পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণের রায়ে বিপুল সংখ্যক আসনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছিল। তখন ষড়যন্ত্র করে বিডিআর বিদ্রোহ ঘটিয়েছিল বিএনপি।
সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই প্রতিক্রিয়া জানান হাছান মাহমুদ।
২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহে আওয়ামী লীগ জড়িত বলে রিজভী যে অভিযোগ করেছেন, তার জবাব দিতে গিয়ে এ কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিবের বক্তব্যকে পাগলের প্রলাপও বলেছেন তিনি।
ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে আওয়ামী লীগই বিডিআর বিদ্রোহ ঘটিয়েছিল বলে সম্প্রতি দাবি করেন রিজভী।
জবাবে হাছান বলেন, “রিজভী সাহেবের এই বক্তব্য টেলিভিশনে শুনেছি, অনলাইনে দেখেছি। এই বক্তব্য আমার কাছে পাগলের প্রলাপ মনে হয়েছে।”
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল স্মরণ করিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৩ আসন পেয়ে সরকার গঠন করি। বিএনপি পেয়েছিল মাত্র ৩০টি আসন। এ রকম বিপুল রায় পেয়ে সরকার গঠন করার পর এমন জঘন্য ঘটনা কেন ঘটাবে সরকার?
“আর সেদিন আওয়ামী পরিবারের সদস্যরাই বেশি নিহত হয়েছিল। এমনকি তৎকালীন আইজিপির মেয়ের জামাতাও নিহত হন।”
দেড় দশক আগের সেই ঘটনায় বিএনপি ও তার নেত্রী খালেদা জিয়া জড়িত ছিলেন বলে পাল্টা অভিযোগ আনেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রে বিডিআর বিদ্রোহ ঘটানো হয়েছিল, এতে যুক্ত ছিল বিএনপি-খালেদা জিয়া।”
খালেদা জিয়া দুপুরের আগে ঘুম থেকে জাগেন না উল্লেখ করে হাছান বলেন, “কিন্তু সেদিন খালেদা জিয়া কোন কারণে সকালেই ঘুম থেকে উঠে ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হলেন?
“তিনি সেদিন লন্ডনে কতবার কথা বলেছিলেন সেই রেকর্ড আছে। এতে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিএনপি যে সরাসরি যুক্ত সেটিই প্রমাণিত। অতএব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য পাগলের প্রলাপ।”
বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন খান ‘খেই হারিয়ে’ সরকারের দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন বলেও মনে করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, “বিএনপি আশা করেছিল ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হবে না। মানুষ যাতে ভোট দিতে না যায় সেই প্রার্থনা করেছিল তারা। কিন্তু ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে।
“যখন একটি সুন্দর নির্বাচন হলো, প্রধানমন্ত্রীকে সারা বিশ্ব অভিনন্দন জানিয়েছে, জো বাইডেন চিঠি দিয়ে প্রশংসা করেছেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও প্রশংসা করেছে, তখন বিএনপি খেই হারিয়ে ফেলেছে।”
বিএনপির শাসনামলে বাংলাদেশের পর পর চার বার দুর্নীতিতে ‘চ্যাম্পিয়ন’ হওয়ার কথা স্মরণ করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দুর্নীতির সাক্ষ্য দিতে এফবিআই বাংলাদেশে এসেছিল।
বিএনপি নেতা মঈন খান হয়ত এসব কথা ভুলে গেছেন। কারো বাবা নিয়ে কথা বলতে চাই না, কিন্তু মঈন খানের বাবা সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘প্রয়োজনে দেশ বিক্রি করে দেওয়া হবে’।”
বিএনপি কর্মীদের গ্রেপ্তারে বিষয়ে অভিযোগের জবাবে হাছান বলেন, “প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার মানুষ ধরা পড়ে চুরি ডাকাতি বা বিভিন্ন অপরাধে। বিএনপি তাদের কর্মী বলছে কি না, সেটাই এখন প্রশ্ন।”
এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঢাকা সফররত আগরতলা প্রেসক্লাবের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল। তারা মন্ত্রীকে উত্তরীয় ও সম্মাননা স্মারক অর্পণ করে।
আগরতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত দে, সৈয়দ সাজ্জাদ আলী, কামাল চৌধুরী, রঞ্জন রায়, অভিষেক দে, সুরজিৎ পাল, মনিষ লোদ, অভিষেক দেববর্মা, প্রণব সরকার, সুপ্রভাত দেবনাথ, দেভাশিস মজুমদার এবং সুমন দেবরায় ও বাংলাদেশের জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সভাপতি রেজওয়ানুল হক এই চা-চক্রে অংশ নেন।
সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণের রায়ে বিপুল সংখ্যক আসনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছিল। তখন ষড়যন্ত্র করে বিডিআর বিদ্রোহ ঘটিয়েছিল বিএনপি।
সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই প্রতিক্রিয়া জানান হাছান মাহমুদ।
২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহে আওয়ামী লীগ জড়িত বলে রিজভী যে অভিযোগ করেছেন, তার জবাব দিতে গিয়ে এ কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিবের বক্তব্যকে পাগলের প্রলাপও বলেছেন তিনি।
ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে আওয়ামী লীগই বিডিআর বিদ্রোহ ঘটিয়েছিল বলে সম্প্রতি দাবি করেন রিজভী।
জবাবে হাছান বলেন, “রিজভী সাহেবের এই বক্তব্য টেলিভিশনে শুনেছি, অনলাইনে দেখেছি। এই বক্তব্য আমার কাছে পাগলের প্রলাপ মনে হয়েছে।”
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল স্মরণ করিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৩ আসন পেয়ে সরকার গঠন করি। বিএনপি পেয়েছিল মাত্র ৩০টি আসন। এ রকম বিপুল রায় পেয়ে সরকার গঠন করার পর এমন জঘন্য ঘটনা কেন ঘটাবে সরকার?
