প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হলেও সহিংসতা না থাকা স্বস্তিদায়ক। সার্বিকভাবে নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
গতকাল রোববার পঞ্চম দফায় ১৯টি উপজেলায় নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি।
সিইসি বলেন, “রাজনৈতিক সদিচ্ছটা ছিল স্পষ্ট ও ইতিবাচক। ভোটার উপস্থিতি কম হলেও সহিংসতা না থাকা স্বস্তিদায়ক।সার্বিকভাবে নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ হয়েছে। প্রশাসন, পুলিশের যে ভূমিকা প্রশংসনীয়। আমাদের নির্দেশনা তারা কঠোরভাবে প্রতিপালন করছেন এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছাও ছিল স্পষ্ট, খুব ইতিবাচক।”
চারটি ধাপে উপজেলা নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রেমালে কারণে আরেকটি ধাপ বেড়েছে। রোববার ১৯টি উপজেলায় নির্বাচন হল।
সিইসি বলেন, “এবার নির্বাচনে রাজনৈতিকভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল, দেখা গেছে দুই একটি দল ছাড়া ওরা রাজনৈতিক প্রতীকে অংশগ্রহণ করেনি। যার ফলে নির্বাচনটা আগের মতো স্থানীয়ভাবে ব্যক্তিভিত্তিক হয়েছে। যদিও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা অংশগ্রহণ করেছেন, তবে রাজনৈতিক পরিচয়ে নয়।”
রোববারের ভোটের সময় নানা অপরাধে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, “এদের মধ্যে দুইজন পোলিং অফিসার নির্বাচনি অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন।”
ভোটে মোট চারজন আহত হলেও পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ছিল বলেও মূল্যায়ন করেন তিনি।
রোববারের ভোটের মধ্য দিয়ে ৪৬৯টি উপজেলায় নির্বাচন শেষ হয়েছে। আরও ২৬টি উপজেলা নির্বাচন বাকি আছে। এর মধ্যে কয়েকটি এখনো মেয়াদপূর্তি হয়নি। কয়েকটি আদালতে নির্দেশনার কারণে স্থগিত রয়েছে৷
সিইসি বলেন, “১ হাজার ১৮০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৩৫টি ভোটকেন্দ্রের হিসাব পেয়েছি৷ সেদিক থেকে ভোট পড়ে ৪৩.৯১%। পরে চূড়ান্ত কত ভোট পড়েছে বলা যাবে।”
এর আগে প্রথম থেকে চতুর্থ ধাপ-কখনো ভোটের হার ৪০ শতাংশ অতিক্রম করেনি।
প্রথম ধাপে ৩৬ শতাংশ, দ্বিতীয় ধাপে ৩৮ শতাংশ, তৃতীয় ধাপে ৩৬ শতাংশ ও চতুর্থ ধাপে ৩৪ শতাংশ ভোট পড়ে।
সবশেষ ২০১৯ সালের পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনে ভোটে গড়ে ৪১ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা ভোটে ৬১ শতাংশ এবং তৃতীয় উপজেলা ভোটে ২০০৯ সালে ৬৭.৬৯ শতাংশ ভোট পড়ে। এই হিসেবে গত এক দশকের মধ্যে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে ভোটের হার এবারই সবচেয়ে কম।
সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, “সন্তুষ্টি, অসন্তুষ্টির বিষয়টা চট করে বলতে পারব না৷ তবে এটা তো সন্তুষ্টি, স্বস্তিদায়ক; আমরা কোনো হতাহতের খবর শুনতে পাইনি। কেউ বলেনি ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি, ওদের বিতাড়িত করা হয়েছে।
“সেদিক থেকে এটা ইতিবাচক। এসব কারণে আমরা স্বস্তি বোধ করছি। তবে ভোটার পড়ার সংখ্যা ৬০ শতাংশ, ৭০ শতাংশ হত, তাহলে আপনাদের মতো আমরাও সন্তুষ্ট হতাম। আশা করি, মানুষ আগামীতে আরো সচেতন হবে এবং সশাসনের বিষয় নিয়ে আমাদের জনগণকে উপলব্ধি করাতে হবে। তারা সুশাসনের যে গণতান্ত্রিক চেতনা, তারাও হয়ত উপলব্ধি করে ভোটমুখী হবেন।”
রোববার, ০৯ জুন ২০২৪
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হলেও সহিংসতা না থাকা স্বস্তিদায়ক। সার্বিকভাবে নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
গতকাল রোববার পঞ্চম দফায় ১৯টি উপজেলায় নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি।
সিইসি বলেন, “রাজনৈতিক সদিচ্ছটা ছিল স্পষ্ট ও ইতিবাচক। ভোটার উপস্থিতি কম হলেও সহিংসতা না থাকা স্বস্তিদায়ক।সার্বিকভাবে নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ হয়েছে। প্রশাসন, পুলিশের যে ভূমিকা প্রশংসনীয়। আমাদের নির্দেশনা তারা কঠোরভাবে প্রতিপালন করছেন এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছাও ছিল স্পষ্ট, খুব ইতিবাচক।”
চারটি ধাপে উপজেলা নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রেমালে কারণে আরেকটি ধাপ বেড়েছে। রোববার ১৯টি উপজেলায় নির্বাচন হল।
সিইসি বলেন, “এবার নির্বাচনে রাজনৈতিকভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল, দেখা গেছে দুই একটি দল ছাড়া ওরা রাজনৈতিক প্রতীকে অংশগ্রহণ করেনি। যার ফলে নির্বাচনটা আগের মতো স্থানীয়ভাবে ব্যক্তিভিত্তিক হয়েছে। যদিও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা অংশগ্রহণ করেছেন, তবে রাজনৈতিক পরিচয়ে নয়।”
রোববারের ভোটের সময় নানা অপরাধে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, “এদের মধ্যে দুইজন পোলিং অফিসার নির্বাচনি অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন।”
ভোটে মোট চারজন আহত হলেও পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ছিল বলেও মূল্যায়ন করেন তিনি।
রোববারের ভোটের মধ্য দিয়ে ৪৬৯টি উপজেলায় নির্বাচন শেষ হয়েছে। আরও ২৬টি উপজেলা নির্বাচন বাকি আছে। এর মধ্যে কয়েকটি এখনো মেয়াদপূর্তি হয়নি। কয়েকটি আদালতে নির্দেশনার কারণে স্থগিত রয়েছে৷
সিইসি বলেন, “১ হাজার ১৮০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৩৫টি ভোটকেন্দ্রের হিসাব পেয়েছি৷ সেদিক থেকে ভোট পড়ে ৪৩.৯১%। পরে চূড়ান্ত কত ভোট পড়েছে বলা যাবে।”
এর আগে প্রথম থেকে চতুর্থ ধাপ-কখনো ভোটের হার ৪০ শতাংশ অতিক্রম করেনি।
প্রথম ধাপে ৩৬ শতাংশ, দ্বিতীয় ধাপে ৩৮ শতাংশ, তৃতীয় ধাপে ৩৬ শতাংশ ও চতুর্থ ধাপে ৩৪ শতাংশ ভোট পড়ে।
সবশেষ ২০১৯ সালের পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনে ভোটে গড়ে ৪১ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা ভোটে ৬১ শতাংশ এবং তৃতীয় উপজেলা ভোটে ২০০৯ সালে ৬৭.৬৯ শতাংশ ভোট পড়ে। এই হিসেবে গত এক দশকের মধ্যে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে ভোটের হার এবারই সবচেয়ে কম।
সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, “সন্তুষ্টি, অসন্তুষ্টির বিষয়টা চট করে বলতে পারব না৷ তবে এটা তো সন্তুষ্টি, স্বস্তিদায়ক; আমরা কোনো হতাহতের খবর শুনতে পাইনি। কেউ বলেনি ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি, ওদের বিতাড়িত করা হয়েছে।
“সেদিক থেকে এটা ইতিবাচক। এসব কারণে আমরা স্বস্তি বোধ করছি। তবে ভোটার পড়ার সংখ্যা ৬০ শতাংশ, ৭০ শতাংশ হত, তাহলে আপনাদের মতো আমরাও সন্তুষ্ট হতাম। আশা করি, মানুষ আগামীতে আরো সচেতন হবে এবং সশাসনের বিষয় নিয়ে আমাদের জনগণকে উপলব্ধি করাতে হবে। তারা সুশাসনের যে গণতান্ত্রিক চেতনা, তারাও হয়ত উপলব্ধি করে ভোটমুখী হবেন।”