জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে নিয়ে সারাবিশ্বে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষমাত্রাসহ (এমডিজি) জাতিসংঘের অসংখ্য বিষয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
কাজেই শুধু দেশের পরিধি নয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব সারাবিশ্বেই সমাদৃত। বাংলাদেশকে একটা স্বল্প আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের সারিতে নিয়ে গেছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ করার লক্ষ্যে তিনি নারী ক্ষমতায়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ নানা বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
গত শনিবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকার লা মেরিডিয়ান হোটেলে আবুল হাসনাৎ মিল্টনের ‘শেখ হাসিনা: দ্য মেকিং অব অ্যান এক্সট্রাঅর্ডিনারি সাউথ এশিয়ান লিডার’ শীর্ষক ইংরেজি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে স্পিকার এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে স্পিকার বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের একজন অসাধারণ নারীই নন, দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে সমস্ত বিশ্বনেতার সারিতে নিজেকে অধিষ্ঠিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাবিশ্বের কাছে অনুকরণীয়, অনুসরণীয়। যদিও তিনি (শেখ হাসিনা) প্রায়ই বলেন, আমি টুঙ্গিপাড়া চলে যাবো, টুঙ্গিপাড়ায় থাকতে চাই।
‘তিনি সত্য কথা স্পষ্ট করে পছন্দ করেন। সেটা বলার মনোবলও তার আছে। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত বেদনাবিধূর পথ একা পার করেছেন। পঁচাত্তরের মতো ঘটনা যার ঘটে সেই বলতে পারে, তারপরও তিনি স্বাভাবিকভাবে এগিয়ে চলেছেন। বঙ্গবন্ধুর মতোই বাংলাদেশের মানুষের জন্য তার অপার ভালোবাসা’, বলেন শিরীন শারমিন চৌধুরী।
লেখক আবুল হাসনাৎ মিল্টনের প্রশংসা করে স্পিকার বলেন, লেখক সূদুর প্রবাসে বসে কাজটি সম্পাদন করেছেন। প্রত্যেকটি বিষয়কে বারবার যাচাই-বাছাই করেছেন। এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্য নিয়ে একটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। বইটি ইংরেজিতে লেখা হয়েছে, ইংরেজি ভাষাভাষী যারা তারা এই বইটি পড়ে জানতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী জীবনের ধাপে ধাপে কর্ম, সফলতা পার করে এসেছেন, সেটা এই বইতে বিভিন্ন অধ্যায়ে সাজানো হয়েছে।
বঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করাই শেখ হাসিনার দর্শন উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের জন্য তিনি বাবার মতোই কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর মতোই তিনি তার বক্তব্যে বলেছেন, বঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করাই তার দর্শন। শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের মে মাসে যখন ফিরে আসেন বাংলার মাটিতে, সেদিন স্লোগান উঠেছিল, ‘ঝড় বৃষ্টি আঁধার রাতে আমরা আছি তোমার সাথে’। শেখ হাসিনা এই বক্তব্য পুঁজি করেই এগিয়ে চলেছেন।
‘মিছিল-মিটিং করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছেন। সবকিছু ছাপিয়ে তিনি দলকেই প্রাধান্য দেন। প্রত্যন্ত এলাকায় দুর্গম পথ বেয়ে, কোথাও ভ্যান গাড়ি নৌকায় চলেছেন। তখন বাংলার মানুষের খাদ্য ছিল না। তখন তিনি ব্রত নেন, একাকিভাবে সংগ্রাম শুরু করেন। মানুষের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। ’
শেখ হাসিনার লেখক স্বত্বা সম্পর্কে স্পিকার বলেন, রাজনৈতিক পথ ধরে এত চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে চলেছেন সেটা জানতে হবে। ব্যস্ততার মধ্যেও ইতিহাসের অমূল্য দলিল তুলে ধরার পেছনে শেখ হাসিনার অবদান রয়েছে। শেখ হাসিনা বই সম্পাদনা করে ইতিহাসের অনন্য দলিল তুলে দিয়েছেন- ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’, ‘আমার দেখা নয়া চীন’ বই প্রকাশের মাধ্যমে।
