সংসদে ভিডিও চিত্র দেখিয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন বন্ধ করতে বিএনপি-জামায়াত ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদনেতা শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের শেষ কার্যদিবসে সমাপনী বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে সমাপনী বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্পিকারের অনুমতি নিয়ে একটি ভিডিওচিত্র সংসদে প্রদর্শন করেন যাতে গত ২৮ তারিখ বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচির দিন রাজপথে সহিংসতার চিত্র তুলে ধরা হয়।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নাকি আমাকে পদত্যাগ করাবে এবং এ সরকার হটাবে। নির্বাচন হতে দেবে না, এই বলে তারা তান্ডব চালিয়েছে। মাননীয় স্পিকার আমি আপনার অনুমতি চাই। বিএনপি গত ২৮ তারিখ যে তান্ডব চালিয়েছে তার একটি ভিডিওচিত্র আপনাদের সামনে আমি তুলে ধরতে চাই। আপনাদের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের মানুষ যাতে দেখতে পারে তারা কী করেছে!’
‘আওয়ামী লীগ দেশে গঠনমূলক কাজ করে আর বিএনপি দেশকে ধ্বংস করে’, এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশকে আর্থ-সামাজিকভাবে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছি ঠিক। কিন্তু সেসময় বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ করেছে। জনগণের জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি করে চলেছে। গত ২৮ অক্টোবরও বিএনপি-জামায়াত আগুন সন্ত্রাস করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘কোন বাংলাদেশ আমরা চাই? দিনরাত পরিশ্রম করে মাত্র ১৪ বছরের মধ্যে যে বাংলাদেশ আমরা উন্নত করেছি। বলেছিলাম দিন বদলের সনদ। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আর তখন এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ। আমার আজ বক্তব্য দেয়ার মানসিকতা নেই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ রকম দৃশ্য, যারা জজের বাড়িতে আক্রমণ করে। এটা তাদের অভ্যাস। এর আগে প্রধান বিচারপতির অফিসে লাথিও মেরেছে বিএনপি নেতারা। পুলিশের ওপর হামলা, অ্যাম্বুলেন্সে রোগী যাচ্ছে সেখানেও আক্রমণ। আর কী বীভৎস দৃশ্য। পুড়িয়ে মানুষ হত্যা শুধু না, মনে হচ্ছে এরা পুরো দেশটাকে ধ্বংস করবে।’
সংলাপের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা যার যার জায়গায় যাবেন। দেশবাসীর কাছে জানতে চাই, কোন বাংলাদেশ চান আপনারা। এই সন্ত্রাসী, জঙ্গি, এ অমানুষগুলো, এদের সঙ্গে কারা থাকে; আর তাদের সঙ্গে বসা? এই জানোয়ারদের সঙ্গে বসার কথা কারা বলে? আমার কথা হচ্ছে জানোয়ারদেরও একটা ধর্ম আছে। ওদের সে ধর্মও নেই। ওদের মধ্যে কোনো মনুষ্যত্ববোধ নেই। ওরা চুরি, লুণ্ঠন, দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন ছাড়া কিছুই জানে না।’
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান তাকে (শেখ হাসিনাকে) বারবার হত্যার চেষ্টা করেছেন বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আজকে কোন অবস্থায় তারা দেশটাকে নিতে চায়? ২০০৯ সাল থেকে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ছিল বলেই দেশের উন্নয়ন হয়েছে। সেটাকে ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে ওরা। কাজেই আমি দেশবাসীকে বলব, তারা কোন বাংলাদেশ চায়। ধ্বংসস্তূপ নাকি উন্নয়নের বাংলাদেশ। তাদের জীবনমানে যে উন্নতি হয়েছে সেটা ধরে রাখতে চান? একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সেটা হবে।’
