওদের প্রশিক্ষণ শেষ হলে পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, ডিসি, এসপি, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবে ইসি। এবারই প্রথম জাতীয় নির্বাচনের আগে এ ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে যাচ্ছে কমিশন।
এদিকে নিজস্ব কর্মকর্তাদের সঙ্গে আগামী ৭ অক্টোবর বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন। সে বৈঠকে আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা সেখানে উপস্থিত থাকবেন।
ইসি সূত্র জানায়, এসব প্রশিক্ষণ ও বৈঠকের মধ্য দিয়ে প্রশাসন ও ইসির মাঠ প্রশাসনকে নির্বাচন আয়োজনের উপযোগী করে গড়ে তুলতে চায় কমিশন। যদিও প্রশাসনে দলীয়করণ নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, মাঠ প্রশাসনকে প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে ১ হাজার ১৪ ইউএনও এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তার মধ্যে ৪৯২ ইউএনও ও ৫২২ থানা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। প্রতি ব্যাচে ২৫ জন করে মোট ৪১টি ব্যাচে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যা আজ শুরু হয়ে চলবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করবেন।
এ প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর ৯টি ব্যাচে বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, ডিসি, এসপি, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডিসিরা রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ইউএনওরা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকেন। ডিআইজি ও পুলিশ সুপাররা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করেন। মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অধিকাংশই আগামী নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন, এমন হিসাব ধরেই এ প্রশিক্ষণের আয়োজন। ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য নির্বাচনী আইন ও বিধির সংশোধনী এবং হালনাগাদ তথ্য অবহিতকরণ এবং সার্বিক নির্দেশনা দিতে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। আগের নির্বাচনগুলোতে তপশিল ঘোষণার পর মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মাত্র এক দিন ব্রিফ করত নির্বাচন কমিশন। এবার তপশিল ঘোষণার আগেই দেওয়া হচ্ছে দুদিনের প্রশিক্ষণ।
প্রশিক্ষণ বিষয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (আরপিও), ইসির বিভিন্ন বিধিমালা ও নীতিমালায় সংশোধনী এসেছে। এসব সংশোধনী ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা দিতেই এটি আয়োজন করা হয়েছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রোববার, ০১ অক্টোবর ২০২৩
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ আজ রোববার শুরু হচ্ছে। প্রথম দিন চারটি ব্যাচে ১০০ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ইউএনওদের প্রশিক্ষণ শেষ হলে পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, ডিসি, এসপি, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবে ইসি। এবারই প্রথম জাতীয় নির্বাচনের আগে এ ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে যাচ্ছে কমিশন।
এদিকে নিজস্ব কর্মকর্তাদের সঙ্গে আগামী ৭ অক্টোবর বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন। সে বৈঠকে আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা সেখানে উপস্থিত থাকবেন।
ইসি সূত্র জানায়, এসব প্রশিক্ষণ ও বৈঠকের মধ্য দিয়ে প্রশাসন ও ইসির মাঠ প্রশাসনকে নির্বাচন আয়োজনের উপযোগী করে গড়ে তুলতে চায় কমিশন। যদিও প্রশাসনে দলীয়করণ নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, মাঠ প্রশাসনকে প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে ১ হাজার ১৪ ইউএনও এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তার মধ্যে ৪৯২ ইউএনও ও ৫২২ থানা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। প্রতি ব্যাচে ২৫ জন করে মোট ৪১টি ব্যাচে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যা আজ শুরু হয়ে চলবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করবেন।
এ প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর ৯টি ব্যাচে বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, ডিসি, এসপি, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডিসিরা রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ইউএনওরা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকেন। ডিআইজি ও পুলিশ সুপাররা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করেন। মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অধিকাংশই আগামী নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন, এমন হিসাব ধরেই এ প্রশিক্ষণের আয়োজন। ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য নির্বাচনী আইন ও বিধির সংশোধনী এবং হালনাগাদ তথ্য অবহিতকরণ এবং সার্বিক নির্দেশনা দিতে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। আগের নির্বাচনগুলোতে তপশিল ঘোষণার পর মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মাত্র এক দিন ব্রিফ করত নির্বাচন কমিশন। এবার তপশিল ঘোষণার আগেই দেওয়া হচ্ছে দুদিনের প্রশিক্ষণ।
প্রশিক্ষণ বিষয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (আরপিও), ইসির বিভিন্ন বিধিমালা ও নীতিমালায় সংশোধনী এসেছে। এসব সংশোধনী ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা দিতেই এটি আয়োজন করা হয়েছে।