জাতীয় পার্টি (জাপা) আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ‘কোনো জোট বা মহাজোট অধীনে’ অংশ নেবে না বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
তবে এই নির্বাচনে তিনশ’ আসনেই প্রার্থী দেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। অবশ্য দলটির নির্বাচন অংশগ্রহণ প্রসঙ্গ এখনও ‘ধোঁয়াশায়’।
মহাসচিবের ভাষ্য, এখনও নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়টি সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত হওয়ার পর দলের চেয়ারম্যান (জিএম কাদের) বিষয়টি জানাবেন।
যদিও জাপার একটা অংশ বলছে, তারা নির্বাচনে ‘মহাজোট অধীনেই’ অংশ নেবেন। এর মধ্যেই নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ নির্বাচনে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
এই চিঠিকে ‘ব্যক্তিগত’ বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব। যদিও দলের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা সংবাদকে দাবি করেন, জাপা ‘নির্বাচনে যাবে’।
এর মধ্যেই গত সোমবার থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু করে জাপা। প্রথম দিন থেকে দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ফরম বিক্রি বেড়েছে। এদিন বনানী চেয়ারম্যান কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
এদিন ৬২২টি মনোনয়ন ফরম বিতরণ হয়েছে বলে দলের নেতারা জানিয়েছেন। আগের দিন ৫৫৭টি ফরম বিক্রি হয়েছিল। সবমিলিয়ে দুই দিনে এক হাজার ১৭৯টি মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় দিন উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে মনোয়নয়ন ফরম কিনেছেন জাতীয় পার্টি প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, আবদুর রশীদ সরকার, লিয়াকত হোসেন খোকা ও উপদেষ্টা পনির উদ্দিন আহমেদ।
প্রথম দিন মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হলে দলের কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেনসহ বেশি কয়েকজন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। তবে এখনও দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ দলীয় ফরম কিনেছেন কিনা দলের নেতারা জানাতে পারেননি।
এক বিবৃতিতে মঙ্গলবার জাপার মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ‘আমাদের নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবেন পার্টি চেয়ারম্যান। মানুষের মনে প্রশ্ন আছে, ভোটকেন্দ্রে গেলে তারা ভোট দিতে পারবে কিনা। নির্বাচন নিয়ে মানুষের মাঝে শঙ্কা ও সংশয় আছে। তাই আমরা ভোটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে সময় নিচ্ছি।’
তিনি দাবি করেন, ‘আমরা কোনো জোট বা মহাজোট করবো না, আমরা তিনশ’ আসনেই নির্বাচন করব।’
বিবৃতিতে জাপার মহাসচিব আরও বলেন, ‘বিভিন্ন মহল স্বার্থ সিদ্ধির জন্য ষড়যন্ত্র করছে। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ আছে। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের নেতৃত্ব নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বেগম রওশন এরশাদ মঙ্গলবার দুইবার ফোন করে আমাকে বলেছেন, তার এবং তার ছেলের জন্য মনোনয়ন ফরম নেবেন। কিন্তু গত সোমবার কেউই মনোনয়ন ফরম নিতে আসেনি, আজ (মঙ্গলবার) হয়তো আসতে পারে।’
এর আগে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রমের প্রথম দিন মহাসচিব চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখছি। সময়ের বাধ্যবাধকতা আছে, তাই নির্বাচনী কার্যক্রম এগিয়ে রাখছি। দলের চেয়ারম্যান ৩০ নভেম্বরের আগে নির্বাচনে যাওয়া-না যাওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।’
তবে ওইদিন দলের কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি। মানুষের স্বার্থে ও দেশের স্বার্থে নির্বাচনে যাচ্ছি। দেশে যেভাবে উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে তার ধারাবাহিকতা রক্ষায় সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। সবকিছুর ঊর্ধ্বে দেশের অগ্রগতি, দেশের স্বার্থ।’
মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩
জাতীয় পার্টি (জাপা) আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ‘কোনো জোট বা মহাজোট অধীনে’ অংশ নেবে না বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
তবে এই নির্বাচনে তিনশ’ আসনেই প্রার্থী দেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। অবশ্য দলটির নির্বাচন অংশগ্রহণ প্রসঙ্গ এখনও ‘ধোঁয়াশায়’।
মহাসচিবের ভাষ্য, এখনও নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়টি সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত হওয়ার পর দলের চেয়ারম্যান (জিএম কাদের) বিষয়টি জানাবেন।
যদিও জাপার একটা অংশ বলছে, তারা নির্বাচনে ‘মহাজোট অধীনেই’ অংশ নেবেন। এর মধ্যেই নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ নির্বাচনে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
এই চিঠিকে ‘ব্যক্তিগত’ বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব। যদিও দলের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা সংবাদকে দাবি করেন, জাপা ‘নির্বাচনে যাবে’।
এর মধ্যেই গত সোমবার থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু করে জাপা। প্রথম দিন থেকে দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ফরম বিক্রি বেড়েছে। এদিন বনানী চেয়ারম্যান কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
এদিন ৬২২টি মনোনয়ন ফরম বিতরণ হয়েছে বলে দলের নেতারা জানিয়েছেন। আগের দিন ৫৫৭টি ফরম বিক্রি হয়েছিল। সবমিলিয়ে দুই দিনে এক হাজার ১৭৯টি মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় দিন উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে মনোয়নয়ন ফরম কিনেছেন জাতীয় পার্টি প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, আবদুর রশীদ সরকার, লিয়াকত হোসেন খোকা ও উপদেষ্টা পনির উদ্দিন আহমেদ।
প্রথম দিন মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হলে দলের কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেনসহ বেশি কয়েকজন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। তবে এখনও দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ দলীয় ফরম কিনেছেন কিনা দলের নেতারা জানাতে পারেননি।
এক বিবৃতিতে মঙ্গলবার জাপার মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ‘আমাদের নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবেন পার্টি চেয়ারম্যান। মানুষের মনে প্রশ্ন আছে, ভোটকেন্দ্রে গেলে তারা ভোট দিতে পারবে কিনা। নির্বাচন নিয়ে মানুষের মাঝে শঙ্কা ও সংশয় আছে। তাই আমরা ভোটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে সময় নিচ্ছি।’
তিনি দাবি করেন, ‘আমরা কোনো জোট বা মহাজোট করবো না, আমরা তিনশ’ আসনেই নির্বাচন করব।’
বিবৃতিতে জাপার মহাসচিব আরও বলেন, ‘বিভিন্ন মহল স্বার্থ সিদ্ধির জন্য ষড়যন্ত্র করছে। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ আছে। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের নেতৃত্ব নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বেগম রওশন এরশাদ মঙ্গলবার দুইবার ফোন করে আমাকে বলেছেন, তার এবং তার ছেলের জন্য মনোনয়ন ফরম নেবেন। কিন্তু গত সোমবার কেউই মনোনয়ন ফরম নিতে আসেনি, আজ (মঙ্গলবার) হয়তো আসতে পারে।’
এর আগে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রমের প্রথম দিন মহাসচিব চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখছি। সময়ের বাধ্যবাধকতা আছে, তাই নির্বাচনী কার্যক্রম এগিয়ে রাখছি। দলের চেয়ারম্যান ৩০ নভেম্বরের আগে নির্বাচনে যাওয়া-না যাওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।’
তবে ওইদিন দলের কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি। মানুষের স্বার্থে ও দেশের স্বার্থে নির্বাচনে যাচ্ছি। দেশে যেভাবে উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে তার ধারাবাহিকতা রক্ষায় সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। সবকিছুর ঊর্ধ্বে দেশের অগ্রগতি, দেশের স্বার্থ।’