যারা গুম, খুন ও গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের সমন্বয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগরসহ সব জেলা সদরে একইদিনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে এক ভিডিও বার্তায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা জানান। এর আগে নবম দফা অবরোধ শেষ হওয়ার আগেই গত সোমবার সারাদেশে দশম দফা অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি। একই সঙ্গে রোববার ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে ঢাকাসহ সারাদেশে জেলা সদরে মানববন্ধন করার কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। তবে তখন স্থান উল্লেখ করা হয়নি। শুক্রবার ভিডিও বার্তায় রিজভী মানববন্ধন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান।
গত দুই দিন বিএনপির অবরোধ সফল করায় দলের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি আগামী ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে। যারা গুম-খুন হয়েছেন, তাদের পরিবারের সমন্বয়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করছে বিএনপি। ঢাকা মহানগরসহ সব জেলা সদরে এই কর্মসূচি পালিত হবে।’ তিনি জানান, ‘ঢাকায় মানববন্ধন হবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১১টায়। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর বিএনপি সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে এবং ঢাকার বাইরে অন্যান্য জেলায় মানববন্ধন সফল করতে নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি নিয়েছে।’
রিজভী বলেন, ‘সরকারের দিক থেকে যদি কোন বাধা-বিপত্তি যদি আসলে সবকিছুকে প্রতিহত করে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে এই মানববন্ধন কর্মসূচি সফল করতে হবে। ঢাকাসহ সারাদেশের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বলব, তারা এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে যেসব পরিবার নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, গুম-খুন হয়েছেন, সেসব পরিবারের সদস্যদের আপনারা মানববন্ধনে আনবেন। আমাদের এসব কর্মসূচি অনাচারের বিরুদ্ধে, অবিচারের বিরুদ্ধে, অত্যাচারের বিরুদ্ধে।’
ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশ পন্ড করে দেয়ার পর থেকে বিএনপি হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে। সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারে অধীনে নির্বাচন এবং তফসিল বাতিলের দাবিতে দশম দফায় ২০ দিন অবরোধ এবং ৩ দফায় ৪ দিন হরতাল কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
সরকারের দিকে ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, ‘তাদের কাছে নাশকতার সংজ্ঞা হলো, গণতন্ত্রের পক্ষে, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলা। এ ধরনের কথা বলা মানেই একজন নাশকতাকারী। নিজের হাতে ক্ষমতা ধরে রাখতে স্বৈরাচারে রূপান্তরিত হয়েছে আওয়ামী সরকার। তারা দেশ থেকে রাষ্ট্র থেকে সমাজ থেকে সত্য কথা ভুলিয়ে দিতে চাচ্ছে। এ রকম একটি পরিস্থিতি তৈরি করেছে যেখানে সত্য কথা, মানুষের অধিকারের পক্ষে কথা বলা সবচেয়ে বড় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।’
২৪ ঘণ্টায় বিএনপির ২১৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘সাতটি মামলায় ৮৭৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।’
শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
যারা গুম, খুন ও গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের সমন্বয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগরসহ সব জেলা সদরে একইদিনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে এক ভিডিও বার্তায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা জানান। এর আগে নবম দফা অবরোধ শেষ হওয়ার আগেই গত সোমবার সারাদেশে দশম দফা অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি। একই সঙ্গে রোববার ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে ঢাকাসহ সারাদেশে জেলা সদরে মানববন্ধন করার কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। তবে তখন স্থান উল্লেখ করা হয়নি। শুক্রবার ভিডিও বার্তায় রিজভী মানববন্ধন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান।
গত দুই দিন বিএনপির অবরোধ সফল করায় দলের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি আগামী ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে। যারা গুম-খুন হয়েছেন, তাদের পরিবারের সমন্বয়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করছে বিএনপি। ঢাকা মহানগরসহ সব জেলা সদরে এই কর্মসূচি পালিত হবে।’ তিনি জানান, ‘ঢাকায় মানববন্ধন হবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১১টায়। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর বিএনপি সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে এবং ঢাকার বাইরে অন্যান্য জেলায় মানববন্ধন সফল করতে নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি নিয়েছে।’
রিজভী বলেন, ‘সরকারের দিক থেকে যদি কোন বাধা-বিপত্তি যদি আসলে সবকিছুকে প্রতিহত করে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে এই মানববন্ধন কর্মসূচি সফল করতে হবে। ঢাকাসহ সারাদেশের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বলব, তারা এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে যেসব পরিবার নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, গুম-খুন হয়েছেন, সেসব পরিবারের সদস্যদের আপনারা মানববন্ধনে আনবেন। আমাদের এসব কর্মসূচি অনাচারের বিরুদ্ধে, অবিচারের বিরুদ্ধে, অত্যাচারের বিরুদ্ধে।’
ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশ পন্ড করে দেয়ার পর থেকে বিএনপি হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে। সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারে অধীনে নির্বাচন এবং তফসিল বাতিলের দাবিতে দশম দফায় ২০ দিন অবরোধ এবং ৩ দফায় ৪ দিন হরতাল কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
সরকারের দিকে ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, ‘তাদের কাছে নাশকতার সংজ্ঞা হলো, গণতন্ত্রের পক্ষে, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলা। এ ধরনের কথা বলা মানেই একজন নাশকতাকারী। নিজের হাতে ক্ষমতা ধরে রাখতে স্বৈরাচারে রূপান্তরিত হয়েছে আওয়ামী সরকার। তারা দেশ থেকে রাষ্ট্র থেকে সমাজ থেকে সত্য কথা ভুলিয়ে দিতে চাচ্ছে। এ রকম একটি পরিস্থিতি তৈরি করেছে যেখানে সত্য কথা, মানুষের অধিকারের পক্ষে কথা বলা সবচেয়ে বড় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।’
২৪ ঘণ্টায় বিএনপির ২১৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘সাতটি মামলায় ৮৭৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।’