হবিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে দুই টেলিভিশন সাংবাদিক ও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি নীরঞ্জন গোস্বামী শুভ ও দেশটিভির জেলা প্রতিনিধি আমীর হামজা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে নীরঞ্জন গোস্বামী শুভ চোখে গুরুতর আঘাতের কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবসহ ১৫ পুলিশ ও বিএনপির ৩৫ নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১২টার দিকে শায়েস্তানগর এলাকার পইল রোডে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির মানববন্ধন হয়। এতে নেতারা বক্তব্য রাখার পর মানববন্ধন শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়। এরপর বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। তখন পুলিশ পিছু হটে ওই এলাকার একটি রড-সিমেন্টের দোকানে আশ্রয় নেয়। এরপর ওই দোকানে হামলা চালায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তখন কয়েকটি দোকান ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
হবিগঞ্জের সিনিয়র সাংবাদিক ফয়সাল চৌধুরী জানান- গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জেলা বিএনপির মানববন্ধনের খবর সংগ্রহ করতে যান নীরঞ্জন গোস্বামী ও আমীর হামজা। তখন বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে এই সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হন। তাৎক্ষণিক তাদেরকে হবিগঞ্জ জেলা সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হয়। দুইজনের শরীরে ১০টির অধিক গুলি লেগেছে। এর মধ্যে মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি নীরঞ্জন গোস্বামী শুভর চোখে বেশি আঘাত লেগেছে। যে কারণে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব জানান- বিএনপির মানববন্ধন শেষে দলটির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে তিনিসহ পুলিশের আরও ১০-১৫ সদস্য আহত হতে পারেন। পরে পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। ওই এলাকায় বর্তমানে পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন রয়েছে। হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান জানান- গতকাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি শহরের শায়েস্তানগরে একটি মানববন্ধন করে। জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শাম্মী আক্তার শিপার সভাপতিত্বে মানববন্ধন শান্তিপূর্ণভাবেই সমাপ্ত হয়। এরপর একদল দুর্বৃত্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। তারা আমাদের নেতাকর্মী নন। তবে এই সংঘর্ষে বিএনপির প্রায় ৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
রোববার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
হবিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে দুই টেলিভিশন সাংবাদিক ও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি নীরঞ্জন গোস্বামী শুভ ও দেশটিভির জেলা প্রতিনিধি আমীর হামজা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে নীরঞ্জন গোস্বামী শুভ চোখে গুরুতর আঘাতের কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবসহ ১৫ পুলিশ ও বিএনপির ৩৫ নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১২টার দিকে শায়েস্তানগর এলাকার পইল রোডে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির মানববন্ধন হয়। এতে নেতারা বক্তব্য রাখার পর মানববন্ধন শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়। এরপর বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। তখন পুলিশ পিছু হটে ওই এলাকার একটি রড-সিমেন্টের দোকানে আশ্রয় নেয়। এরপর ওই দোকানে হামলা চালায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তখন কয়েকটি দোকান ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
হবিগঞ্জের সিনিয়র সাংবাদিক ফয়সাল চৌধুরী জানান- গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জেলা বিএনপির মানববন্ধনের খবর সংগ্রহ করতে যান নীরঞ্জন গোস্বামী ও আমীর হামজা। তখন বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে এই সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হন। তাৎক্ষণিক তাদেরকে হবিগঞ্জ জেলা সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হয়। দুইজনের শরীরে ১০টির অধিক গুলি লেগেছে। এর মধ্যে মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি নীরঞ্জন গোস্বামী শুভর চোখে বেশি আঘাত লেগেছে। যে কারণে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব জানান- বিএনপির মানববন্ধন শেষে দলটির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে তিনিসহ পুলিশের আরও ১০-১৫ সদস্য আহত হতে পারেন। পরে পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। ওই এলাকায় বর্তমানে পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন রয়েছে। হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান জানান- গতকাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি শহরের শায়েস্তানগরে একটি মানববন্ধন করে। জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শাম্মী আক্তার শিপার সভাপতিত্বে মানববন্ধন শান্তিপূর্ণভাবেই সমাপ্ত হয়। এরপর একদল দুর্বৃত্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। তারা আমাদের নেতাকর্মী নন। তবে এই সংঘর্ষে বিএনপির প্রায় ৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।