alt

রাজনীতি

উপজেলা নির্বাচন

মনোনয়নে বিএনপি-জামায়াতের নেতারা, তবে দল দু’টির বর্জনের ঘোষণা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করা দল বিএনপি উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। এরপরও, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলটি থেকে ৪০ জনের বেশি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া বিএনপির দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াতে ইসলামী থেকেও অন্তত ২০ জন স্বতন্ত্র মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট জেলা-উপজেলা থেকে সংবাদ প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এই প্রেক্ষাপটে, প্রথম ধাপে অধিকাংশ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়াই হতে যাচ্ছে মূলত আওয়ামী লীগের নেতাদের নিজেদের মধ্যে। প্রতিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দলটির গড়ে তিনজন করে প্রার্থী হচ্ছেন। তবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দলটি কাউকে প্রতীক দেয়নি।

বিএনপি-জামায়াতের দাবি, উপজেলা নির্বাচন বর্জনের কেন্দ্রীয় ঘোষণা ও নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের সব প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন। এমনটা হলে, সব উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে আওয়ামী লীগ।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলায় ভোট। ১৫ মে বিকেল ৪টায় প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র জমার সময় শেষ হয়েছে।

এবার প্রথমবারের মতো অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্য অনুযায়ী, ১৫০টি উপজেলায় মোট ১৮৯১ প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন রয়েছেন।

এর মধ্যে ১৪১টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের অন্তত ৪৬৬ জন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

মনোনয়নপত্র দাখিলের দিনই বাগেরহাট সদর ও মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১২টি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাছাইয়ে বৈধতা পেলে তারা সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হবেন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দেয়ার সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীনদের লক্ষ্য একটাই; বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে নিজ দলের (আওয়ামী লীগ) একাধিক প্রার্থী অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়া। নির্বাচনে ‘উৎসবমুখর পরিবেশ’ করা এবং ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো। যাতে স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন মোটামুটি গ্রহণযোগ্যতা পায়।

বিএনপির বর্জনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও একই কৌশল নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। প্রতীক না দিলে বিএনপিসহ অন্যান্য দল স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে অংশ নেবে, এমন একটা প্রত্যাশ্যাও আওয়ামী লীগের ছিল।

বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের পথে
প্রথম ধাপে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় কোথাও কোথাও ভোটের প্রয়োজন হবে না। বাগেরহাট সদর ও মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে একজন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বাছাইয়ে তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ হলে এই দুই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোটের প্রয়োজন হবে না। মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. আনিছ উজ্জামান। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিনের ছোট ভাই এবং মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ফয়সালের চাচা।

বাগেরহাট সদর উপজেলায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ সভাপতি সরদার নাসির উদ্দিন। এ উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রিজিয়া পারভীনও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এর আগের নির্বাচনেও তারা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিলেন।

ইসি সূত্র জানায়, ভাইস চেয়ারম্যান পদে একটি করে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে কক্সবাজার সদর, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায়। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একটি করে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে কুষ্টিয়া সদর, চাঁদপুরের মতলব, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী, নোয়াখালীর হাতিয়া ও মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায়।

এছাড়া ১৫টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দুজন করে। এসব উপজেলায় মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে কোনো একজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হলে বা শেষ পর্যন্ত একজন প্রার্থিতা তুলে নিলে সেখানে আর ওই পদে ভোটের প্রয়োজন হবে না। অন্যদিকে চেয়ারম্যান পদে সর্বোচ্চ ১১ জন করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ও সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায়। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সর্বোচ্চ ১৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায়। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সর্বোচ্চ ৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায়।

তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি হবে ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। পরদিন প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচার শুরু হবে।

বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী যারা
কুমিল্লার মেঘনা ও নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি ও ছাত্রদলের দুই নেতা। তারা হলেন, মেঘনা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রমিজ উদ্দিন এবং নাঙ্গলকোট উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাজহারুল ইসলাম।

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাটোরের ধামইরহাট উপজেলায় বিএনপি নেতা মো. আয়েন উদ্দিন ডালিম; মহাদেবপুরে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু; কুমিল্লার মেঘনায় উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. রমিজ উদ্দিন; একই উপজেলার নাঙ্গলকোটে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. মাজহারুল ইসলাম; চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় বিএনপি নেতা মো. আশরাফ হোসেন আলিম ও তার ছেলে আবদুল্লাহ আল রাইহান; ভোলাহাট উপজেলায় বিএনপির মোহাম্মদ বাবর আলী, মো. আনোয়ারুল ইসলাম ও ইয়াজদানী আলীম আল রাজী; ময়মনসিংহের ফুলপুরে পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমরান হাসান পল্লব চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন।

