দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোয়নপত্র জমা দেয়ার সময় বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা না দেয়া বিএনপিসহ বেশকিছু দল এই নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ হারিয়েছে- নির্বাচন কমিশন সচিবের বক্তব্যে এমন ইঙ্গিতই এসেছে।
বিএনপি নির্বাচনে আসার আগ্রহের কথা জানালে প্রয়োজনে পুনঃতফসিলের আশ্বাস দেয়া কাজী হাবিুবল আউয়াল কমিশন এখন বলছে, ‘মনোনয়নপত্র জমার সময় শেষ। এই সময়সীমা বাড়ানোর আর কোনো সুযোগ নেই’।
আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় সময় শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানেক পর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সামনে আসেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
তিনি বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমার সময় আর বাড়ানো বাড়ানো হচ্ছে না। বিকেল ৪টায় সময় শেষ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন মনে করে, এ সময়সীমা বাড়ানোর আর কোনো সুযোগ নেই।’
বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল এখনও মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি, ইতোমধ্যে সময় শেষ হয়েছে, আর কোনো সুযোগ আছে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘সময়সীমা অতিক্রম হয়েছে বিধায়, এই সীমা বর্ধিতকরণের আর কোনো সুযোগ নেই।’
তাহলে বিএনপিকে ছাড়াই কি নির্বাচন হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা আপনারা বুঝে নেন।’
নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে বড় দুই দলের পল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যেই গত ১৫ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি ও সমমনা দলগুলো তফসিল প্রত্যাখ্যান করে। সরকার বিরোধীরা যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার ও সাপ্তাহিক ছুটির দুটি দিন বিরতি রেখে টানা অবরোধ ও হরতাল চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে বিএনএফসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল তফসিল পেছানোর দাবিও জানায়।
‘বিএনপি ভোটে এলে আইন অনুযায়ী তফসিল পেছানোর সুযোগ আছে’, এমনটা একাধিক নির্বাচন কমিশনারও বলেছেন।
তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা তফসিল পেছানোর বিপক্ষে অবস্থান নেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল মো. ফারুক খান (অব.) বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাইলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তাদের আসা উচিত।
তিনি বলেন, ‘একটি দলের জন্য নির্বাচন পেছানোর কোন অর্থ নেই। সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখতে হলে কমিশন ঘোষিত তফসিলেই সবাইকে নির্বাচনে আসতে হবে।’
বিএনপি ও সমমনা দলগুলো দশম দফায় আগামী রোববার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত রাজপথ, রেলপথ, নৌপথে বিএনপি অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, ‘আপনারা আগে থেকেই অবহিত রয়েছেন, অদ্য বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়সীমা অতিক্রম করেছে। প্রার্থীরা রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।’
তিনি বলেন, কোন আসনে কারা কারা প্রার্থী হয়েছে তা পরে জানানো হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বসেন। বিকেলে জনপ্রশাসন সচিব, সকালে জননিরাপত্তা বিভাগ সচিব, আইজিপির সঙ্গে ইসির বৈঠক হয়।
আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সাক্ষাৎ করেছিলেন। বিশেষ করে আইজিপি সামগ্রিক বিষয় অবহিত করেছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কোনো নির্দেশনা আছে কিনা, তা জেনে নিয়েছেন। পরবর্তীতে সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।’
জাহাংগীর আলম জানান, কিছু কিছু প্রার্থী কোনো কোনো জায়গায় আচরণবিধি ভঙ্গ করায় নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি তাদেরকে তলব করেছেন। এছাড়া রিটার্নিং অফিসারের মাধ্যমে নির্বাহী হাকিমরাও কাজ করছেন। তারা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
একাদশ সংসদের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি, সেই সংসদের মেয়াদ আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে। ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর।
দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৪টি। ইসির একটি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ উনত্রিশটি দল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও বর্জন করছে বিএনপিসহ পনেরোটি দল। সূত্র বলছে, জেলা নির্বাচন অফিসগুলোর সব তথ্য ঢাকায় আসার পর এ বিষয়ে প্রকৃত তথ্য দেয়া যাবে।
