বিএনপির সাবেক চার সংসদ সদস্য নতুন নিবন্ধিত দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে (বিএনএম) যোগ দিয়েছেন। এর মধ্যে ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপর তিনজন হলেন ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবদুল ওহাব, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান শামসুল আবেদিন এবং বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক আবদুর রহমান।
সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্যদের বিএনএমে যোগদানের ঘোষণা দেওয়া হয়। তাঁদের পরিচয় করিয়ে দেন বিএনএমের মহাসচিব মো. শাহ্জাহান। এসময় তাঁরা সংবাদ সম্মেলন মঞ্চে উপস্থিত থাকলেও বক্তব্য দেননি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর বিএনএমে যোগ দেওয়ার পর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ কারণে বিএনএমে যোগ দিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, আমার এলাকায় হামলা-মামলার শিকার হয়ে বিএনপির ৪০০-৫০০ নেতা-কর্মী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অনেকে কারারুদ্ধ হয়েছেন। নেতা-কর্মীদের বাঁচাতে এ মুহূর্তে এর কোনো বিকল্প ছিল না।
চার নেতার বিএনএমে যোগ দেওয়ার অনুষ্ঠানে দলটির নেতা মো. শাহ্জাহান বলেন, ‘এই বরেণ্য ব্যক্তিরা বিভিন্ন দলের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। কিন্তু দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র চর্চার অভাব, নীতি ও কৌশলের সঙ্গে নিজেকে মেলাতে না পারা, দলীয় সিদ্ধান্তের সঙ্গে নীতিগত বিরোধসহ নানা কারণে তাঁরা বিএনএমে যোগ দিয়েছেন।’
বিএনএমের চেয়ারম্যানের নামও শিগগিরই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়ে মো. শাহ্জাহান বলেন, ‘এটুকু বলতে পারি, আপনাদের জন্য বড় ধরনের চমক রয়েছে। যিনি বিএনএমের চেয়ারম্যান হবেন, তিনি বাংলাদেশের অত্যন্ত পরিচিত এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন রাজনীতিবিদ। পরবর্তী ঘোষণা নিয়ে তিনি নিজেই আপনাদের সামনে হাজির হবেন।’
বছর দুয়েক আগে বিএনপির দলত্যাগী এক নেতার হাত ধরে আত্মপ্রকাশ করা বিএনএমকে গত আগস্টে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে না থাকা দলটিকে নিবন্ধন দেওয়ায় কমিশনের ওই সিদ্ধান্তের তুমুল সমালোচনা হয়। বিএনএমকে ‘কিংস পার্টি’ আখ্যায়িত করেন বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা। তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন, বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করলে বিএনএমের ব্যানারে বিএনপির একটি অংশকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানো হতে পারে।
মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩
বিএনপির সাবেক চার সংসদ সদস্য নতুন নিবন্ধিত দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে (বিএনএম) যোগ দিয়েছেন। এর মধ্যে ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপর তিনজন হলেন ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবদুল ওহাব, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান শামসুল আবেদিন এবং বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক আবদুর রহমান।
সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্যদের বিএনএমে যোগদানের ঘোষণা দেওয়া হয়। তাঁদের পরিচয় করিয়ে দেন বিএনএমের মহাসচিব মো. শাহ্জাহান। এসময় তাঁরা সংবাদ সম্মেলন মঞ্চে উপস্থিত থাকলেও বক্তব্য দেননি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর বিএনএমে যোগ দেওয়ার পর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ কারণে বিএনএমে যোগ দিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, আমার এলাকায় হামলা-মামলার শিকার হয়ে বিএনপির ৪০০-৫০০ নেতা-কর্মী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অনেকে কারারুদ্ধ হয়েছেন। নেতা-কর্মীদের বাঁচাতে এ মুহূর্তে এর কোনো বিকল্প ছিল না।
চার নেতার বিএনএমে যোগ দেওয়ার অনুষ্ঠানে দলটির নেতা মো. শাহ্জাহান বলেন, ‘এই বরেণ্য ব্যক্তিরা বিভিন্ন দলের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। কিন্তু দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র চর্চার অভাব, নীতি ও কৌশলের সঙ্গে নিজেকে মেলাতে না পারা, দলীয় সিদ্ধান্তের সঙ্গে নীতিগত বিরোধসহ নানা কারণে তাঁরা বিএনএমে যোগ দিয়েছেন।’
বিএনএমের চেয়ারম্যানের নামও শিগগিরই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়ে মো. শাহ্জাহান বলেন, ‘এটুকু বলতে পারি, আপনাদের জন্য বড় ধরনের চমক রয়েছে। যিনি বিএনএমের চেয়ারম্যান হবেন, তিনি বাংলাদেশের অত্যন্ত পরিচিত এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন রাজনীতিবিদ। পরবর্তী ঘোষণা নিয়ে তিনি নিজেই আপনাদের সামনে হাজির হবেন।’
বছর দুয়েক আগে বিএনপির দলত্যাগী এক নেতার হাত ধরে আত্মপ্রকাশ করা বিএনএমকে গত আগস্টে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে না থাকা দলটিকে নিবন্ধন দেওয়ায় কমিশনের ওই সিদ্ধান্তের তুমুল সমালোচনা হয়। বিএনএমকে ‘কিংস পার্টি’ আখ্যায়িত করেন বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা। তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন, বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করলে বিএনএমের ব্যানারে বিএনপির একটি অংশকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানো হতে পারে।