alt

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার পদ থেকে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ইস্তফা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস বুধবার এ তথ্য জানিয়ে বলেন,‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে।’

এর আগে গত ১৯ নভেম্বর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম পদত্যাগপত্র জমা দেন। তারা তিনজনই দায়িত্ব পালন করছিলেন টেকনোক্র্যাট হিসেবে; অর্থাৎ, এমপি না হয়েও তারা মন্ত্রিসভায় এসেছিলেন।

ওই দিনই পদত্যাগপত্র দেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারাও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নন। প্রধানমন্ত্রী তাদের মন্ত্রী পদমর্যাদায় উপদেষ্টার দায়িত্ব দিয়েছেন।

ওই তিনজন ছাড়াও মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা, সজীব আহমেদ ওয়াজেদ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং সালমান ফজলুর রহমান বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

তাদের মধ্যে সালমান ফজলুর রহমান সংসদ সদস্য। ফলে তার ক্ষেত্রে পদত্যাগের প্রশ্ন আসছে না।

আর উপদেষ্টা হিসেবে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নিয়োগ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন গত ২০ নভেম্বর সাংবদিকদের বলেছিলেন, “উনার নিয়োগ পুরোটাই অবৈতনিক। উনি তো কোনো সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেন না। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে যাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া করা হয়েছে, তাদেরটা এখান থেকে (প্রক্রিয়া) হচ্ছে। যাদেরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ করেছেন, তারা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।”

আওয়ামী লীগের গত সরকারের মেয়াদেও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি তাকে আবারও সেই দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী।

গত ৩১ অক্টোবরে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালে যেভাবে নির্বাচনকালীন সরকার পরিচালনা করা হয়েছিল, এবারও একই রকম পরিকল্পনা করেছেন তিনি।

সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে কিছু বলা নেই। ২০১৮ সালের নভেম্বরে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগের দিন টেকনোক্র্যাট চার মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলা হয় এবং তারা পদত্যাগপত্র জমাও দেন। বাকি মন্ত্রীরা সবাই রুটিন কাজ করে গেছেন। কেবল নির্বাচিত মন্ত্রীদের নিয়েই ওই ‘নির্বাচনকালীন’ সরকার পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনের আগের সর্বদলীয় নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুরোনো কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে নতুন করে ছয়জনকে যুক্ত করা হয়।

আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই ও প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রচার চালানোর সুযোগ পাবেন প্রার্থীরা।

ছবি

সাংবাদিকদের ‘দলাদলি, রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির’ সমালোচনায় ফখরুল

ছবি

পোরশায় বিএনপির নির্বাচনী জনসভা

ছবি

নারীরাই ধানের শীষের অন্যতম চালিকা শক্তি : সেলিমা রহমান

ছবি

সাংঘর্ষিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় বিএনপি

কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো আইন থাকবে না: সালাহউদ্দিন

ছবি

প্রশাসনকে কীভাবে দখল করতে হবে, নেতারা প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে: নাহিদ ইসলাম

ছবি

।কোরআন–সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন থাকবে না: সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি

মনোনয়ন পরিবর্তনে ব্যতিক্রমী রিভিউ!

ছবি

শ্রীনগরে এক মঞ্চে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ৩ নেতা

ছবি

নির্বাচন: প্রশাসন ‘আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে’, বললেন জামায়াতের শাহজাহান চৌধুরী

ছবি

আ’লীগের বিচারের দাবিতে এনসিপির মিছিল

ছবি

নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

রাজনৈতিক চেতনা ব্যবসার পরিণতি শুভ হয় না: সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি

‘জামায়াতের টিকেট কাটলে জান্নাতের টিকেট, কোথায় আছে প্রশ্ন ফখরুলের

ছবি

সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট, ‘জেনোসাইডের’ কথা বললেন জামায়াত আমির

ছবি

একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের নির্দেশ, প্রস্তুতিতে ইসি

ছবি

হাটহাজারীতে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ

ছবি

সশস্ত্র বাহিনী জাতির আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে: তারেক রহমান

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে: বিএনপি

ছবি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনরুজ্জীবন: নতুন রায়ে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কাঠামোতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত

