জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করে আওয়ামী লীগ যদি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, সেক্ষেত্রে বিরোধী দল কে হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘দাঁড়িয়ে যাবে বিরোধী দল।’
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আসেন কাদের। বিরোধী দল কারা হবে, সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এখানে আরও অনেক দল আছে না? এখানে তৃণমূল (তৃণমূল বিএনপি) আছে না? তৃণমূল তো বিরাট জোট। তাদেরকে আপনি বিচ্ছিন্ন করবেন কেমন করে। সুপ্রিম পার্টি আছে, আরও কত পার্টি।’
নবম থেকে একাদশ সংসদ; গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের দুটিতে আওয়ামী লীগের জোটের শরিক হিসেবে ছিল জাতীয় পার্টি (জাপা)। বিএনপি-জামায়াতের বর্জনে দশম সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ক্ষমতাসীনদের জোটে ছিল না। বিএনপি এবারও ভোট বর্জন করায় জাতীয় পার্টিকে জোটে রাখেনি আওয়ামী লীগ।
দশম সংসদ নির্বাচনে ৩৪টি আসনে এবং একাদশে ২৬টি আসনে জাপার প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। দুইবারই সংসদের বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছে জাপা।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে কোথাও ছাড় দেয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘১৪ দলের সঙ্গে ইতোমধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেটা দুই একদিনের মধ্যে ঠিক হবে। আর জাতীয় পার্টি এক সময় আমাদের মহাজোটে ছিল। তারা নির্বাচনে করছে। সুতরাং আলোচনা হওয়ার আগে কিছু বলা সম্ভব নয়।’
জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি হলে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ কারা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব প্রতিদ্বন্দ্বী আমাদের প্রতিপক্ষ। যারা নির্বাচন করছে তারা সবাই পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। আমাদের দলের সভাপতির আসনে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিযোগিতা তো হচ্ছে।’
বিএনপি নিজেদের ভুলের রাজনীতির কারণেই ‘জামায়াতের বি টিমে’ পরিণত হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আজকে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতা দিয়ে আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। মানবাধিকার দিবসে সারাদেশ একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা নিয়ে তারা এগোচ্ছে। জামায়াতকে বিএনপি একান্তভাবে তাদের পাশে চায়।’
মানবাধিকার দিবসে বিএনপি নাশকতা করতে পারে- এমন গোয়েন্দা খবর থাকার কথা জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা খোঁজখবর নিয়েই কথা বলছি। সরকারি দল হিসেবে আমাদের খোঁজখবর নেয়ার সুযোগটা বেশি। তাছাড়া বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা ইতঃপূর্বে যে সমস্ত খবর পেয়েছি, বাস্তবেও সেগুলোর মিল পেয়েছি।’
১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবসে আওয়ামী লীগ সমাবেশ করছে না জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যেহেতু নির্বাচন কমিশন মানবাধিকার দিবসে সমাবেশ করার অনুমতি দিতে অপারগত প্রকাশ করেছেন, সেহেতু আমরা সমাবেশ করব না। তবে দিবসটি ঘিরে আওয়ামী লীগের ঘরোয়া কর্মসূচি থাকবে।’
বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করে আওয়ামী লীগ যদি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, সেক্ষেত্রে বিরোধী দল কে হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘দাঁড়িয়ে যাবে বিরোধী দল।’
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আসেন কাদের। বিরোধী দল কারা হবে, সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এখানে আরও অনেক দল আছে না? এখানে তৃণমূল (তৃণমূল বিএনপি) আছে না? তৃণমূল তো বিরাট জোট। তাদেরকে আপনি বিচ্ছিন্ন করবেন কেমন করে। সুপ্রিম পার্টি আছে, আরও কত পার্টি।’
নবম থেকে একাদশ সংসদ; গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের দুটিতে আওয়ামী লীগের জোটের শরিক হিসেবে ছিল জাতীয় পার্টি (জাপা)। বিএনপি-জামায়াতের বর্জনে দশম সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ক্ষমতাসীনদের জোটে ছিল না। বিএনপি এবারও ভোট বর্জন করায় জাতীয় পার্টিকে জোটে রাখেনি আওয়ামী লীগ।
দশম সংসদ নির্বাচনে ৩৪টি আসনে এবং একাদশে ২৬টি আসনে জাপার প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। দুইবারই সংসদের বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছে জাপা।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে কোথাও ছাড় দেয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘১৪ দলের সঙ্গে ইতোমধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেটা দুই একদিনের মধ্যে ঠিক হবে। আর জাতীয় পার্টি এক সময় আমাদের মহাজোটে ছিল। তারা নির্বাচনে করছে। সুতরাং আলোচনা হওয়ার আগে কিছু বলা সম্ভব নয়।’
জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি হলে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ কারা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব প্রতিদ্বন্দ্বী আমাদের প্রতিপক্ষ। যারা নির্বাচন করছে তারা সবাই পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। আমাদের দলের সভাপতির আসনে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিযোগিতা তো হচ্ছে।’
বিএনপি নিজেদের ভুলের রাজনীতির কারণেই ‘জামায়াতের বি টিমে’ পরিণত হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আজকে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতা দিয়ে আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। মানবাধিকার দিবসে সারাদেশ একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা নিয়ে তারা এগোচ্ছে। জামায়াতকে বিএনপি একান্তভাবে তাদের পাশে চায়।’
মানবাধিকার দিবসে বিএনপি নাশকতা করতে পারে- এমন গোয়েন্দা খবর থাকার কথা জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা খোঁজখবর নিয়েই কথা বলছি। সরকারি দল হিসেবে আমাদের খোঁজখবর নেয়ার সুযোগটা বেশি। তাছাড়া বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা ইতঃপূর্বে যে সমস্ত খবর পেয়েছি, বাস্তবেও সেগুলোর মিল পেয়েছি।’
১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবসে আওয়ামী লীগ সমাবেশ করছে না জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যেহেতু নির্বাচন কমিশন মানবাধিকার দিবসে সমাবেশ করার অনুমতি দিতে অপারগত প্রকাশ করেছেন, সেহেতু আমরা সমাবেশ করব না। তবে দিবসটি ঘিরে আওয়ামী লীগের ঘরোয়া কর্মসূচি থাকবে।’