দাম বাড়া প্রসঙ্গে রিজভী
সরকার মানুষের জীবন দুর্বিষহ করতেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমন মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গণবিরোধী সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। সামনে রমজান, অথচ চিনি, খেজুরের দাম দফায় দফায় বাড়ছে। সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে মানুষ। ঋণের চাপে মানুষ আত্মহত্যা করছে। এ মৃত্যুর দায় সরকারকে নিতে হবে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ডামি সরকারের ব্যর্থতা উন্মোচিত হলেই তারা মিথ্যার নানা রঙে বোনা বক্তব্য দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে জনগণের দৃষ্টিকে ঝাঁপসা করার জন্য। অযথা বিতর্ক সৃষ্টি করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে বিএনপির দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তোলে। আওয়ামী লুটেরা চক্রের কারণে ডামি সরকার সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামী বাজার সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে ডামি সরকারের ডামি মন্ত্রীরা। অথচ নির্লজ্জভাবে বিএনপির ওপর দায়ভার চাপিয়ে দেওয়ার পর নেত্রীর অনুসরণে ওবায়দুল কাদের এবং হাছান মাহমুদ সাহেবরা একই সুরে গান গাইছে।
তিনি বলেন, সরকারের কাজ অভিযোগ তোলা নয়। বাজার সিন্ডিকেট করে যারা জনজীবনে দুর্বিষহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। এরই মধ্যে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ১ মার্চ থেকে আবারও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন। জনজীবনকে ভয়াবহ দুর্বিষহ করতেই গণবিরোধী সরকার সর্বনাশা পথে হাঁটছে।
পবিত্র রমজান মাস সমাগত। সিয়াম-সাধনার এই মাসে দেশের জনগণ একটু স্বস্তি চায়, কিন্তু প্রতিদিন রকেট গতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। রমজান উপলক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত ৮ ফেব্রুয়ারি আলাদা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে চাল, চিনি, তেল ও খেজুর আমদানিতে শুল্ক কর কমানোর ঘোষণা দেয়। সেদ্ধ ও আতপ চালের আমদানি শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে গত ১৯ দিনে বাজারে এসব পণ্যের দর এক আনাও কমেনি। বরং খোলা খাতায় প্রতিদিন দাম বৃদ্ধির ঘটনা দেখা যাচ্ছে। দফায় দফায় বাড়ছে চিনি ও খেজুরের দাম।
রিজভী বলেন, প্রতিবছর রমজানকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কতিপয় চিহ্নিত অসাধু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী নানা ছুতোয় ভোক্তার পকেট কেটে ফতুর করে দিচ্ছে। মানুষ এখন সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। যাদের সঞ্চয় নেই, তারা ঋণ করছে। ফলে মানুষের ওপর চাপ বেড়ে যাচ্ছে। অনাহার, অর্থ কষ্ট আর ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে মানুষ পরিবার নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। গতকাল মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় সায়মা বেগম (৩৫) তার মেয়ে ৯ বছরের ছাইমুনা এবং সাত বছরের ছেলে তাওহীদকে নিয়ে ঋণের জ্বালা সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন। এই মৃত্যুর দায় সরকার এড়াতে পারে না।
রিজভী আরও বলেন, আমরা অতি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, প্রত্যেকটি বিষয় নিয়েই ডামি ভোটের সরকার দেশ এবং জনগণের ওপর মিথ্যার বৃষ্টি বর্ষণ করছে। এদের মিথ্যার বিষয়বৈচিত্র্য ও ব্যাপ্তি বিস্ময়কর। মিথ্যার ক্রমবিন্যাসের ক্ষেত্রে তারা অভাবিত দক্ষতা অর্জন করেছে। পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে পরিকল্পিতভাবে ৫৭ জন চৌকস সেনাকর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। ১৫ বছর পরও বিচার হয়নি, অথচ সরকার এখন বলছে সে ঘটনায় না কি বিএনপি জড়িত। পিলখানার ঘটনার নেপথ্যে কারা ছিল তা দেশ বিদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। বিডিআরের সাবেক ডিজির বক্তব্যে পিলখানা হত্যাকান্ডের আসল ঘটনা বের হয়ে এসেছে। নির্বাচনে না এসে বিএনপি নয়, ডামি নির্বাচন করে আওয়ামী লীগই খেসারত দেবে। আমি বলতে চাই পিলখানা ট্র্যাজেডির রহস্য ধামাচাপা দেওয়া যাবে না, একদিন এর প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হবে এবং প্রকৃত অপরাধীদের বিচার হবেই।
দাম বাড়া প্রসঙ্গে রিজভী
মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
সরকার মানুষের জীবন দুর্বিষহ করতেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমন মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গণবিরোধী সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। সামনে রমজান, অথচ চিনি, খেজুরের দাম দফায় দফায় বাড়ছে। সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে মানুষ। ঋণের চাপে মানুষ আত্মহত্যা করছে। এ মৃত্যুর দায় সরকারকে নিতে হবে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ডামি সরকারের ব্যর্থতা উন্মোচিত হলেই তারা মিথ্যার নানা রঙে বোনা বক্তব্য দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে জনগণের দৃষ্টিকে ঝাঁপসা করার জন্য। অযথা বিতর্ক সৃষ্টি করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে বিএনপির দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তোলে। আওয়ামী লুটেরা চক্রের কারণে ডামি সরকার সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামী বাজার সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে ডামি সরকারের ডামি মন্ত্রীরা। অথচ নির্লজ্জভাবে বিএনপির ওপর দায়ভার চাপিয়ে দেওয়ার পর নেত্রীর অনুসরণে ওবায়দুল কাদের এবং হাছান মাহমুদ সাহেবরা একই সুরে গান গাইছে।
তিনি বলেন, সরকারের কাজ অভিযোগ তোলা নয়। বাজার সিন্ডিকেট করে যারা জনজীবনে দুর্বিষহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। এরই মধ্যে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ১ মার্চ থেকে আবারও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন। জনজীবনকে ভয়াবহ দুর্বিষহ করতেই গণবিরোধী সরকার সর্বনাশা পথে হাঁটছে।
পবিত্র রমজান মাস সমাগত। সিয়াম-সাধনার এই মাসে দেশের জনগণ একটু স্বস্তি চায়, কিন্তু প্রতিদিন রকেট গতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। রমজান উপলক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত ৮ ফেব্রুয়ারি আলাদা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে চাল, চিনি, তেল ও খেজুর আমদানিতে শুল্ক কর কমানোর ঘোষণা দেয়। সেদ্ধ ও আতপ চালের আমদানি শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে গত ১৯ দিনে বাজারে এসব পণ্যের দর এক আনাও কমেনি। বরং খোলা খাতায় প্রতিদিন দাম বৃদ্ধির ঘটনা দেখা যাচ্ছে। দফায় দফায় বাড়ছে চিনি ও খেজুরের দাম।
রিজভী বলেন, প্রতিবছর রমজানকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কতিপয় চিহ্নিত অসাধু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী নানা ছুতোয় ভোক্তার পকেট কেটে ফতুর করে দিচ্ছে। মানুষ এখন সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। যাদের সঞ্চয় নেই, তারা ঋণ করছে। ফলে মানুষের ওপর চাপ বেড়ে যাচ্ছে। অনাহার, অর্থ কষ্ট আর ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে মানুষ পরিবার নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। গতকাল মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় সায়মা বেগম (৩৫) তার মেয়ে ৯ বছরের ছাইমুনা এবং সাত বছরের ছেলে তাওহীদকে নিয়ে ঋণের জ্বালা সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন। এই মৃত্যুর দায় সরকার এড়াতে পারে না।
রিজভী আরও বলেন, আমরা অতি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, প্রত্যেকটি বিষয় নিয়েই ডামি ভোটের সরকার দেশ এবং জনগণের ওপর মিথ্যার বৃষ্টি বর্ষণ করছে। এদের মিথ্যার বিষয়বৈচিত্র্য ও ব্যাপ্তি বিস্ময়কর। মিথ্যার ক্রমবিন্যাসের ক্ষেত্রে তারা অভাবিত দক্ষতা অর্জন করেছে। পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে পরিকল্পিতভাবে ৫৭ জন চৌকস সেনাকর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। ১৫ বছর পরও বিচার হয়নি, অথচ সরকার এখন বলছে সে ঘটনায় না কি বিএনপি জড়িত। পিলখানার ঘটনার নেপথ্যে কারা ছিল তা দেশ বিদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। বিডিআরের সাবেক ডিজির বক্তব্যে পিলখানা হত্যাকান্ডের আসল ঘটনা বের হয়ে এসেছে। নির্বাচনে না এসে বিএনপি নয়, ডামি নির্বাচন করে আওয়ামী লীগই খেসারত দেবে। আমি বলতে চাই পিলখানা ট্র্যাজেডির রহস্য ধামাচাপা দেওয়া যাবে না, একদিন এর প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হবে এবং প্রকৃত অপরাধীদের বিচার হবেই।