ছবি

বাগাতিপাড়ায় পুতুলের পক্ষে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা

ছবি

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য সাবেক প্রতিমন্ত্রীসহ ৭ জনের লিখিত আবেদন

ছবি

ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না থাকলে বাতিল হবে পোস্টাল ব্যালটের ভোট

ছবি

জুলাই গণহত্যার বিচার যেন প্রতীকী না হয়: সিপিবি

ছবি

নির্বাচনকে সামনে রেখে সিপিবির মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু বৃহস্পতিবার

ছবি

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে ‘মব ভায়োলেন্স’ থেকে সরে আসতে হবে: মির্জা ফখরুল

ছবি

আসন সমঝোতা করে নির্বাচনে আট দলের প্রস্তুতি, সমান সুযোগ নিশ্চিতের দাবি

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য তারেক রহমানের কাছে লিখিত আবেদন

ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন: ইসিকে ‘শক্ত অবস্থান’ নেওয়ার আহ্বান বিএনপির

ছবি

ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা চাইলেন সিইসি নাসির উদ্দিন

ছবি

মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে অনশন

ছবি

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

ছবি

জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের ন্যায্য রূপান্তর: রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য ১২ দফার নাগরিক ইশতেহার

ছবি

নির্বাচনী উৎসবমুখর পরিবেশ গড়তে ২৫ কোটি টাকার প্রচার কার্যক্রমে নীতিগত অনুমোদন

ছবি

প্রবাসী বাংলাদেশিদের পোস্টাল ভোট: ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ চালু, অঞ্চলভিত্তিক নিবন্ধন শুরু বুধবার

ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন দুই রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দিল ইসি

tab

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার পদ থেকে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ইস্তফা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস বুধবার এ তথ্য জানিয়ে বলেন,‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে।’

এর আগে গত ১৯ নভেম্বর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম পদত্যাগপত্র জমা দেন। তারা তিনজনই দায়িত্ব পালন করছিলেন টেকনোক্র্যাট হিসেবে; অর্থাৎ, এমপি না হয়েও তারা মন্ত্রিসভায় এসেছিলেন।

ওই দিনই পদত্যাগপত্র দেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারাও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নন। প্রধানমন্ত্রী তাদের মন্ত্রী পদমর্যাদায় উপদেষ্টার দায়িত্ব দিয়েছেন।

ওই তিনজন ছাড়াও মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা, সজীব আহমেদ ওয়াজেদ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং সালমান ফজলুর রহমান বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

তাদের মধ্যে সালমান ফজলুর রহমান সংসদ সদস্য। ফলে তার ক্ষেত্রে পদত্যাগের প্রশ্ন আসছে না।

আর উপদেষ্টা হিসেবে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নিয়োগ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন গত ২০ নভেম্বর সাংবদিকদের বলেছিলেন, “উনার নিয়োগ পুরোটাই অবৈতনিক। উনি তো কোনো সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেন না। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে যাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া করা হয়েছে, তাদেরটা এখান থেকে (প্রক্রিয়া) হচ্ছে। যাদেরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ করেছেন, তারা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।”

আওয়ামী লীগের গত সরকারের মেয়াদেও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি তাকে আবারও সেই দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী।

গত ৩১ অক্টোবরে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালে যেভাবে নির্বাচনকালীন সরকার পরিচালনা করা হয়েছিল, এবারও একই রকম পরিকল্পনা করেছেন তিনি।

সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে কিছু বলা নেই। ২০১৮ সালের নভেম্বরে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগের দিন টেকনোক্র্যাট চার মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলা হয় এবং তারা পদত্যাগপত্র জমাও দেন। বাকি মন্ত্রীরা সবাই রুটিন কাজ করে গেছেন। কেবল নির্বাচিত মন্ত্রীদের নিয়েই ওই ‘নির্বাচনকালীন’ সরকার পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনের আগের সর্বদলীয় নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুরোনো কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে নতুন করে ছয়জনকে যুক্ত করা হয়।

আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই ও প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রচার চালানোর সুযোগ পাবেন প্রার্থীরা।

back to top