এছাড়া নাটোর সদর উপজেলায় বিএনপি নেতা গোলাম সরোয়ার ও বিএনপি কর্মী সাবেক ভিপি মো. ইসতেয়াক আহম্মেদ (হিরা); একই জেলার নলডাঙ্গা উপজেলায় বিএনপির উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি সরদার আফজাল হোসেন; পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ফায়জুল কবির তালুকদার; বান্দরবন সদর উপজেলায় জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কুদ্দুছ; নওগাঁর মহাদেবপুরে থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদ হোসেন; সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক ভাস চেয়ারম্যান গৌছ খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল মিয়া ও যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা সফিক উদ্দিন চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদেও দলটির অনেক নেতা প্রার্থী হয়েছেন।

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির আবদুর রশিদ পাটোয়ারী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র।

এছাড়া নাটোরের ধামইরহাট উপজেলায় নায়েবে আমির মাওলানা মো. আতাউর রহমান, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা আমির ওলিউর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে সাবেক জামায়াত নেতা মো. সিরাজুল ইসলাম, কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক সুজা উদ্দিন জোয়ার্দার, দিনাজপুরের বিরামপুরে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির এনামুল হক, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমান এবং সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা আমির নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন।

এছাড়া রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মহানগর জামায়াতের আমীর এটিএম গোলাম আযম অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সংবাদের জেলা বার্তা পরিবেশককে তিনি বলেন, দলগতভাবে বর্জনের সিদ্ধান্ত হওয়ায় তিনি মনোনয়নপত্রের প্রিন্ট কপি রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দেননি।

আইন অনুযায়ী প্রিন্ট কপি জমা দেয়া বাধ্যতামূলক নয়। অনলাইনে আবেদন করলেই মনোননয়পত্র গৃহীত হবে।

ভাইসচেয়ারম্যান পদে রংপুর পীরগাছা উপজেলা আমীর মোস্তাক আহাম্মেদ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মঞ্জুরী বেগম মনোনয়নপত্র ও প্রিন্ট কপি রিটার্নিং অফিসারের কাছে দাখিল করেছেন। তারা দুজনও মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবেন বলে দাবি করেন রংপুর মহানগর জামায়াতের আমির।

রিজভীর বিজ্ঞপ্তি
এদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তি মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল)গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, আগামী ৮ মে থেকে অনুষ্ঠেয় সব ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

১৫ এপ্রিল সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও তার সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের প্রকাশ্য একপেশে ভূমিকার জন্য এর আগে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। এখনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি। বিদ্যমান অরাজক পরিস্থিতি আরও অবনতিশীল হওয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেয়ার যৌক্তিক কারণ রয়েছে।’

ছবি

অপকৌশল গ্রহণ করায় বিএনপি দিন দিন সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হচ্ছে : ওবায়দুল কাদের

ছবি

নির্বাচনে অংশ নিতে জাপার ওপর চাপ ছিল জি এম কাদের

ছবি

‘অস্তিত্ব রক্ষার’ জন্যই নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃতরা

ছবি

কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না : কাদের

ছবি

গবেষণা ও জ্ঞানচর্চায় গুরুত্ব দিতে বিএসপি চেয়ারম্যানের আহবান

ছবি

বিএনপি দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে : কাদের

ছবি

‘স্বার্থহীন’ রাজনীতির উদাহরণ পঙ্কজ ভট্টাচার্য

ছবি

মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা নির্দেশ না মানলে ব্যবস্থা: কাদের

দুই ধাপের ভোটেই এমপির স্বজনরা

দুই ধাপের ভোটেই এমপির স্বজনরা

প্রথম ধাপে চার উপজেলায় ভোটের প্রয়োজন নেই

ছবি

মাদারীপুরে দুইটি উপজেলায় ২১ প্রার্থীর প্রতিক বরাদ্দ

ছবি

দেশি-বিদেশি চক্র নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত করছে : কাদের

ছবি

উপজেলা নির্বাচন: পরশুরামে এবারও ভোটের প্রয়োজন হবে না

চেয়ারম্যান পদে জামায়াত নেতার মনোনযন প্রত্যাহার, দুই ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নেই

ছবি

হাতিয়াতে ভোট ছাড়াই জয়ী হচ্ছেন চেয়ারম্যান ও দুই ভাইস-চেয়ারম্যান

ছবি

তাপপ্রবাহের কারণে বিএনপির ২৬ এপ্রিলের সমাবেশ স্থগিত

লালমনিরহাটে দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করেই সাবেক মন্ত্রীর ভাই-ছেলের লড়াই

