জাতীয় পার্টি যখনই জনগণের জন্য রাজনীতি করতে চায়, তখনই ক্ষমতাসীন সরকার দল ভাঙার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের রাজনীতি নষ্ট করবেন না। দলগুলোকে রাজনীতি করতে দিন। সবাইকে ধ্বংস করে আপনারা এককভাবে রাজনীতি করবেন, এটা হতে পারে না।
জিএম কাদেরের জন্মদিন উপলক্ষে শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বনানীতে দলগতভাবে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যখনই স্বাধীনভাবে রাজনীতি করতে যাই, তখন আমাদের মধ্যে ভাঙন তৈরি হয়। সরকারই এমন করে। এবারের নির্বাচনে দেখেছি রাজনীতি কতটা নোংরা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখন আছি গৃহপালিত রাজনৈতিক দল হিসেবে, এটাই বাস্তবতা। কারণ হচ্ছে, সরকারি দল থেকে বিভিন্ন এজেন্ট আমাদের ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরা আমাদের দল করে কিন্তু রাজনীতি করে সরকারি দলের। এরা কিন্তু ঠিকই আমাদের দল করে, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নেয়, কিন্তু বার্গিনিং এর সময় সরকারের পক্ষে চলে যায়। ফলে আমরা যখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যাই, তখনই তারা দল ভেঙে আরেকটা রাজনৈতিক দল করার চেষ্টা করে। আর এসব কিছু সরকার প্রতিনিয়ত করে এসেছে। যাতে আমরা স্বাধীনভাবে রাজনীতি করতে না পারি এবং সরকারের গৃহপালিত দল হিসেবে থাকি।
দলকে বাঁচাতে হলে গৃহপালিত হওয়া থেকে বেরিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, গৃহপালিত দলের প্রয়োজনীয়তা দেশ ও জাতির কাছে নাই। সরকার আমাদেরকে দুর্বল করার জন্য সবসময় আমাদের পেছনে একটি জোট বানিয়ে রাখবে। এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের যারা জাতীয় পার্টি করে তাদেরকে জাতীয় পার্টিই করতে হবে। আর যারা জাতীয় পার্টির প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অন্য কোন দল করতে চায়, তাদেরকে জাতীয় পার্টি থেকে বের করে দিতে হবে। যদি এসব করা যায় তাহলে এই দল টিকবে। এসব করতে না পারলে দল টিকবে না।।
আমাদের সেই দিকে এগিয়ে যেতে হলে আমাদের গৃহপালিত থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যারা গৃহপালিত হবার জন্য দায়ি তাদেরকে আমাদের বর্জন করতে হবে।”
নির্বাচনের পর মানুষের নানা বিরূপ মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, “এবারের নির্বাচন ছিল আমার জন্য একটা বড় পরীক্ষা। নির্বাচনের পরে আমাকে নিয়ে অনেকে অনেক রকমভাবে মূল্যায়ন করেছেন। এ মূল্যায়ন আরও কিছুদিন পরে হলে ভাল হতো। এখন যারা ভালো বা খারাপ বলছেন এটা হয়ত যথার্থ হচ্ছে না।”
সরকার বৈষম্য করছে দাবি করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা ঘরে-ঘরে স্কুলে-স্কুলে শহীদ মিনার করছি। কিন্তু শহীদদের আত্মত্যাগের যে মূল বিষয় ছিল তা হল বৈষম্য। সেই বৈষম্য কি আমরা দূর করতে সক্ষম হয়েছি?