রোববার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে নিয়ে সারাবিশ্বে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষমাত্রাসহ (এমডিজি) জাতিসংঘের অসংখ্য বিষয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
কাজেই শুধু দেশের পরিধি নয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব সারাবিশ্বেই সমাদৃত। বাংলাদেশকে একটা স্বল্প আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের সারিতে নিয়ে গেছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ করার লক্ষ্যে তিনি নারী ক্ষমতায়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ নানা বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
গত শনিবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকার লা মেরিডিয়ান হোটেলে আবুল হাসনাৎ মিল্টনের ‘শেখ হাসিনা: দ্য মেকিং অব অ্যান এক্সট্রাঅর্ডিনারি সাউথ এশিয়ান লিডার’ শীর্ষক ইংরেজি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে স্পিকার এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে স্পিকার বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের একজন অসাধারণ নারীই নন, দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে সমস্ত বিশ্বনেতার সারিতে নিজেকে অধিষ্ঠিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাবিশ্বের কাছে অনুকরণীয়, অনুসরণীয়। যদিও তিনি (শেখ হাসিনা) প্রায়ই বলেন, আমি টুঙ্গিপাড়া চলে যাবো, টুঙ্গিপাড়ায় থাকতে চাই।
‘তিনি সত্য কথা স্পষ্ট করে পছন্দ করেন। সেটা বলার মনোবলও তার আছে। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত বেদনাবিধূর পথ একা পার করেছেন। পঁচাত্তরের মতো ঘটনা যার ঘটে সেই বলতে পারে, তারপরও তিনি স্বাভাবিকভাবে এগিয়ে চলেছেন। বঙ্গবন্ধুর মতোই বাংলাদেশের মানুষের জন্য তার অপার ভালোবাসা’, বলেন শিরীন শারমিন চৌধুরী।
লেখক আবুল হাসনাৎ মিল্টনের প্রশংসা করে স্পিকার বলেন, লেখক সূদুর প্রবাসে বসে কাজটি সম্পাদন করেছেন। প্রত্যেকটি বিষয়কে বারবার যাচাই-বাছাই করেছেন। এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্য নিয়ে একটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। বইটি ইংরেজিতে লেখা হয়েছে, ইংরেজি ভাষাভাষী যারা তারা এই বইটি পড়ে জানতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী জীবনের ধাপে ধাপে কর্ম, সফলতা পার করে এসেছেন, সেটা এই বইতে বিভিন্ন অধ্যায়ে সাজানো হয়েছে।
বঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করাই শেখ হাসিনার দর্শন উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের জন্য তিনি বাবার মতোই কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর মতোই তিনি তার বক্তব্যে বলেছেন, বঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করাই তার দর্শন। শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের মে মাসে যখন ফিরে আসেন বাংলার মাটিতে, সেদিন স্লোগান উঠেছিল, ‘ঝড় বৃষ্টি আঁধার রাতে আমরা আছি তোমার সাথে’। শেখ হাসিনা এই বক্তব্য পুঁজি করেই এগিয়ে চলেছেন।
‘মিছিল-মিটিং করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছেন। সবকিছু ছাপিয়ে তিনি দলকেই প্রাধান্য দেন। প্রত্যন্ত এলাকায় দুর্গম পথ বেয়ে, কোথাও ভ্যান গাড়ি নৌকায় চলেছেন। তখন বাংলার মানুষের খাদ্য ছিল না। তখন তিনি ব্রত নেন, একাকিভাবে সংগ্রাম শুরু করেন। মানুষের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। ’
শেখ হাসিনার লেখক স্বত্বা সম্পর্কে স্পিকার বলেন, রাজনৈতিক পথ ধরে এত চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে চলেছেন সেটা জানতে হবে। ব্যস্ততার মধ্যেও ইতিহাসের অমূল্য দলিল তুলে ধরার পেছনে শেখ হাসিনার অবদান রয়েছে। শেখ হাসিনা বই সম্পাদনা করে ইতিহাসের অনন্য দলিল তুলে দিয়েছেন- ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’, ‘আমার দেখা নয়া চীন’ বই প্রকাশের মাধ্যমে।