সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে বিভক্ত বিএনপির আইনজীবীরা। দলের নির্দেশনা অমান্য করে আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
গতকাল বিকেলে এক মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান। সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচিত চার জনকে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নিষেধ করলেও দলীয় ফোরামের নিষেধ উপেক্ষা করে বারের সভাপতির দায়িত্ব নিচ্ছেন ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন। এর আগে দুপুরে দায়িত্ব গ্রহণ নাকি বর্জন করবেন এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য সমর্থিত ও সমমনা আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নবনির্বাচিত সভাপতি ব্যারিস্টার খোকন।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এক নেতা জানিয়েছেন, ‘দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করায় আলোচনা করে আগামী সপ্তাহে খোকনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
গত বুধবার আইনজীবী ফোরাম এক চিঠি দিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকনকে বিরত থাকতে বলেন। ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী ও মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ চিঠি দেন। চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতা, উপদেষ্টাম-লী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সম্পাদকদের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিগত ৬ ও ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের পর গত ১০ মার্চ ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুননির্বাচনের দাবিতে ন্যায়সঙ্গত যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, আপনাকে বা আপনাদের এই মর্মে জানানো যাচ্ছে যে, আপনি বা আপনারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ এর মেয়াদকালের দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। আপনি বা আপনারা দলের দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে দলীয় এই সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে পালন করবেন।
ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন দলীয় ফোরামের ওই চিঠি সম্পর্কে বলেন, ‘সংগঠনের দেয়া চিঠিতে সুপ্রিম কোর্ট বারে পুনঃনির্বাচনের দাবির সঙ্গে আমি এক মত। আমি কিন্তু ওই দিনই ভোট পুনর্গণনার দাবি করেছি। সেই আবেদন তখন কমিশন গ্রহণ করেনি। পুরো প্যানেলে আমরা কমপক্ষে ১২ জন এগিয়ে ছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘পুননির্বাচনের দাবিতে আমরা এখনও অটল। আমার সভাপতি পদেও আমি পুনর্নিবাচন চাই। এটি হলে আমি খুশি হব। আইনজীবীরাও খুশি হবেন। আর পুনর্নিবাচন যদি না হয়, সভাপতি পদসহ চারটি পদে আমরা বিজয় হয়েছি। এখনতো আর পদত্যাগের সুযোগ নেই।’ তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের একজন শীর্ষ নেতার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘তার ভূমিকা রহস্যজনক। আওয়ামী লীগকে পুরো প্যানেল দিতে ওই নেতা ভোট গণনার সময় বিরত থাকতে অনুরোধ করেছিলেন। ভোট যাই হোক গণনা সুষ্ঠু হলে কম করে হলেও আমরা ১৩টি পদে জয়ী হতে পারতাম।’
এ সময় খোকন জানান, ‘নির্বাচন নিয়ে সরকারি দলের সঙ্গে ম্যাচ ফিক্সিং করেছিল দলের তিন আইনজীবী নেতা।’ ভোটের বাক্স সরানো, মারামারি নেপথ্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানা যুথীর সঙ্গে নিজ দলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার কাজলও জড়িত থাকার ইঙ্গিত দেন খোকন।
ফোরামের চিঠি প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার খোকন আরও বলেন, ‘কে কী বলল, সেটা দেখার বিষয় নয়। আমার পরাজয়ের কোনো ইতিহাস নেই। সে সময় তারা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তা না হলে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে জয়ী হতে পারতাম।’ দায়িত্ব না নেয়া সংক্রান্ত সংগঠনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচিত। দায়িত্ব নেয়া বা না নেয়ার কী আছে?’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে সভাপতি পদে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ ৪টি পদে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে সম্পাদক পদে শাহ মঞ্জুরুল হকসহ ১০টি পদে আওয়ামী লীগের প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
শুক্রবার, ০৫ এপ্রিল ২০২৪
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে বিভক্ত বিএনপির আইনজীবীরা। দলের নির্দেশনা অমান্য করে আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
গতকাল বিকেলে এক মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান। সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচিত চার জনকে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নিষেধ করলেও দলীয় ফোরামের নিষেধ উপেক্ষা করে বারের সভাপতির দায়িত্ব নিচ্ছেন ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন। এর আগে দুপুরে দায়িত্ব গ্রহণ নাকি বর্জন করবেন এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য সমর্থিত ও সমমনা আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নবনির্বাচিত সভাপতি ব্যারিস্টার খোকন।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এক নেতা জানিয়েছেন, ‘দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করায় আলোচনা করে আগামী সপ্তাহে খোকনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
গত বুধবার আইনজীবী ফোরাম এক চিঠি দিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকনকে বিরত থাকতে বলেন। ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী ও মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ চিঠি দেন। চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতা, উপদেষ্টাম-লী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সম্পাদকদের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিগত ৬ ও ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের পর গত ১০ মার্চ ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুননির্বাচনের দাবিতে ন্যায়সঙ্গত যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, আপনাকে বা আপনাদের এই মর্মে জানানো যাচ্ছে যে, আপনি বা আপনারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ এর মেয়াদকালের দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। আপনি বা আপনারা দলের দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে দলীয় এই সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে পালন করবেন।
ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন দলীয় ফোরামের ওই চিঠি সম্পর্কে বলেন, ‘সংগঠনের দেয়া চিঠিতে সুপ্রিম কোর্ট বারে পুনঃনির্বাচনের দাবির সঙ্গে আমি এক মত। আমি কিন্তু ওই দিনই ভোট পুনর্গণনার দাবি করেছি। সেই আবেদন তখন কমিশন গ্রহণ করেনি। পুরো প্যানেলে আমরা কমপক্ষে ১২ জন এগিয়ে ছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘পুননির্বাচনের দাবিতে আমরা এখনও অটল। আমার সভাপতি পদেও আমি পুনর্নিবাচন চাই। এটি হলে আমি খুশি হব। আইনজীবীরাও খুশি হবেন। আর পুনর্নিবাচন যদি না হয়, সভাপতি পদসহ চারটি পদে আমরা বিজয় হয়েছি। এখনতো আর পদত্যাগের সুযোগ নেই।’ তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের একজন শীর্ষ নেতার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘তার ভূমিকা রহস্যজনক। আওয়ামী লীগকে পুরো প্যানেল দিতে ওই নেতা ভোট গণনার সময় বিরত থাকতে অনুরোধ করেছিলেন। ভোট যাই হোক গণনা সুষ্ঠু হলে কম করে হলেও আমরা ১৩টি পদে জয়ী হতে পারতাম।’
এ সময় খোকন জানান, ‘নির্বাচন নিয়ে সরকারি দলের সঙ্গে ম্যাচ ফিক্সিং করেছিল দলের তিন আইনজীবী নেতা।’ ভোটের বাক্স সরানো, মারামারি নেপথ্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানা যুথীর সঙ্গে নিজ দলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার কাজলও জড়িত থাকার ইঙ্গিত দেন খোকন।
ফোরামের চিঠি প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার খোকন আরও বলেন, ‘কে কী বলল, সেটা দেখার বিষয় নয়। আমার পরাজয়ের কোনো ইতিহাস নেই। সে সময় তারা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তা না হলে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে জয়ী হতে পারতাম।’ দায়িত্ব না নেয়া সংক্রান্ত সংগঠনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচিত। দায়িত্ব নেয়া বা না নেয়ার কী আছে?’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে সভাপতি পদে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ ৪টি পদে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে সম্পাদক পদে শাহ মঞ্জুরুল হকসহ ১০টি পদে আওয়ামী লীগের প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।