ছবি

শেষ দিনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন যারা

ছবি

সেনবাগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন পদে ১৭ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল

কসবায় নির্বাচন থেকে সরছেন না মন্ত্রীর আত্মীয় ছাইদুর

ছবি

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করে প্রাইভেট হাসপাতালের রোগ নির্ণয় পরীক্ষার ফি নির্ধারণ: স্বাস্থ্য মন্ত্রী

ছবি

রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় বিএনপি : ওবায়দুল কাদের

ছবি

১০ দিনে ৫ লাখ বৃক্ষ রোপণ করবে ছাত্রলীগ

ছবি

সন্ত্রাসী অপরাধে গ্রেপ্তারদেরও নিজেদের কর্মী দাবী করছে বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

আমরা সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের রাজনীতি করতে চাই-- অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি

ছবি

স্থানীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রয়োজন নেই: ইসি আলমগীর

ছবি

সরকার চোরাবালিতে দাঁড়িয়ে, যেকোনো সময় ডুবে যাবে: রিজভী

ছবি

ইরাকে ইরানপন্থি বাহিনীর ঘাঁটিতে বিমান হামলায় হতাহত ৭

ছবি

আবদুল আউয়াল মিন্টু হাসপাতালে ভর্তি

ছবি

আ.লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে : কাদের

ছবি

আমি লজ্জিত-দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী, দোষীদের কপালে দুঃখ আছে : পলক

ছবি

যারা নুন-ভাতের কথাও ভাবতে পারত না, এখন তারা মাছ-মাংসের চিন্তা করে : শেখ হাসিনা

মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আ’লীগের

ছবি

মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়া : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

খালেদা জিয়া ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিলেন : শেখ হাসিনা

tab

রাজনীতি

উপজেলা নির্বাচন

মনোনয়নে বিএনপি-জামায়াতের নেতারা, তবে দল দু’টির বর্জনের ঘোষণা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করা দল বিএনপি উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। এরপরও, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলটি থেকে ৪০ জনের বেশি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া বিএনপির দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াতে ইসলামী থেকেও অন্তত ২০ জন স্বতন্ত্র মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট জেলা-উপজেলা থেকে সংবাদ প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এই প্রেক্ষাপটে, প্রথম ধাপে অধিকাংশ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়াই হতে যাচ্ছে মূলত আওয়ামী লীগের নেতাদের নিজেদের মধ্যে। প্রতিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দলটির গড়ে তিনজন করে প্রার্থী হচ্ছেন। তবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দলটি কাউকে প্রতীক দেয়নি।

বিএনপি-জামায়াতের দাবি, উপজেলা নির্বাচন বর্জনের কেন্দ্রীয় ঘোষণা ও নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের সব প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন। এমনটা হলে, সব উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে আওয়ামী লীগ।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলায় ভোট। ১৫ মে বিকেল ৪টায় প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র জমার সময় শেষ হয়েছে।

এবার প্রথমবারের মতো অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্য অনুযায়ী, ১৫০টি উপজেলায় মোট ১৮৯১ প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন রয়েছেন।

এর মধ্যে ১৪১টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের অন্তত ৪৬৬ জন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

মনোনয়নপত্র দাখিলের দিনই বাগেরহাট সদর ও মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১২টি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাছাইয়ে বৈধতা পেলে তারা সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হবেন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দেয়ার সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীনদের লক্ষ্য একটাই; বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে নিজ দলের (আওয়ামী লীগ) একাধিক প্রার্থী অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়া। নির্বাচনে ‘উৎসবমুখর পরিবেশ’ করা এবং ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো। যাতে স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন মোটামুটি গ্রহণযোগ্যতা পায়।

বিএনপির বর্জনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও একই কৌশল নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। প্রতীক না দিলে বিএনপিসহ অন্যান্য দল স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে অংশ নেবে, এমন একটা প্রত্যাশ্যাও আওয়ামী লীগের ছিল।

বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের পথে
প্রথম ধাপে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় কোথাও কোথাও ভোটের প্রয়োজন হবে না। বাগেরহাট সদর ও মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে একজন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বাছাইয়ে তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ হলে এই দুই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোটের প্রয়োজন হবে না। মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. আনিছ উজ্জামান। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিনের ছোট ভাই এবং মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ফয়সালের চাচা।

বাগেরহাট সদর উপজেলায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ সভাপতি সরদার নাসির উদ্দিন। এ উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রিজিয়া পারভীনও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এর আগের নির্বাচনেও তারা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিলেন।

ইসি সূত্র জানায়, ভাইস চেয়ারম্যান পদে একটি করে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে কক্সবাজার সদর, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায়। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একটি করে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে কুষ্টিয়া সদর, চাঁদপুরের মতলব, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী, নোয়াখালীর হাতিয়া ও মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায়।

এছাড়া ১৫টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দুজন করে। এসব উপজেলায় মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে কোনো একজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হলে বা শেষ পর্যন্ত একজন প্রার্থিতা তুলে নিলে সেখানে আর ওই পদে ভোটের প্রয়োজন হবে না। অন্যদিকে চেয়ারম্যান পদে সর্বোচ্চ ১১ জন করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ও সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায়। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সর্বোচ্চ ১৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায়। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সর্বোচ্চ ৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায়।

তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি হবে ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। পরদিন প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচার শুরু হবে।

বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী যারা
কুমিল্লার মেঘনা ও নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি ও ছাত্রদলের দুই নেতা। তারা হলেন, মেঘনা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রমিজ উদ্দিন এবং নাঙ্গলকোট উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাজহারুল ইসলাম।

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাটোরের ধামইরহাট উপজেলায় বিএনপি নেতা মো. আয়েন উদ্দিন ডালিম; মহাদেবপুরে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু; কুমিল্লার মেঘনায় উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. রমিজ উদ্দিন; একই উপজেলার নাঙ্গলকোটে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. মাজহারুল ইসলাম; চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় বিএনপি নেতা মো. আশরাফ হোসেন আলিম ও তার ছেলে আবদুল্লাহ আল রাইহান; ভোলাহাট উপজেলায় বিএনপির মোহাম্মদ বাবর আলী, মো. আনোয়ারুল ইসলাম ও ইয়াজদানী আলীম আল রাজী; ময়মনসিংহের ফুলপুরে পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমরান হাসান পল্লব চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন।

এছাড়া নাটোর সদর উপজেলায় বিএনপি নেতা গোলাম সরোয়ার ও বিএনপি কর্মী সাবেক ভিপি মো. ইসতেয়াক আহম্মেদ (হিরা); একই জেলার নলডাঙ্গা উপজেলায় বিএনপির উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি সরদার আফজাল হোসেন; পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ফায়জুল কবির তালুকদার; বান্দরবন সদর উপজেলায় জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কুদ্দুছ; নওগাঁর মহাদেবপুরে থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদ হোসেন; সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক ভাস চেয়ারম্যান গৌছ খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল মিয়া ও যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা সফিক উদ্দিন চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদেও দলটির অনেক নেতা প্রার্থী হয়েছেন।

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির আবদুর রশিদ পাটোয়ারী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র।

এছাড়া নাটোরের ধামইরহাট উপজেলায় নায়েবে আমির মাওলানা মো. আতাউর রহমান, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা আমির ওলিউর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে সাবেক জামায়াত নেতা মো. সিরাজুল ইসলাম, কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক সুজা উদ্দিন জোয়ার্দার, দিনাজপুরের বিরামপুরে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির এনামুল হক, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমান এবং সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা আমির নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন।

এছাড়া রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মহানগর জামায়াতের আমীর এটিএম গোলাম আযম অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সংবাদের জেলা বার্তা পরিবেশককে তিনি বলেন, দলগতভাবে বর্জনের সিদ্ধান্ত হওয়ায় তিনি মনোনয়নপত্রের প্রিন্ট কপি রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দেননি।

আইন অনুযায়ী প্রিন্ট কপি জমা দেয়া বাধ্যতামূলক নয়। অনলাইনে আবেদন করলেই মনোননয়পত্র গৃহীত হবে।

ভাইসচেয়ারম্যান পদে রংপুর পীরগাছা উপজেলা আমীর মোস্তাক আহাম্মেদ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মঞ্জুরী বেগম মনোনয়নপত্র ও প্রিন্ট কপি রিটার্নিং অফিসারের কাছে দাখিল করেছেন। তারা দুজনও মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবেন বলে দাবি করেন রংপুর মহানগর জামায়াতের আমির।

রিজভীর বিজ্ঞপ্তি
এদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তি মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল)গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, আগামী ৮ মে থেকে অনুষ্ঠেয় সব ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

১৫ এপ্রিল সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও তার সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের প্রকাশ্য একপেশে ভূমিকার জন্য এর আগে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। এখনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি। বিদ্যমান অরাজক পরিস্থিতি আরও অবনতিশীল হওয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেয়ার যৌক্তিক কারণ রয়েছে।’

back to top