দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আসন বণ্টন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করতে আগামীকাল (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের নেতারা। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এই জোটেরও প্রধান।
জোট শরীক বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী রোববার রাতে সংবাদকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডেকেছেন। আগামীকাল (সোমবার) সন্ধ্যা ৬টায় গণভবনে আমারা ১৪ দলের নেতারা যাবো। সেখানে বৈঠকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কৌশল, আসন বণ্টন, সমসাময়িক রাজনীতি এবং নির্বাচন পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।’
দশম থেকে একাদশ; বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচনেই ১৪ দল জোটগত নির্বাচন করেছে। সর্বশেষ গত ১৯ জুলাই গণভবনে ১৪ দলের বৈঠক হয়। এতে জোটের প্রধান শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন, ১৪ দল জোটগতভাবেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে।
তবে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর আসন (কুষ্টিয়া-২) বাদ রেখে শরিকদের সব আসনেই এবার প্রার্থী দেয় আওয়ামী লীগ। এরমধ্যে, জোটগত ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কৌশলী বক্তব্য শরিক নেতাদের মধ্যে সংশয় তৈরি করে।
যদিও তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যানসহ কয়েকটি দলের নেতা আশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহরের যেহেতু সময় রয়েছে, এর আগে জোটের আসন বণ্টন নিয়ে সমঝোতা হয়ে যাবে।
এদিকে, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর সঙ্গে দেখা করে জোট শরিকরা আসন বণ্টনের বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যান। জোটের একাধিক সূত্র বলছে, শরিকদের কারা কোন কোন আসনে প্রার্থী দিয়েছেন এ সংক্রান্ত তালিকা জোট সমন্বয়কের কাছে জমাও দেয়া হয়। সূত্র জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় গণভবনের বৈঠকে আমু এই তালিকা উপস্থাপন করবেন।
একাদশ সংসদে সংরক্ষিত আসন বাদে ১৪ দলের শরিকদের মোট আসন আছে ৮টি। এর মধ্যে, ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের তিনটি করে এবং তরিকত ফেডারেশন ও জাতীয় পার্টির (জেপি) একটি করে আসন।
ক্ষমতাসীন দলের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, জোট শরিকরা বরাবরের মতো এবারও বেশি আসন সক্ষমতার চেয়ে বেশি আসন দাবি করেছে। তবে শরিকদের মধ্যে বর্তমানে যারা সংসদ সদস্য আছেন, তাদের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ছাড় দেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছে আওয়ামী লীগ।
সম্প্রতি এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন সংবাদকে বলেন, ‘এটা তো নেগোসিয়েশনের (আলাপ-আলোচনা) বিষয়। এখনই বলা যাবে না।’
এর আগে, গত ২৪ অক্টোবর ঢাকার ইস্কাটনে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর বাসভবনে জোটের এক সভা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ওই সময়ই জোটের আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করার কথা বলেছিরেন জোটের শরিক নেতারা। তখন আওয়ামী লীগ জানিয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর, শরিকরা কে কয়টি আসন পাবে, তা চূড়ান্ত করা হবে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট কেন্দ্রীয় ১৪ দলের বর্তমান শরিক দলগুলো হলো- ওয়ার্কাস পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), গণতন্ত্রী পার্টি, সাম্যবাদী দল (এমএল), তরিকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, ন্যাপ (মোজাফফর), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ, রেজাউর), জাতীয় পার্টি (জেপি, মঞ্জু), গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি এবং গণ-আজাদী লীগ।আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর
রোববার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আসন বণ্টন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করতে আগামীকাল (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের নেতারা। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এই জোটেরও প্রধান।
জোট শরীক বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী রোববার রাতে সংবাদকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডেকেছেন। আগামীকাল (সোমবার) সন্ধ্যা ৬টায় গণভবনে আমারা ১৪ দলের নেতারা যাবো। সেখানে বৈঠকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কৌশল, আসন বণ্টন, সমসাময়িক রাজনীতি এবং নির্বাচন পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।’
দশম থেকে একাদশ; বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচনেই ১৪ দল জোটগত নির্বাচন করেছে। সর্বশেষ গত ১৯ জুলাই গণভবনে ১৪ দলের বৈঠক হয়। এতে জোটের প্রধান শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন, ১৪ দল জোটগতভাবেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে।
তবে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর আসন (কুষ্টিয়া-২) বাদ রেখে শরিকদের সব আসনেই এবার প্রার্থী দেয় আওয়ামী লীগ। এরমধ্যে, জোটগত ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কৌশলী বক্তব্য শরিক নেতাদের মধ্যে সংশয় তৈরি করে।
যদিও তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যানসহ কয়েকটি দলের নেতা আশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহরের যেহেতু সময় রয়েছে, এর আগে জোটের আসন বণ্টন নিয়ে সমঝোতা হয়ে যাবে।
এদিকে, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর সঙ্গে দেখা করে জোট শরিকরা আসন বণ্টনের বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যান। জোটের একাধিক সূত্র বলছে, শরিকদের কারা কোন কোন আসনে প্রার্থী দিয়েছেন এ সংক্রান্ত তালিকা জোট সমন্বয়কের কাছে জমাও দেয়া হয়। সূত্র জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় গণভবনের বৈঠকে আমু এই তালিকা উপস্থাপন করবেন।
একাদশ সংসদে সংরক্ষিত আসন বাদে ১৪ দলের শরিকদের মোট আসন আছে ৮টি। এর মধ্যে, ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের তিনটি করে এবং তরিকত ফেডারেশন ও জাতীয় পার্টির (জেপি) একটি করে আসন।
ক্ষমতাসীন দলের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, জোট শরিকরা বরাবরের মতো এবারও বেশি আসন সক্ষমতার চেয়ে বেশি আসন দাবি করেছে। তবে শরিকদের মধ্যে বর্তমানে যারা সংসদ সদস্য আছেন, তাদের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ছাড় দেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছে আওয়ামী লীগ।
সম্প্রতি এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন সংবাদকে বলেন, ‘এটা তো নেগোসিয়েশনের (আলাপ-আলোচনা) বিষয়। এখনই বলা যাবে না।’
এর আগে, গত ২৪ অক্টোবর ঢাকার ইস্কাটনে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর বাসভবনে জোটের এক সভা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ওই সময়ই জোটের আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করার কথা বলেছিরেন জোটের শরিক নেতারা। তখন আওয়ামী লীগ জানিয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর, শরিকরা কে কয়টি আসন পাবে, তা চূড়ান্ত করা হবে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট কেন্দ্রীয় ১৪ দলের বর্তমান শরিক দলগুলো হলো- ওয়ার্কাস পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), গণতন্ত্রী পার্টি, সাম্যবাদী দল (এমএল), তরিকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, ন্যাপ (মোজাফফর), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ, রেজাউর), জাতীয় পার্টি (জেপি, মঞ্জু), গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি এবং গণ-আজাদী লীগ।আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর