alt

রাজনীতি

বিএনপির কারা ভোটে আসছে,কারা আসছেন না জানা যাবে ৩০ নভেম্বর

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

বিএনপির কেউ কেউ নির্বাচনে আসতে পারেন এবং প্রস্তুতিও নিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার ৩০ তারিখ, কাল বাদে পরশু। এর মধ্যেই তো পরিষ্কার হয়ে যাবে কারা আসলেন আর কারা আসলেন না।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ধানমন্ডির আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন,সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে কারা কারা ভোটে আসছেন সেটা দেখার পর আওয়ামী লীগ ‘কৌশল সাজাবে’ তারা কারা কারা প্রার্থী সেটা আমরা আগে দেখি। আমাদের হাতে কিন্তু সময় আছে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত, আমাদের হাতে সময় আছে। এর মধ্যে আমরা অবজার্ভ করবো, মনিটর করব, এডজাস্টমেন্ট করবো, একোমোডেট করবো। ডেমু ক্যান্ডিডেটের বিষয়টা ১৭ তারিখের মধ্যে ফাইনালাইজড হয়ে যাবে।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ঘোষিত তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে ২৯৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। আবার কোনো আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাদের প্রার্থী যেন বিজয়ী হয়ে না যান, সেজন্য ‘ডামি প্রার্থী’ রাখারও নির্দেশনা এসেছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে। ফল মনোনয়ন না পেলেও আওয়ামী লীগের অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিচ্ছেন।

এ পরিস্থিতিতে বিদ্রোহী প্রার্থীর ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নমনীয় থাকবে কি না জানতে চাইলে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, "বিএনপির কারা আসে, সবকিছু দেখে আমরা আমাদের কৌশল নির্ধারণ করব।"

৭ জানুয়ারির ভোটে বিএনপিকে আনার কোন কৌশল আওয়ামী লীগের আছে কি না, সেই প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, "আনার কৌশল আমাদের নেই। তারা (বিএনপি) এলে আমাদের আপত্তি নেই। তারা এলে স্বাগতম।"

কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন ফাঁকা রেখে ২৯৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। আবার গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের মত এবারও জোটবদ্ধ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে তারা। তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এর আগে বলেছেন, জোটভুক্ত দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার পর আসন সমন্বয় করা হবে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, "তারা কারা কারা প্রার্থী সেটা আমরা দেখি। আমাদের হাতে কিন্তু সময় আছ। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের হাতে সময় আছে। এর মধ্যে আমরা অবজার্ভ করব, মনিটর করব, অ্যাডজাস্ট করব, অ্যাকোমোডেট করব। ডামি ক্যান্ডিডেটের ব্যাপারেও বিষয়টা এরকম, ১৭ তারিখের মধ্যে সবকিছু ফাইনাল হয়ে যাবে।"

জোটের সঙ্গে সমঝোতা হলে আওয়ামী লীগ কত আসনে প্রার্থী দেবে জানতে চাইলে কাদের বলেন, "একটা কথা বলি, আমরা ৩০০ আসনেই নৌকা দেব। অ্যাডজাস্টমেন্ট যখন হবে, তখন ছেড়ে দেবো। কোনো অসুবিধা নেই।"

আসনে আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র নেওয়া দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে কী না- এ প্রশ্নে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কারা কারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চাইছেন, তা দেখেশুনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় তাদের হাতে আছে।

“নির্বাচন ফ্রি স্টাইলে হবে না। আমরা দেখি কারা কারা চাইছে। এর মধ্যে আমাদেরও একটা সিদ্ধান্ত আছে। আমাদের একটা কৌশলগত সিদ্ধান্ত আছে। সে সিদ্ধান্তের জন্য ১৭ তারিখ পর্যন্ত আমাদের হাতে সময় আছে। এর মধ্যেই আমরা পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন, সংযোজন, অ্যাকোমোডেশন সব কিছু করতে পারি।"

স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পরে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে ফের ‘প্রতিদ্বন্দ্বীহীন’ নির্বাচন হতে যাচ্ছে কী না জানতে চাইলে কাদের বলেন,”প্রথমেই নেগেটিভ ভাবছেন কেন? পজিটিভও থাকতে পারে। পরে আমরা যখন সিদ্ধান্ত নেব, তখন আপনি দেখবেন আমরা কি সিদ্ধান্ত নিই। সেটার ওপর আপনি মন্তব্য করতে পারেন। এখন বিষয়টাকে আমরা ‘না’ বোধক ভাবে দেখব কেন? ঘটনাটা ঘটে যাক, তারপর আমরা কমেন্ট করব।"