রিজার্ভ নিয়েও সরকারপ্রধান বলেন, ‘রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই, খুব সতর্ক হয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।’
তিনি বলেন, ‘আমার সুষ্ঠুভাবে এই সংসদ পরিচলনা করতে পেরেছি। আজ সাতটি আইন ধরে মোট ১৬৫টি আইন পাস করেছি। করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংসদ পরিচলনা করেছি, যা বিশ্বে নজিরবিহীন।’
প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি ২৫৩ দিন, প্রশ্নের উত্তর দেন ৫৬৬টি
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, একাদশ সংসদের পাঁচ বছর মেয়াদে মোট ২৫টি অধিবেশনে মোট কার্যদিবস ছিল ২৭২টি। একাদশ সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরের জন্য ১,৩৩৬টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রী এর মধ্যে ৫৬৬টি প্রশ্নের উত্তর দেন।
এই সংসদে সব থেকে বেশি দিন উপস্থিত ছিলেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোট ২৭২ কার্যদিবসের মধ্যে তার উপস্থিতি ২৫৩ দিন। সরকারপ্রধান হিসেবে বিভিন্ন রাষ্ট্র সফরে বিদেশে ছিলেন তিনি।
তবে সংসদের সভাপতি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর উপস্থিতি আরও কিছুটা বেশি। ২৭২ কার্যদিবসের মধ্যে স্পিকার উপস্থিত ছিলেন ২৭১ দিন। বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ উপস্থিত ছিলেন ৫২ দিন। অসুস্থতার কারণে তিনি দীর্ঘদিন থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সংসদে সব থেকে কম উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান। ২৪তম অধিবেশন পর্যন্ত ২৬৩ দিনের মধ্যে তার উপস্থিতি ছিল ১৪ দিন। চলতি অধিবেশনে তার উপস্থিতির তথ্য জানা যায়নি। অন্যদিকে, সরকারিদলের সংসদ সদস্যদের মধ্যে সব থেকে কম উপস্থিত ছিলেন তাহজীব আলম সিদ্দিকী। গত অধিবেশন পর্যন্ত তার উপস্থিতি ছিল ১৯ দিন।
অন্যদিকে, ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোশাররফ সংসদে মোট উপস্থিত ছিলেন ৭৭ দিন। তিনি দীর্ঘদিন কানাডায় অবস্থান করছেন। তার অনুপস্থিতি এরই মধ্যে টানা ৯০ কার্যদিবস অতিক্রম করায় স্পিকারের কাছ থেকে চিকিৎসাজনিত কারণে ছুটি নিয়েছেন। সর্বশেষ ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল সংসদ অধিবেশনে যোগ দেন মোশাররফ। সেটা ছিল একাদশ জাতীয় সংসদের ১২তম অধিবেশন।
বিরোধী দলের উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের উপস্থিত ছিলেন ১৫০ দিন। সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, গত দুটি অধিবেশনে তিনি একদিনও উপস্থিত হননি।
সংসদে ভিডিও চিত্র দেখিয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৩
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন বন্ধ করতে বিএনপি-জামায়াত ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদনেতা শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের শেষ কার্যদিবসে সমাপনী বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে সমাপনী বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্পিকারের অনুমতি নিয়ে একটি ভিডিওচিত্র সংসদে প্রদর্শন করেন যাতে গত ২৮ তারিখ বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচির দিন রাজপথে সহিংসতার চিত্র তুলে ধরা হয়।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নাকি আমাকে পদত্যাগ করাবে এবং এ সরকার হটাবে। নির্বাচন হতে দেবে না, এই বলে তারা তান্ডব চালিয়েছে। মাননীয় স্পিকার আমি আপনার অনুমতি চাই। বিএনপি গত ২৮ তারিখ যে তান্ডব চালিয়েছে তার একটি ভিডিওচিত্র আপনাদের সামনে আমি তুলে ধরতে চাই। আপনাদের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের মানুষ যাতে দেখতে পারে তারা কী করেছে!’
