অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচনও করতে হবে, আবার জনগণের জন্য কাজও করতে হবে। এই কাজগুলো যদি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে হয় সেটা সবার জন্য ভালো বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কির সঙ্গে বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে আমীর খসরু সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
পৌনে এক ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদও অংশ নেন।
নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে তাদের এ ব্যাপারে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেননি বলেও জানান তিনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তাঁদের পূর্ণ সমর্থনের কথাও বলেছেন বিএনপির এই নেতা।
আমীর খসরু বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বৈজ্ঞানিক, জ্বালানি ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাঁরা জানতে চেয়েছেন, বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যতে এই সংকট উত্তরণ নিয়ে আমরা কী চিন্তা করছি। আমাদের তরফ থেকে পরিষ্কার বলা হয়েছে যে বিএনপি সবার সঙ্গে সম্পর্কে বিশ্বাসী। কোনো বিশেষ দেশ বা আলাদাভাবে আমরা কাউকে দেখি না…সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে এবং বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে রাশিয়ার মানুষের সম্পর্ক থাকবে, দুই দেশের সম্পর্ক থাকবে। সহযোগিতার ক্ষেত্রে আমি যেটা বলেছি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
পর্যটন খাতে রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাশিয়া একটি বিশাল দেশ। সেখানে ট্যুরিজমের সুযোগ আছে। তারা এখানে বোধ হয় একটা অফিসও খুলতে চাইছে...ভবিষ্যতে ব্যাংকের শাখা করতে চাচ্ছে…আমরা স্বাগত জানিয়েছি।’
আমীর খসরু বলেন, ‘এ ছাড়া বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট…নির্বাচন ইত্যাদি বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি, ইতিমধ্যে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি যে যত শিগগিরই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যাবে।’
নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘টাইম ফ্রেম জানতে চেয়েছে…আমরা কোনো টাইম ফ্রেম বলিনি। আমরা বলেছি, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এবং তাদের কার্যক্রমে আমরা পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যে রিফর্মগুলো নিয়ে আলোচনা হবে, সেগুলো তাড়াতাড়ি করে একটা নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’
আমীর খসরু বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে সবাই আজকের অবস্থান জানতে চায়, আগামী দিনের অবস্থান জানতে চায়। সেই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আজকে যে সম্পর্ক আছে, আগামী দিনে সেই সম্পর্ক থাকবে কি না, …আমাদের বক্তব্য, পুরোপুরি সম্পর্ক থাকবে। আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে যাবে, সব দেশের সঙ্গে থাকবে। আমরা সিলেক্টিভলি কোনো দেশকে আগে বা পরে সেভাবে দেখি না।’
বিএনপি নেতা আমীর খসরু বলেন, ‘বিএনপির পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে আমরা সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে দুই দেশের মধ্যে যে কম্পারেটিভ অ্যাডভানটেজগুলো আছে, সেগুলোর সুযোগ নিতে হবে…বাংলাদেশে যেখানে কম্পারেটিভ অ্যাডভানটেজগুলো আছে, সেগুলোর আমরা সুযোগ নিতে চাই। দুই দেশের সম্পর্ক হতে হবে পরস্পর লাভবান হতে হবে, পরস্পরের প্রতি সম্মানবোধ থাকতে হবে, মিউচুয়াল রেসপেক্ট থাকতে হবে, মিউচুয়ালি বেনিফিটেড হতে হবে…সেই বিষয়গুলো আমাদের আলোচনায় উঠে এসেছে।’
বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট ২০২৪
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচনও করতে হবে, আবার জনগণের জন্য কাজও করতে হবে। এই কাজগুলো যদি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে হয় সেটা সবার জন্য ভালো বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কির সঙ্গে বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে আমীর খসরু সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
পৌনে এক ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদও অংশ নেন।
নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে তাদের এ ব্যাপারে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেননি বলেও জানান তিনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তাঁদের পূর্ণ সমর্থনের কথাও বলেছেন বিএনপির এই নেতা।
আমীর খসরু বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বৈজ্ঞানিক, জ্বালানি ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাঁরা জানতে চেয়েছেন, বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যতে এই সংকট উত্তরণ নিয়ে আমরা কী চিন্তা করছি। আমাদের তরফ থেকে পরিষ্কার বলা হয়েছে যে বিএনপি সবার সঙ্গে সম্পর্কে বিশ্বাসী। কোনো বিশেষ দেশ বা আলাদাভাবে আমরা কাউকে দেখি না…সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে এবং বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে রাশিয়ার মানুষের সম্পর্ক থাকবে, দুই দেশের সম্পর্ক থাকবে। সহযোগিতার ক্ষেত্রে আমি যেটা বলেছি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
পর্যটন খাতে রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাশিয়া একটি বিশাল দেশ। সেখানে ট্যুরিজমের সুযোগ আছে। তারা এখানে বোধ হয় একটা অফিসও খুলতে চাইছে...ভবিষ্যতে ব্যাংকের শাখা করতে চাচ্ছে…আমরা স্বাগত জানিয়েছি।’
আমীর খসরু বলেন, ‘এ ছাড়া বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট…নির্বাচন ইত্যাদি বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি, ইতিমধ্যে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি যে যত শিগগিরই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যাবে।’
নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘টাইম ফ্রেম জানতে চেয়েছে…আমরা কোনো টাইম ফ্রেম বলিনি। আমরা বলেছি, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এবং তাদের কার্যক্রমে আমরা পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যে রিফর্মগুলো নিয়ে আলোচনা হবে, সেগুলো তাড়াতাড়ি করে একটা নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’
আমীর খসরু বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে সবাই আজকের অবস্থান জানতে চায়, আগামী দিনের অবস্থান জানতে চায়। সেই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আজকে যে সম্পর্ক আছে, আগামী দিনে সেই সম্পর্ক থাকবে কি না, …আমাদের বক্তব্য, পুরোপুরি সম্পর্ক থাকবে। আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে যাবে, সব দেশের সঙ্গে থাকবে। আমরা সিলেক্টিভলি কোনো দেশকে আগে বা পরে সেভাবে দেখি না।’
বিএনপি নেতা আমীর খসরু বলেন, ‘বিএনপির পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে আমরা সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে দুই দেশের মধ্যে যে কম্পারেটিভ অ্যাডভানটেজগুলো আছে, সেগুলোর সুযোগ নিতে হবে…বাংলাদেশে যেখানে কম্পারেটিভ অ্যাডভানটেজগুলো আছে, সেগুলোর আমরা সুযোগ নিতে চাই। দুই দেশের সম্পর্ক হতে হবে পরস্পর লাভবান হতে হবে, পরস্পরের প্রতি সম্মানবোধ থাকতে হবে, মিউচুয়াল রেসপেক্ট থাকতে হবে, মিউচুয়ালি বেনিফিটেড হতে হবে…সেই বিষয়গুলো আমাদের আলোচনায় উঠে এসেছে।’