নির্বাচন নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও সিইসির মন্তব্যের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, "প্রথম কথা হচ্ছে, দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে মন্তব্য করছে। বিদেশি বন্ধুরাও এখানে পরিস্থিতি অবজার্ভ করছে। ইতোমধ্যে ১০০ পর্যবেক্ষক আসবে এমন আভাস আমরা পাচ্ছি। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। এখানে নানা মানুষের নানা মত থাকবেই।

“আমাদের টার্গেট হল একটা পিসফুল, ফ্রী, ফেয়ার, ক্রেডিবল ইলেকশন করা। ইলেকশন চলাকালে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন কথা বলতে পারে। এখন আল্টিমেটলি আমরাও একটা পিসফুল ইলেকশন দিয়ে সবাইকে দেখিয়ে দিতে চাই আমরা ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশনের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি। তারপর অনেক সমালোচনায় হয়ত বন্ধ হয়ে যাবে।“

নির্বাচন সুন্দরভাবে হয়ে যাওযার পর ভোট নিয়ে যাবতীয় সমালোচনা-জল্পনা-কল্পনার ‘অবসান ঘটবে’ জানিয়ে কাদের বলেন, “ভোট নিয়ে সিইসি কি বলছেন সেটা আপনি তাকে জিজ্ঞেস করুন। সিইসির মন্তব্যের ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই।"

সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা ‘ক্ষমতাসীনদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে’ বলে বিবৃতি দিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। নির্বাচন ঘিরে ঘটে যাওয়া নানা ধরনের সহিংসতার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে তারা।

আবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ‘বাইরের থাবা এসেছে’ মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দেশের অর্থনীতি ও ভবিষ্যৎ বাঁচাতে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।

নির্বাচনী বিধি মানতে প্রার্থী ও দলীয় নেতা কর্মীদের শেখ হাসিনা সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে কাদের বলেন, “ সবাইকে আচরণ বিধি মেনে চলার জন্য, বিশেষ করে কাল পরশু মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ব্যাপার আছে, এখন সেখানে একটা শোডাউন বা গ্যাদারিং করে যেটা নির্বাচন কমিশনের আচরণ বিধির পরিপন্থি হয় এমন কিছু করা যাবে না।"

ছবি

সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া মানে প্রশাসন ব্যর্থ: মির্জা ফখরুল

ছবি

রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডলকে ৭ দিনের রিমান্ড, ডিম ও জুতা নিক্ষেপ

ছবি

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ গ্রেফতার

ছবি

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আকাশপথে ভ্রমণের উপযোগী নয় : ডা. জাহিদ

ছবি

৬ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

ছবি

আওয়ামী লীগের মতো করলে আমাদেরও একই দশা হবে: মির্জা ফখরুল

ছবি

বিকালে বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া

ছবি

সাবেক এমপি সেলিম আলতাফ জর্জ গ্রেফতার

ছবি

নির্বাচিত সরকার ছাড়া সংস্কার স্থায়ী হয় না: তারেক রহমান

ছবি

সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন তিন দিনের রিমান্ডে

ছবি

অনুপ্রবেশচেষ্টার মামলায় জামিন পেলেন মানিক, অন্য মামলায় কারাগারে

ছবি

মোজাম্মেল বাবু ও শাহরিয়ার ৭ দিনের রিমান্ডে

ছবি

একটি মহল অন্তর্বর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকাল ক্ষমতায় রাখতে চায় : মির্জা ফখরুল

ছবি

রাজশাহীর সাবেক এমপি এনামুল গ্রেফতার

ছবি

গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ৪২২ জন বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিল : ফখরুল

ছবি

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ফ্ল্যাট করে নিহতদের পরিবারকে দেয়ার দাবী ইনকিলাব সম্পাদকের

ছবি

আ. লীগ শাসনামলে আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে ভাতা দিতে হবে: ফখরুল

ছবি

স্থগিত হলো গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কমিটি ও কার্যক্রম