‘আওয়ামী লীগ দেশে গঠনমূলক কাজ করে আর বিএনপি দেশকে ধ্বংস করে’, এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশকে আর্থ-সামাজিকভাবে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছি ঠিক। কিন্তু সেসময় বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ করেছে। জনগণের জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি করে চলেছে। গত ২৮ অক্টোবরও বিএনপি-জামায়াত আগুন সন্ত্রাস করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘কোন বাংলাদেশ আমরা চাই? দিনরাত পরিশ্রম করে মাত্র ১৪ বছরের মধ্যে যে বাংলাদেশ আমরা উন্নত করেছি। বলেছিলাম দিন বদলের সনদ। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আর তখন এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ। আমার আজ বক্তব্য দেয়ার মানসিকতা নেই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ রকম দৃশ্য, যারা জজের বাড়িতে আক্রমণ করে। এটা তাদের অভ্যাস। এর আগে প্রধান বিচারপতির অফিসে লাথিও মেরেছে বিএনপি নেতারা। পুলিশের ওপর হামলা, অ্যাম্বুলেন্সে রোগী যাচ্ছে সেখানেও আক্রমণ। আর কী বীভৎস দৃশ্য। পুড়িয়ে মানুষ হত্যা শুধু না, মনে হচ্ছে এরা পুরো দেশটাকে ধ্বংস করবে।’
সংলাপের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা যার যার জায়গায় যাবেন। দেশবাসীর কাছে জানতে চাই, কোন বাংলাদেশ চান আপনারা। এই সন্ত্রাসী, জঙ্গি, এ অমানুষগুলো, এদের সঙ্গে কারা থাকে; আর তাদের সঙ্গে বসা? এই জানোয়ারদের সঙ্গে বসার কথা কারা বলে? আমার কথা হচ্ছে জানোয়ারদেরও একটা ধর্ম আছে। ওদের সে ধর্মও নেই। ওদের মধ্যে কোনো মনুষ্যত্ববোধ নেই। ওরা চুরি, লুণ্ঠন, দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন ছাড়া কিছুই জানে না।’
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান তাকে (শেখ হাসিনাকে) বারবার হত্যার চেষ্টা করেছেন বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আজকে কোন অবস্থায় তারা দেশটাকে নিতে চায়? ২০০৯ সাল থেকে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ছিল বলেই দেশের উন্নয়ন হয়েছে। সেটাকে ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে ওরা। কাজেই আমি দেশবাসীকে বলব, তারা কোন বাংলাদেশ চায়। ধ্বংসস্তূপ নাকি উন্নয়নের বাংলাদেশ। তাদের জীবনমানে যে উন্নতি হয়েছে সেটা ধরে রাখতে চান? একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সেটা হবে।’
রিজার্ভ নিয়েও সরকারপ্রধান বলেন, ‘রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই, খুব সতর্ক হয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।’
তিনি বলেন, ‘আমার সুষ্ঠুভাবে এই সংসদ পরিচলনা করতে পেরেছি। আজ সাতটি আইন ধরে মোট ১৬৫টি আইন পাস করেছি। করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংসদ পরিচলনা করেছি, যা বিশ্বে নজিরবিহীন।’
প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি ২৫৩ দিন, প্রশ্নের উত্তর দেন ৫৬৬টি
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, একাদশ সংসদের পাঁচ বছর মেয়াদে মোট ২৫টি অধিবেশনে মোট কার্যদিবস ছিল ২৭২টি। একাদশ সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরের জন্য ১,৩৩৬টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রী এর মধ্যে ৫৬৬টি প্রশ্নের উত্তর দেন।
এই সংসদে সব থেকে বেশি দিন উপস্থিত ছিলেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোট ২৭২ কার্যদিবসের মধ্যে তার উপস্থিতি ২৫৩ দিন। সরকারপ্রধান হিসেবে বিভিন্ন রাষ্ট্র সফরে বিদেশে ছিলেন তিনি।
তবে সংসদের সভাপতি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর উপস্থিতি আরও কিছুটা বেশি। ২৭২ কার্যদিবসের মধ্যে স্পিকার উপস্থিত ছিলেন ২৭১ দিন। বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ উপস্থিত ছিলেন ৫২ দিন। অসুস্থতার কারণে তিনি দীর্ঘদিন থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সংসদে সব থেকে কম উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান। ২৪তম অধিবেশন পর্যন্ত ২৬৩ দিনের মধ্যে তার উপস্থিতি ছিল ১৪ দিন। চলতি অধিবেশনে তার উপস্থিতির তথ্য জানা যায়নি। অন্যদিকে, সরকারিদলের সংসদ সদস্যদের মধ্যে সব থেকে কম উপস্থিত ছিলেন তাহজীব আলম সিদ্দিকী। গত অধিবেশন পর্যন্ত তার উপস্থিতি ছিল ১৯ দিন।
অন্যদিকে, ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোশাররফ সংসদে মোট উপস্থিত ছিলেন ৭৭ দিন। তিনি দীর্ঘদিন কানাডায় অবস্থান করছেন। তার অনুপস্থিতি এরই মধ্যে টানা ৯০ কার্যদিবস অতিক্রম করায় স্পিকারের কাছ থেকে চিকিৎসাজনিত কারণে ছুটি নিয়েছেন। সর্বশেষ ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল সংসদ অধিবেশনে যোগ দেন মোশাররফ। সেটা ছিল একাদশ জাতীয় সংসদের ১২তম অধিবেশন।
বিরোধী দলের উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের উপস্থিত ছিলেন ১৫০ দিন। সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, গত দুটি অধিবেশনে তিনি একদিনও উপস্থিত হননি।