“ধনী-গরিবের বৈষম্য বাংলাদেশে প্রতিদিন বাড়ছে। এটার বিরুদ্ধে কি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? একইভাবে দলীয়করণে বৈষম্য চলছে। সরকারি দল করলে এক ধরণের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধেই ভাষা শহীদরা আন্দোলন করেছিল। সেই অন্যায় এখনও হচ্ছে। বর্তমান সরকার আরও বেশি করে বৈষম্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈষম্য করা হচ্ছে।”
শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
জাতীয় পার্টি যখনই জনগণের জন্য রাজনীতি করতে চায়, তখনই ক্ষমতাসীন সরকার দল ভাঙার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের রাজনীতি নষ্ট করবেন না। দলগুলোকে রাজনীতি করতে দিন। সবাইকে ধ্বংস করে আপনারা এককভাবে রাজনীতি করবেন, এটা হতে পারে না।
জিএম কাদেরের জন্মদিন উপলক্ষে শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বনানীতে দলগতভাবে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যখনই স্বাধীনভাবে রাজনীতি করতে যাই, তখন আমাদের মধ্যে ভাঙন তৈরি হয়। সরকারই এমন করে। এবারের নির্বাচনে দেখেছি রাজনীতি কতটা নোংরা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখন আছি গৃহপালিত রাজনৈতিক দল হিসেবে, এটাই বাস্তবতা। কারণ হচ্ছে, সরকারি দল থেকে বিভিন্ন এজেন্ট আমাদের ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরা আমাদের দল করে কিন্তু রাজনীতি করে সরকারি দলের। এরা কিন্তু ঠিকই আমাদের দল করে, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নেয়, কিন্তু বার্গিনিং এর সময় সরকারের পক্ষে চলে যায়। ফলে আমরা যখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যাই, তখনই তারা দল ভেঙে আরেকটা রাজনৈতিক দল করার চেষ্টা করে। আর এসব কিছু সরকার প্রতিনিয়ত করে এসেছে। যাতে আমরা স্বাধীনভাবে রাজনীতি করতে না পারি এবং সরকারের গৃহপালিত দল হিসেবে থাকি।
দলকে বাঁচাতে হলে গৃহপালিত হওয়া থেকে বেরিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, গৃহপালিত দলের প্রয়োজনীয়তা দেশ ও জাতির কাছে নাই। সরকার আমাদেরকে দুর্বল করার জন্য সবসময় আমাদের পেছনে একটি জোট বানিয়ে রাখবে। এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের যারা জাতীয় পার্টি করে তাদেরকে জাতীয় পার্টিই করতে হবে। আর যারা জাতীয় পার্টির প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অন্য কোন দল করতে চায়, তাদেরকে জাতীয় পার্টি থেকে বের করে দিতে হবে। যদি এসব করা যায় তাহলে এই দল টিকবে। এসব করতে না পারলে দল টিকবে না।।
আমাদের সেই দিকে এগিয়ে যেতে হলে আমাদের গৃহপালিত থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যারা গৃহপালিত হবার জন্য দায়ি তাদেরকে আমাদের বর্জন করতে হবে।”
নির্বাচনের পর মানুষের নানা বিরূপ মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, “এবারের নির্বাচন ছিল আমার জন্য একটা বড় পরীক্ষা। নির্বাচনের পরে আমাকে নিয়ে অনেকে অনেক রকমভাবে মূল্যায়ন করেছেন। এ মূল্যায়ন আরও কিছুদিন পরে হলে ভাল হতো। এখন যারা ভালো বা খারাপ বলছেন এটা হয়ত যথার্থ হচ্ছে না।”
সরকার বৈষম্য করছে দাবি করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা ঘরে-ঘরে স্কুলে-স্কুলে শহীদ মিনার করছি। কিন্তু শহীদদের আত্মত্যাগের যে মূল বিষয় ছিল তা হল বৈষম্য। সেই বৈষম্য কি আমরা দূর করতে সক্ষম হয়েছি?
“ধনী-গরিবের বৈষম্য বাংলাদেশে প্রতিদিন বাড়ছে। এটার বিরুদ্ধে কি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? একইভাবে দলীয়করণে বৈষম্য চলছে। সরকারি দল করলে এক ধরণের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধেই ভাষা শহীদরা আন্দোলন করেছিল। সেই অন্যায় এখনও হচ্ছে। বর্তমান সরকার আরও বেশি করে বৈষম্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈষম্য করা হচ্ছে।”