ছবি

জাতীয় ঐক্য তৈরিতে কাজ করবে জাতীয় নাগরিক কমিটি

ছবি

‘দুর্যোগপূর্ণ’ আবহাওয়া, বিএনপির সমাবেশ পেছাল দুদিন

সুপরিকল্পিতভাবে ঐক্য বিনষ্টের চেষ্টা চলছে, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে : মির্জা ফখরুল

সংস্কার শেষে অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত নির্বাচনের দিকে যাবে, আশা ফখরুলের

ছবি

যথাশিগগির সংস্কার শেষে নির্বাচনে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার, আশা ফখরুলের

ছবি

হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া

ছবি

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক

দেশে এখনো আওয়ামী লীগের ঘাতকরা রয়ে গেছে - সিলেটে রিজভী

ছবি

নড়াইলে মাশরাফী ও তার বাবাসহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

কুষ্টিয়ায় যুবদল নেতার উসকানিমূলক বক্তব্য, ফেসবুকে ভিডিও ভাইরাল

ছবি

বিএনপি নেতাদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও ব্যানার-ফেস্টুন প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা

ছবি

ভারতের প্রভুসুলভ আচরণ প্রতিবেশীদের জন্য শুভ নয়: মির্জা ফখরুল

ছবি

নতুন রাজনৈতিক প্লাটফর্ম ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’র আত্মপ্রকাশ

ছবি

কিশোর হত্যা: সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান কারাগারে

ছবি

কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হবে : ফয়জুল করিম

ছবি

‘যুবলীগ-শ্রমিক লীগই’ পরিবহনে বোমা মেরে বিরোধীদের মামলা দিত

ছবি

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে জাতীয় নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ আজ

ছবি

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি ভারতের শ্রদ্ধা প্রয়োজন: রুহুল কবির রিজভী

tab

রাজনীতি

বিএনপির কারা ভোটে আসছে,কারা আসছেন না জানা যাবে ৩০ নভেম্বর

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

বিএনপির কেউ কেউ নির্বাচনে আসতে পারেন এবং প্রস্তুতিও নিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার ৩০ তারিখ, কাল বাদে পরশু। এর মধ্যেই তো পরিষ্কার হয়ে যাবে কারা আসলেন আর কারা আসলেন না।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ধানমন্ডির আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন,সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে কারা কারা ভোটে আসছেন সেটা দেখার পর আওয়ামী লীগ ‘কৌশল সাজাবে’ তারা কারা কারা প্রার্থী সেটা আমরা আগে দেখি। আমাদের হাতে কিন্তু সময় আছে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত, আমাদের হাতে সময় আছে। এর মধ্যে আমরা অবজার্ভ করবো, মনিটর করব, এডজাস্টমেন্ট করবো, একোমোডেট করবো। ডেমু ক্যান্ডিডেটের বিষয়টা ১৭ তারিখের মধ্যে ফাইনালাইজড হয়ে যাবে।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ঘোষিত তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে ২৯৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। আবার কোনো আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাদের প্রার্থী যেন বিজয়ী হয়ে না যান, সেজন্য ‘ডামি প্রার্থী’ রাখারও নির্দেশনা এসেছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে। ফল মনোনয়ন না পেলেও আওয়ামী লীগের অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিচ্ছেন।

এ পরিস্থিতিতে বিদ্রোহী প্রার্থীর ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নমনীয় থাকবে কি না জানতে চাইলে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, "বিএনপির কারা আসে, সবকিছু দেখে আমরা আমাদের কৌশল নির্ধারণ করব।"

৭ জানুয়ারির ভোটে বিএনপিকে আনার কোন কৌশল আওয়ামী লীগের আছে কি না, সেই প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, "আনার কৌশল আমাদের নেই। তারা (বিএনপি) এলে আমাদের আপত্তি নেই। তারা এলে স্বাগতম।"

কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন ফাঁকা রেখে ২৯৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। আবার গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের মত এবারও জোটবদ্ধ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে তারা। তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এর আগে বলেছেন, জোটভুক্ত দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার পর আসন সমন্বয় করা হবে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, "তারা কারা কারা প্রার্থী সেটা আমরা দেখি। আমাদের হাতে কিন্তু সময় আছ। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের হাতে সময় আছে। এর মধ্যে আমরা অবজার্ভ করব, মনিটর করব, অ্যাডজাস্ট করব, অ্যাকোমোডেট করব। ডামি ক্যান্ডিডেটের ব্যাপারেও বিষয়টা এরকম, ১৭ তারিখের মধ্যে সবকিছু ফাইনাল হয়ে যাবে।"