“আর সেদিন আওয়ামী পরিবারের সদস্যরাই বেশি নিহত হয়েছিল। এমনকি তৎকালীন আইজিপির মেয়ের জামাতাও নিহত হন।”
দেড় দশক আগের সেই ঘটনায় বিএনপি ও তার নেত্রী খালেদা জিয়া জড়িত ছিলেন বলে পাল্টা অভিযোগ আনেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রে বিডিআর বিদ্রোহ ঘটানো হয়েছিল, এতে যুক্ত ছিল বিএনপি-খালেদা জিয়া।”
খালেদা জিয়া দুপুরের আগে ঘুম থেকে জাগেন না উল্লেখ করে হাছান বলেন, “কিন্তু সেদিন খালেদা জিয়া কোন কারণে সকালেই ঘুম থেকে উঠে ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হলেন?
“তিনি সেদিন লন্ডনে কতবার কথা বলেছিলেন সেই রেকর্ড আছে। এতে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিএনপি যে সরাসরি যুক্ত সেটিই প্রমাণিত। অতএব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য পাগলের প্রলাপ।”
বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন খান ‘খেই হারিয়ে’ সরকারের দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন বলেও মনে করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, “বিএনপি আশা করেছিল ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হবে না। মানুষ যাতে ভোট দিতে না যায় সেই প্রার্থনা করেছিল তারা। কিন্তু ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে।
“যখন একটি সুন্দর নির্বাচন হলো, প্রধানমন্ত্রীকে সারা বিশ্ব অভিনন্দন জানিয়েছে, জো বাইডেন চিঠি দিয়ে প্রশংসা করেছেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও প্রশংসা করেছে, তখন বিএনপি খেই হারিয়ে ফেলেছে।”
বিএনপির শাসনামলে বাংলাদেশের পর পর চার বার দুর্নীতিতে ‘চ্যাম্পিয়ন’ হওয়ার কথা স্মরণ করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দুর্নীতির সাক্ষ্য দিতে এফবিআই বাংলাদেশে এসেছিল।
বিএনপি নেতা মঈন খান হয়ত এসব কথা ভুলে গেছেন। কারো বাবা নিয়ে কথা বলতে চাই না, কিন্তু মঈন খানের বাবা সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘প্রয়োজনে দেশ বিক্রি করে দেওয়া হবে’।”
বিএনপি কর্মীদের গ্রেপ্তারে বিষয়ে অভিযোগের জবাবে হাছান বলেন, “প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার মানুষ ধরা পড়ে চুরি ডাকাতি বা বিভিন্ন অপরাধে। বিএনপি তাদের কর্মী বলছে কি না, সেটাই এখন প্রশ্ন।”
এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঢাকা সফররত আগরতলা প্রেসক্লাবের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল। তারা মন্ত্রীকে উত্তরীয় ও সম্মাননা স্মারক অর্পণ করে।
আগরতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত দে, সৈয়দ সাজ্জাদ আলী, কামাল চৌধুরী, রঞ্জন রায়, অভিষেক দে, সুরজিৎ পাল, মনিষ লোদ, অভিষেক দেববর্মা, প্রণব সরকার, সুপ্রভাত দেবনাথ, দেভাশিস মজুমদার এবং সুমন দেবরায় ও বাংলাদেশের জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সভাপতি রেজওয়ানুল হক এই চা-চক্রে অংশ নেন।