রাজধানীর শাহজাহানপুর ও গুলশান থানায় করা নাশকতার পৃথক দুই মামলায় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলসহ বিএনপির ২৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় ৪৫ জনকে খালাসও দিয়েছেন আদালত।
শাহজাহানপুর থানার মামলায় কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, মো. ভাসানী চাকলাদার, মো. মহসীন, মো. হানিফ হোসেন বাবু, মো. বেলাল উদ্দিন, বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব মো. রফিকুল ইসলাম মজনু, মো. তারিকুল ইসলাম জিকির, মো. বাতেন, কাজী মো. জামাল, ইমরান খান ইমন, মো. সোহাগ ভূঁইয়া, আ. সালাম খান, আরিফুর রহমান সুজন, শেখ শহিদুল্লাহ টিপু, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. আবদুল্লাহ জামাল চৌধুরী আদিত্য, মো. সেলিম, আহমেদ ও হুমায়ূন কবির নাহিদ।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের দন্ডবিধির ১৪৮ ও ৩৪ ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও দন্ডবিধির ৪২৭ ও ৩৪ ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে আসামিদের ২ বছর করে সাজা ভোগ করলেই চলবে বলেও রায়ে বলেছেন আদালত। অন্যদিকে খালাসপ্রাপ্ত ৪৪ আসার মধ্যে আবুল হোসেন ওরফে লিলু, মো. শফিউল বারী বাবু ও মো. শামসুর রহমান হুমায়ূন মামলা চলাকালীন মৃত্যুবরণ করেছেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকায় ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে নাশকতার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে। পরবর্তী সময়ে পুলিশ তদন্ত শেষে ৬৪ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এদিকে গুলশান থানার আরেক মামলায় বিএনপির নয় নেতাকর্মীকে পৃথক দুই ধারায় দুই বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন এ কারাদন্ড দেন।
কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মেহেদী বাপ্পী, মাইনুল হাসান প্রকাশ মিশু, শরিফুল, জাকির হোসেন, মজিবুর রহমান প্রকাশ মজি, মামুন চৌধুরী, রুবেল হোসেন, আতিকুর রহমান, বিল্লাল হোসেন। আসামিদের ১৮৬০ সালের পেনাল কোড আইনের ১৪৩ ধারায় ছয় মাসের কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের একই আইনের ১৪৭ ধারায় দেড় বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আমিনুল ইসলাম নামে এক আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর গুলশানে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মিছিল করে। এ সময় যানবাহন ভাঙচুরের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশের গুলশান থানার এসআই মো. নজরুল ইসলাম। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
র্যাব জানিয়েছে, ২৮ অক্টোবর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও নাশকতার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৮৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে বিএনপি এক বিবৃতিতে দাবি করেছে ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ৫৭১ মামলায় ২০ হাজার ২৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে একজন সাংবাদিকসহ ২০ জন নিহত হয়েছে। আর ২৮ জুলাইয়ের পর থেকে দলটির বিভিন্ন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ৯৭৩ মামলায় ৮৬ হাজার ২৬৮ জনকে আসামি করা হয়েছে এবং ২৩ হাজার ২৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজধানীর শাহজাহানপুর ও গুলশান থানায় করা নাশকতার পৃথক দুই মামলায় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলসহ বিএনপির ২৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় ৪৫ জনকে খালাসও দিয়েছেন আদালত।
শাহজাহানপুর থানার মামলায় কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, মো. ভাসানী চাকলাদার, মো. মহসীন, মো. হানিফ হোসেন বাবু, মো. বেলাল উদ্দিন, বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব মো. রফিকুল ইসলাম মজনু, মো. তারিকুল ইসলাম জিকির, মো. বাতেন, কাজী মো. জামাল, ইমরান খান ইমন, মো. সোহাগ ভূঁইয়া, আ. সালাম খান, আরিফুর রহমান সুজন, শেখ শহিদুল্লাহ টিপু, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. আবদুল্লাহ জামাল চৌধুরী আদিত্য, মো. সেলিম, আহমেদ ও হুমায়ূন কবির নাহিদ।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের দন্ডবিধির ১৪৮ ও ৩৪ ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও দন্ডবিধির ৪২৭ ও ৩৪ ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে আসামিদের ২ বছর করে সাজা ভোগ করলেই চলবে বলেও রায়ে বলেছেন আদালত। অন্যদিকে খালাসপ্রাপ্ত ৪৪ আসার মধ্যে আবুল হোসেন ওরফে লিলু, মো. শফিউল বারী বাবু ও মো. শামসুর রহমান হুমায়ূন মামলা চলাকালীন মৃত্যুবরণ করেছেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকায় ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে নাশকতার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে। পরবর্তী সময়ে পুলিশ তদন্ত শেষে ৬৪ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এদিকে গুলশান থানার আরেক মামলায় বিএনপির নয় নেতাকর্মীকে পৃথক দুই ধারায় দুই বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন এ কারাদন্ড দেন।
কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মেহেদী বাপ্পী, মাইনুল হাসান প্রকাশ মিশু, শরিফুল, জাকির হোসেন, মজিবুর রহমান প্রকাশ মজি, মামুন চৌধুরী, রুবেল হোসেন, আতিকুর রহমান, বিল্লাল হোসেন। আসামিদের ১৮৬০ সালের পেনাল কোড আইনের ১৪৩ ধারায় ছয় মাসের কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের একই আইনের ১৪৭ ধারায় দেড় বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আমিনুল ইসলাম নামে এক আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর গুলশানে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মিছিল করে। এ সময় যানবাহন ভাঙচুরের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশের গুলশান থানার এসআই মো. নজরুল ইসলাম। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
র্যাব জানিয়েছে, ২৮ অক্টোবর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও নাশকতার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৮৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে বিএনপি এক বিবৃতিতে দাবি করেছে ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ৫৭১ মামলায় ২০ হাজার ২৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে একজন সাংবাদিকসহ ২০ জন নিহত হয়েছে। আর ২৮ জুলাইয়ের পর থেকে দলটির বিভিন্ন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ৯৭৩ মামলায় ৮৬ হাজার ২৬৮ জনকে আসামি করা হয়েছে এবং ২৩ হাজার ২৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।