জোটের সঙ্গে সমঝোতা হলে আওয়ামী লীগ কত আসনে প্রার্থী দেবে জানতে চাইলে কাদের বলেন, "একটা কথা বলি, আমরা ৩০০ আসনেই নৌকা দেব। অ্যাডজাস্টমেন্ট যখন হবে, তখন ছেড়ে দেবো। কোনো অসুবিধা নেই।"

আসনে আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র নেওয়া দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে কী না- এ প্রশ্নে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কারা কারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চাইছেন, তা দেখেশুনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় তাদের হাতে আছে।

“নির্বাচন ফ্রি স্টাইলে হবে না। আমরা দেখি কারা কারা চাইছে। এর মধ্যে আমাদেরও একটা সিদ্ধান্ত আছে। আমাদের একটা কৌশলগত সিদ্ধান্ত আছে। সে সিদ্ধান্তের জন্য ১৭ তারিখ পর্যন্ত আমাদের হাতে সময় আছে। এর মধ্যেই আমরা পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন, সংযোজন, অ্যাকোমোডেশন সব কিছু করতে পারি।"

স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পরে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে ফের ‘প্রতিদ্বন্দ্বীহীন’ নির্বাচন হতে যাচ্ছে কী না জানতে চাইলে কাদের বলেন,”প্রথমেই নেগেটিভ ভাবছেন কেন? পজিটিভও থাকতে পারে। পরে আমরা যখন সিদ্ধান্ত নেব, তখন আপনি দেখবেন আমরা কি সিদ্ধান্ত নিই। সেটার ওপর আপনি মন্তব্য করতে পারেন। এখন বিষয়টাকে আমরা ‘না’ বোধক ভাবে দেখব কেন? ঘটনাটা ঘটে যাক, তারপর আমরা কমেন্ট করব।"

নির্বাচন নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও সিইসির মন্তব্যের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, "প্রথম কথা হচ্ছে, দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে মন্তব্য করছে। বিদেশি বন্ধুরাও এখানে পরিস্থিতি অবজার্ভ করছে। ইতোমধ্যে ১০০ পর্যবেক্ষক আসবে এমন আভাস আমরা পাচ্ছি। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। এখানে নানা মানুষের নানা মত থাকবেই।

“আমাদের টার্গেট হল একটা পিসফুল, ফ্রী, ফেয়ার, ক্রেডিবল ইলেকশন করা। ইলেকশন চলাকালে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন কথা বলতে পারে। এখন আল্টিমেটলি আমরাও একটা পিসফুল ইলেকশন দিয়ে সবাইকে দেখিয়ে দিতে চাই আমরা ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশনের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি। তারপর অনেক সমালোচনায় হয়ত বন্ধ হয়ে যাবে।“

নির্বাচন সুন্দরভাবে হয়ে যাওযার পর ভোট নিয়ে যাবতীয় সমালোচনা-জল্পনা-কল্পনার ‘অবসান ঘটবে’ জানিয়ে কাদের বলেন, “ভোট নিয়ে সিইসি কি বলছেন সেটা আপনি তাকে জিজ্ঞেস করুন। সিইসির মন্তব্যের ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই।"

সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা ‘ক্ষমতাসীনদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে’ বলে বিবৃতি দিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। নির্বাচন ঘিরে ঘটে যাওয়া নানা ধরনের সহিংসতার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে তারা।

আবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ‘বাইরের থাবা এসেছে’ মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দেশের অর্থনীতি ও ভবিষ্যৎ বাঁচাতে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।

নির্বাচনী বিধি মানতে প্রার্থী ও দলীয় নেতা কর্মীদের শেখ হাসিনা সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে কাদের বলেন, “ সবাইকে আচরণ বিধি মেনে চলার জন্য, বিশেষ করে কাল পরশু মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ব্যাপার আছে, এখন সেখানে একটা শোডাউন বা গ্যাদারিং করে যেটা নির্বাচন কমিশনের আচরণ বিধির পরিপন্থি হয় এমন কিছু করা যাবে না।"

back to top