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোয়নপত্র জমা দেয়ার সময় বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা না দেয়া বিএনপিসহ বেশকিছু দল এই নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ হারিয়েছে- নির্বাচন কমিশন সচিবের বক্তব্যে এমন ইঙ্গিতই এসেছে।
বিএনপি নির্বাচনে আসার আগ্রহের কথা জানালে প্রয়োজনে পুনঃতফসিলের আশ্বাস দেয়া কাজী হাবিুবল আউয়াল কমিশন এখন বলছে, ‘মনোনয়নপত্র জমার সময় শেষ। এই সময়সীমা বাড়ানোর আর কোনো সুযোগ নেই’।
আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় সময় শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানেক পর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সামনে আসেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
তিনি বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমার সময় আর বাড়ানো বাড়ানো হচ্ছে না। বিকেল ৪টায় সময় শেষ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন মনে করে, এ সময়সীমা বাড়ানোর আর কোনো সুযোগ নেই।’
বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল এখনও মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি, ইতোমধ্যে সময় শেষ হয়েছে, আর কোনো সুযোগ আছে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘সময়সীমা অতিক্রম হয়েছে বিধায়, এই সীমা বর্ধিতকরণের আর কোনো সুযোগ নেই।’
তাহলে বিএনপিকে ছাড়াই কি নির্বাচন হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা আপনারা বুঝে নেন।’
নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে বড় দুই দলের পল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যেই গত ১৫ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি ও সমমনা দলগুলো তফসিল প্রত্যাখ্যান করে। সরকার বিরোধীরা যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার ও সাপ্তাহিক ছুটির দুটি দিন বিরতি রেখে টানা অবরোধ ও হরতাল চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে বিএনএফসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল তফসিল পেছানোর দাবিও জানায়।
‘বিএনপি ভোটে এলে আইন অনুযায়ী তফসিল পেছানোর সুযোগ আছে’, এমনটা একাধিক নির্বাচন কমিশনারও বলেছেন।
তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা তফসিল পেছানোর বিপক্ষে অবস্থান নেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল মো. ফারুক খান (অব.) বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাইলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তাদের আসা উচিত।
তিনি বলেন, ‘একটি দলের জন্য নির্বাচন পেছানোর কোন অর্থ নেই। সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখতে হলে কমিশন ঘোষিত তফসিলেই সবাইকে নির্বাচনে আসতে হবে।’
বিএনপি ও সমমনা দলগুলো দশম দফায় আগামী রোববার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত রাজপথ, রেলপথ, নৌপথে বিএনপি অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, ‘আপনারা আগে থেকেই অবহিত রয়েছেন, অদ্য বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়সীমা অতিক্রম করেছে। প্রার্থীরা রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।’
তিনি বলেন, কোন আসনে কারা কারা প্রার্থী হয়েছে তা পরে জানানো হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বসেন। বিকেলে জনপ্রশাসন সচিব, সকালে জননিরাপত্তা বিভাগ সচিব, আইজিপির সঙ্গে ইসির বৈঠক হয়।
আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সাক্ষাৎ করেছিলেন। বিশেষ করে আইজিপি সামগ্রিক বিষয় অবহিত করেছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কোনো নির্দেশনা আছে কিনা, তা জেনে নিয়েছেন। পরবর্তীতে সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।’
জাহাংগীর আলম জানান, কিছু কিছু প্রার্থী কোনো কোনো জায়গায় আচরণবিধি ভঙ্গ করায় নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি তাদেরকে তলব করেছেন। এছাড়া রিটার্নিং অফিসারের মাধ্যমে নির্বাহী হাকিমরাও কাজ করছেন। তারা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
একাদশ সংসদের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি, সেই সংসদের মেয়াদ আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে। ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর।
দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৪টি। ইসির একটি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ উনত্রিশটি দল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও বর্জন করছে বিএনপিসহ পনেরোটি দল। সূত্র বলছে, জেলা নির্বাচন অফিসগুলোর সব তথ্য ঢাকায় আসার পর এ বিষয়ে প্রকৃত তথ্য দেয়া যাবে।