alt

রাজনীতি

সিসিইউতে খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘স্থিতিশীল’

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : মঙ্গলবার, ০২ এপ্রিল ২০২৪

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ার পারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা এখন ‘স্থিতিশীল’ বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক।

অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, “মেডিকেল বোর্ডের মনিটরিংয়ে ম্যাডামের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। আলহামদুলিল্লাহ, আস্তে আস্তে উন্নতি হচ্ছে।”

হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়া কবে বাসায় ফিরতে পারেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ম্যাডাম চিকিৎসার মধ্যে আছেন, তাকে চিকিৎসার মধ্যেই থাকতে হবে। উনি বাসায় গেলেও ডাক্তারদের ক্লোজড মনিটিরিংয়ে থাকতে হবে। বোর্ড আজকে সিদ্ধান্ত নেবে কখন উনি বাসায় যেতে পারবেন।”

গত ৩০ মার্চ রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে গুলশানের বাসা থেকে খালেদা জিয়াকে ভর্তি করা হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। এর পরপরই কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থাপত্র দেয় মেডিকেল বোর্ড।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। এভারকেয়ারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে।

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে ২০২০ সালের মার্চে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়।

তার সেই সাময়িক মুক্তির মেয়াদ প্রতি ছয় মাস পরপর বাড়ানো হলেও তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেয়নি সরকার।

মুক্তি পাওয়ার পর কোভিড, লিভার জটিলতাসহ বিভিন্ন কারণে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে বিএনপি নেত্রীকে। এর মধ্যে গত বছরের অক্টোবরে মেডিকেল বোর্ড সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার লিভারের চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। দ্রুত বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে তার লিভার প্রতিস্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে।

এরপর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে আবারো বিদেশ নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয় তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে। তবে আইনে সে সুযোগ না থাকায় এ অনুমোদন দেয়নি সরকার।

এ চেষ্টার মধ্যে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসার পাশাপাশি বিদেশ থেকেও চিকিৎসক এসে তার চিকিৎসা করানো হয়।

ছবি

অপকৌশল গ্রহণ করায় বিএনপি দিন দিন সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হচ্ছে : ওবায়দুল কাদের

ছবি

নির্বাচনে অংশ নিতে জাপার ওপর চাপ ছিল জি এম কাদের

ছবি

‘অস্তিত্ব রক্ষার’ জন্যই নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃতরা

ছবি

কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না : কাদের

ছবি

গবেষণা ও জ্ঞানচর্চায় গুরুত্ব দিতে বিএসপি চেয়ারম্যানের আহবান

ছবি

বিএনপি দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে : কাদের

ছবি

‘স্বার্থহীন’ রাজনীতির উদাহরণ পঙ্কজ ভট্টাচার্য

ছবি

মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা নির্দেশ না মানলে ব্যবস্থা: কাদের

দুই ধাপের ভোটেই এমপির স্বজনরা

দুই ধাপের ভোটেই এমপির স্বজনরা

প্রথম ধাপে চার উপজেলায় ভোটের প্রয়োজন নেই

ছবি

মাদারীপুরে দুইটি উপজেলায় ২১ প্রার্থীর প্রতিক বরাদ্দ

ছবি

দেশি-বিদেশি চক্র নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত করছে : কাদের

ছবি

উপজেলা নির্বাচন: পরশুরামে এবারও ভোটের প্রয়োজন হবে না

চেয়ারম্যান পদে জামায়াত নেতার মনোনযন প্রত্যাহার, দুই ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নেই

ছবি

হাতিয়াতে ভোট ছাড়াই জয়ী হচ্ছেন চেয়ারম্যান ও দুই ভাইস-চেয়ারম্যান

ছবি

তাপপ্রবাহের কারণে বিএনপির ২৬ এপ্রিলের সমাবেশ স্থগিত

লালমনিরহাটে দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করেই সাবেক মন্ত্রীর ভাই-ছেলের লড়াই

ছবি

শেষ দিনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন যারা

ছবি

সেনবাগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন পদে ১৭ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল

কসবায় নির্বাচন থেকে সরছেন না মন্ত্রীর আত্মীয় ছাইদুর

ছবি

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করে প্রাইভেট হাসপাতালের রোগ নির্ণয় পরীক্ষার ফি নির্ধারণ: স্বাস্থ্য মন্ত্রী

ছবি

রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় বিএনপি : ওবায়দুল কাদের

ছবি

১০ দিনে ৫ লাখ বৃক্ষ রোপণ করবে ছাত্রলীগ

ছবি

সন্ত্রাসী অপরাধে গ্রেপ্তারদেরও নিজেদের কর্মী দাবী করছে বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

আমরা সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের রাজনীতি করতে চাই-- অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি

ছবি

স্থানীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রয়োজন নেই: ইসি আলমগীর

ছবি

সরকার চোরাবালিতে দাঁড়িয়ে, যেকোনো সময় ডুবে যাবে: রিজভী

ছবি

ইরাকে ইরানপন্থি বাহিনীর ঘাঁটিতে বিমান হামলায় হতাহত ৭

ছবি

আবদুল আউয়াল মিন্টু হাসপাতালে ভর্তি

ছবি

আ.লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে : কাদের

ছবি

আমি লজ্জিত-দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী, দোষীদের কপালে দুঃখ আছে : পলক

ছবি

যারা নুন-ভাতের কথাও ভাবতে পারত না, এখন তারা মাছ-মাংসের চিন্তা করে : শেখ হাসিনা

মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আ’লীগের

ছবি

মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়া : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

খালেদা জিয়া ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিলেন : শেখ হাসিনা

tab

রাজনীতি

সিসিইউতে খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘স্থিতিশীল’

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

মঙ্গলবার, ০২ এপ্রিল ২০২৪

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ার পারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা এখন ‘স্থিতিশীল’ বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক।

অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, “মেডিকেল বোর্ডের মনিটরিংয়ে ম্যাডামের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। আলহামদুলিল্লাহ, আস্তে আস্তে উন্নতি হচ্ছে।”

হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়া কবে বাসায় ফিরতে পারেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ম্যাডাম চিকিৎসার মধ্যে আছেন, তাকে চিকিৎসার মধ্যেই থাকতে হবে। উনি বাসায় গেলেও ডাক্তারদের ক্লোজড মনিটিরিংয়ে থাকতে হবে। বোর্ড আজকে সিদ্ধান্ত নেবে কখন উনি বাসায় যেতে পারবেন।”

গত ৩০ মার্চ রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে গুলশানের বাসা থেকে খালেদা জিয়াকে ভর্তি করা হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। এর পরপরই কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থাপত্র দেয় মেডিকেল বোর্ড।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। এভারকেয়ারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে।

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে ২০২০ সালের মার্চে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়।

তার সেই সাময়িক মুক্তির মেয়াদ প্রতি ছয় মাস পরপর বাড়ানো হলেও তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেয়নি সরকার।

মুক্তি পাওয়ার পর কোভিড, লিভার জটিলতাসহ বিভিন্ন কারণে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে বিএনপি নেত্রীকে। এর মধ্যে গত বছরের অক্টোবরে মেডিকেল বোর্ড সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার লিভারের চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। দ্রুত বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে তার লিভার প্রতিস্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে।

এরপর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে আবারো বিদেশ নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয় তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে। তবে আইনে সে সুযোগ না থাকায় এ অনুমোদন দেয়নি সরকার।

এ চেষ্টার মধ্যে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসার পাশাপাশি বিদেশ থেকেও চিকিৎসক এসে তার চিকিৎসা করানো হয়।

back to top