বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘কোন ধরনের শর্ত সাপেক্ষে খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবেন না। এবং হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় রেখে বিএনপি নির্বাচনেও যাবে না।’
আজ মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, সরকার দন্ড স্থগিত করে বিদেশে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করলে খালেদা জিয়া সুস্থ্য হয়ে উঠবেন। চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার। সরকার উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আইনের দোহাই দিয়ে খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটক রেখেছে। চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সুচিকিৎসা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা অন্যায়।
মির্জা ফখরুল তার লিখিত বক্ত্যব্যে আরো বলেন, খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারী থেকে কারাগারের শ্যাত শ্যাতে ভবনে তাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। দলীয় চাপে বেগম জিয়াকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে ২০২০ সালের মার্চ মাসে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে শর্ত সাপেক্ষে বাড়িতে থেকে চিকিৎসার জন্য নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটে। বর্তমানে তিনি লিভারের জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি কিডনি রোগেও আক্রান্ত। তার দুটি কিডনিই দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা জানিয়েছেন। বর্তমানে তিনি এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। এভার কেয়ার হাসপালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের ৮জন অধ্যাপকসহ ১৫জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে আধুনিক, উন্নত ও বিষোশায়িত হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত স্থানান্তরের প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পরিবারের পাশাপাশি বিএনপি দরীয়ভাবেও খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে নানাভাবে আবেদন জানিয়ে আসছে।
ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারের আইনমন্ত্রী ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার দোহাই দিয়ে বলছেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি দেয়ার সুযোগ আইনে নাই। যদিও সিনিয়র আইনজীবীরা গনমাধ্যমে প্রশ্নের জবাবে ইতোমধ্যে বলেছেন সরকার চাইলে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে আইনে কোন বাধা নেই।’
এসময় ফখরুল ইসলাম ৪০১ ধারা আইনের কিছু ব্যাখ্যা তুলে ধরে বলেন, যে ৪০১ ধারায় খালেদা জিয়ার দন্ড স্থগিত বা মওকুফ করে মুক্তি দেয়া হয়, সেই ৪০১ ধারার উপধারা ১ অনুযায়ী কোন ব্যক্তি কোন অপরাধের জন্য দন্ডিত হলে সরকার যে কোন সময় বিনা শর্তে বা দন্ডিত ব্যক্তি যা মেনে নেয় সেই শর্তে তার দন্ড কার্যকরীকরণ স্থগিত রাখতে বা সম্পূর্ণ দন্ড বা দন্ডের অংশ বিশেষ মওকুফ করতে পারবেন।
ফখরুল বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী বলছেন, যে মর্তে খালেদা জিয়ার দন্ড স্থগিত করে বাসায় থাকতে দেয়া হয়েছে তা সরকারের পক্ষে বদলানো সম্ভব নয়। খালেদা জিয়াকে জেলখানায় গিয়ে আদালতে আপীল করলে মুধু আদালতেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিতে পারে। অথচ এই আইনমন্ত্রীই একসময় বলেছেন যে দন্ড স্থগিত করে বাসায় থাকতে দেয়ার ক্ষমতা সরকারের নেই, এটা পারে শুধুমাত্র আদালত। কিন্তু তার কিছুদিন পরেই সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়া বাসায় এসেছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ফৌজদারী দন্ডবিধির ৪০১ ধারায় কোথাও সরকারের এমন সিদ্ধান্ত দিতে বাধা দেয় না। সরকার চাইলেই দন্ড স্থগিতের নির্বাহী আদেশ সংশোধন করে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে। এর জন্য প্রয়োজন শুধু সরকারের সদিচ্ছা। সিনিয়র সিটিজেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিতে বাধা দেয়া শুধু অবানবিক নয়, সংবিধান লঙ্ঘন এবং বেআইনীও।
এসময় ফখরুল দেশ ও বিদেশের কিছু উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, দন্ড প্রাপ্ত আসামী তৎকালীন জাসদের সাধারণ সম্পাদক আ স ম আব্দুর রব, দন্ডপ্্রাপ্ত আসামী আ. লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম, কারাগারে অসুস্থ্য হলে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার জন্য সুযোগ দেয়া হয়। সারা বিশ্বে এমন বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে। খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য সুযোগ দিলে নতুন কোন দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে না বরং প্রতিষ্ঠিত মানবিক ও আইনানুগ দৃষ্টান্ত অনুসরন করা হবে।
ফখরুল বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করি, তিনি যেন সুস্থ হয়ে ফিরে আবার দেশে রাজনীতিতে সক্রিয় হতে পারেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার যদি কোন ধরনের শর্ত আরোপ করে খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করে, তাহলে খালেদা জিয়া কোন শর্ত নিয়ে বিদেশে যাবেন না। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন না করে বর্তমান লুটেরা এই অবৈধ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় রেখে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ও যুগ্নমহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু।
মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘কোন ধরনের শর্ত সাপেক্ষে খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবেন না। এবং হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় রেখে বিএনপি নির্বাচনেও যাবে না।’
আজ মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, সরকার দন্ড স্থগিত করে বিদেশে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করলে খালেদা জিয়া সুস্থ্য হয়ে উঠবেন। চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার। সরকার উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আইনের দোহাই দিয়ে খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটক রেখেছে। চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সুচিকিৎসা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা অন্যায়।
মির্জা ফখরুল তার লিখিত বক্ত্যব্যে আরো বলেন, খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারী থেকে কারাগারের শ্যাত শ্যাতে ভবনে তাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। দলীয় চাপে বেগম জিয়াকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে ২০২০ সালের মার্চ মাসে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে শর্ত সাপেক্ষে বাড়িতে থেকে চিকিৎসার জন্য নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটে। বর্তমানে তিনি লিভারের জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি কিডনি রোগেও আক্রান্ত। তার দুটি কিডনিই দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা জানিয়েছেন। বর্তমানে তিনি এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। এভার কেয়ার হাসপালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের ৮জন অধ্যাপকসহ ১৫জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে আধুনিক, উন্নত ও বিষোশায়িত হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত স্থানান্তরের প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পরিবারের পাশাপাশি বিএনপি দরীয়ভাবেও খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে নানাভাবে আবেদন জানিয়ে আসছে।
ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারের আইনমন্ত্রী ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার দোহাই দিয়ে বলছেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি দেয়ার সুযোগ আইনে নাই। যদিও সিনিয়র আইনজীবীরা গনমাধ্যমে প্রশ্নের জবাবে ইতোমধ্যে বলেছেন সরকার চাইলে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে আইনে কোন বাধা নেই।’
এসময় ফখরুল ইসলাম ৪০১ ধারা আইনের কিছু ব্যাখ্যা তুলে ধরে বলেন, যে ৪০১ ধারায় খালেদা জিয়ার দন্ড স্থগিত বা মওকুফ করে মুক্তি দেয়া হয়, সেই ৪০১ ধারার উপধারা ১ অনুযায়ী কোন ব্যক্তি কোন অপরাধের জন্য দন্ডিত হলে সরকার যে কোন সময় বিনা শর্তে বা দন্ডিত ব্যক্তি যা মেনে নেয় সেই শর্তে তার দন্ড কার্যকরীকরণ স্থগিত রাখতে বা সম্পূর্ণ দন্ড বা দন্ডের অংশ বিশেষ মওকুফ করতে পারবেন।
ফখরুল বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী বলছেন, যে মর্তে খালেদা জিয়ার দন্ড স্থগিত করে বাসায় থাকতে দেয়া হয়েছে তা সরকারের পক্ষে বদলানো সম্ভব নয়। খালেদা জিয়াকে জেলখানায় গিয়ে আদালতে আপীল করলে মুধু আদালতেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিতে পারে। অথচ এই আইনমন্ত্রীই একসময় বলেছেন যে দন্ড স্থগিত করে বাসায় থাকতে দেয়ার ক্ষমতা সরকারের নেই, এটা পারে শুধুমাত্র আদালত। কিন্তু তার কিছুদিন পরেই সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়া বাসায় এসেছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ফৌজদারী দন্ডবিধির ৪০১ ধারায় কোথাও সরকারের এমন সিদ্ধান্ত দিতে বাধা দেয় না। সরকার চাইলেই দন্ড স্থগিতের নির্বাহী আদেশ সংশোধন করে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে। এর জন্য প্রয়োজন শুধু সরকারের সদিচ্ছা। সিনিয়র সিটিজেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিতে বাধা দেয়া শুধু অবানবিক নয়, সংবিধান লঙ্ঘন এবং বেআইনীও।
এসময় ফখরুল দেশ ও বিদেশের কিছু উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, দন্ড প্রাপ্ত আসামী তৎকালীন জাসদের সাধারণ সম্পাদক আ স ম আব্দুর রব, দন্ডপ্্রাপ্ত আসামী আ. লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম, কারাগারে অসুস্থ্য হলে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার জন্য সুযোগ দেয়া হয়। সারা বিশ্বে এমন বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে। খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য সুযোগ দিলে নতুন কোন দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে না বরং প্রতিষ্ঠিত মানবিক ও আইনানুগ দৃষ্টান্ত অনুসরন করা হবে।
ফখরুল বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করি, তিনি যেন সুস্থ হয়ে ফিরে আবার দেশে রাজনীতিতে সক্রিয় হতে পারেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার যদি কোন ধরনের শর্ত আরোপ করে খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করে, তাহলে খালেদা জিয়া কোন শর্ত নিয়ে বিদেশে যাবেন না। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন না করে বর্তমান লুটেরা এই অবৈধ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় রেখে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ও যুগ্নমহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু।