পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদার আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা সন্তোষজনক না হওয়ায় তার প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।
রোববার (২৬ মে) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এ কথা জানান।
এমদাদুল হক পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য গালিবুর রহমান শরীফের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
এর আগে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এমদাদুল হককে তলব করে নির্বাচন কমিশন। রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হয়ে কেন প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয় আনারস প্রতীকের এ প্রার্থীকে।
একই সময়ে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু আহমেদ চৌধুরীকে তলব করা হয় ইসিতে।
সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন,“ঈশ্বরদীর চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এমদাদুল হকযেদিন প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছিলেন ওই দিনই শতাধিক মোটরসাইকেলসহ কয়েক হাজার মানুষনিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন । শোডাউন করেছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেননি। এসব বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। তাকে নোটিশ দিলে ইসিতেউপস্থিত হন এবংজবাব দিয়েছেন।
তার জবাবে কমিশন সন্তুষ্ট না হলে আচরণবিধির ৩৩ ধারা অনুযায়ী (ইসির প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা), এমদাদুল হককে আচরণবিধির ৭ (ক) ও ১৩ (খ) (সভা-সমিতির বিধিনিষেধ) লঙ্ঘনের জন্য প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।”
তৃতীয় ধাপে ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাচন। এ উপজেলার তিনজন প্রার্থীকে ১২ মে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
নির্বাচনে প্রচারের শুরুতেই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এমাদুল হক রানা সরদারের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে।
ভোটারদের ‘প্রভাবিত করা’ ও নির্বাচনি পরিবেশ ‘বিঘ্নিত’ করার অভিযোগে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত দেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু।
আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত প্রতীক নিয়ে মিছিল করেন তিনি। এ ছাড়া হোন্ডা শোডাউন, নির্বাচনি সভায় খাবার-দাবারের আয়োজন ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর মত আচরণবিধি লঙ্ঘনের নানা অভিযোগ ওঠে রানা সরদারের বিরুদ্ধে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ মে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন তাকে সতর্ক করার পাশাপাশি কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেন।
তবু তিনি আচরণবিধির তোয়াক্কা না করে সুষ্ঠু নির্বাচনি পরিবেশ নষ্ট করার কাজ করছিলেন বলে প্রতিদ্বন্দ্বী মিন্টুর অভিযোগ।
আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বেও রয়েছেন।
মিন্টু বলেন, “স্থানীয় এমপি গালিব শরীফের সমর্থন পাওয়ার কারণেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন এমদাদুল হক রানা সরদার। এমপি গালিব শরীফের ভাই উপজেলা যুবলীগ নেতা শিরহান শরীফ তমালের নেতৃত্বে ঈশ্বরদীতে ভোটের মাঠকে ভীতির জনপদে রূপ দিয়েছেন তিনি।”
“বিভিন্ন নির্বাচনি সভায় শিরহান শরীফ তমাল চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রানা সরদারের পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সরাসরি হুমকি-ধামকি দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। ভোটারদেরও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন তারা।”
রোববার, ২৬ মে ২০২৪
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদার আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা সন্তোষজনক না হওয়ায় তার প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।
রোববার (২৬ মে) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এ কথা জানান।
এমদাদুল হক পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য গালিবুর রহমান শরীফের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
এর আগে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এমদাদুল হককে তলব করে নির্বাচন কমিশন। রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হয়ে কেন প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয় আনারস প্রতীকের এ প্রার্থীকে।
একই সময়ে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু আহমেদ চৌধুরীকে তলব করা হয় ইসিতে।
সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন,“ঈশ্বরদীর চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এমদাদুল হকযেদিন প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছিলেন ওই দিনই শতাধিক মোটরসাইকেলসহ কয়েক হাজার মানুষনিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন । শোডাউন করেছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেননি। এসব বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। তাকে নোটিশ দিলে ইসিতেউপস্থিত হন এবংজবাব দিয়েছেন।
তার জবাবে কমিশন সন্তুষ্ট না হলে আচরণবিধির ৩৩ ধারা অনুযায়ী (ইসির প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা), এমদাদুল হককে আচরণবিধির ৭ (ক) ও ১৩ (খ) (সভা-সমিতির বিধিনিষেধ) লঙ্ঘনের জন্য প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।”
তৃতীয় ধাপে ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাচন। এ উপজেলার তিনজন প্রার্থীকে ১২ মে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
নির্বাচনে প্রচারের শুরুতেই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এমাদুল হক রানা সরদারের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে।
ভোটারদের ‘প্রভাবিত করা’ ও নির্বাচনি পরিবেশ ‘বিঘ্নিত’ করার অভিযোগে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত দেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু।
আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত প্রতীক নিয়ে মিছিল করেন তিনি। এ ছাড়া হোন্ডা শোডাউন, নির্বাচনি সভায় খাবার-দাবারের আয়োজন ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর মত আচরণবিধি লঙ্ঘনের নানা অভিযোগ ওঠে রানা সরদারের বিরুদ্ধে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ মে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন তাকে সতর্ক করার পাশাপাশি কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেন।
তবু তিনি আচরণবিধির তোয়াক্কা না করে সুষ্ঠু নির্বাচনি পরিবেশ নষ্ট করার কাজ করছিলেন বলে প্রতিদ্বন্দ্বী মিন্টুর অভিযোগ।
আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বেও রয়েছেন।
মিন্টু বলেন, “স্থানীয় এমপি গালিব শরীফের সমর্থন পাওয়ার কারণেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন এমদাদুল হক রানা সরদার। এমপি গালিব শরীফের ভাই উপজেলা যুবলীগ নেতা শিরহান শরীফ তমালের নেতৃত্বে ঈশ্বরদীতে ভোটের মাঠকে ভীতির জনপদে রূপ দিয়েছেন তিনি।”
“বিভিন্ন নির্বাচনি সভায় শিরহান শরীফ তমাল চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রানা সরদারের পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সরাসরি হুমকি-ধামকি দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। ভোটারদেরও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন তারা।”