বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ ঢাকা থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান গত ২৮ আগস্ট বুধবার। এরপর এস আলমের মালিকানাধীন ওই গাড়িতে চড়েই নিজ এলাকায় গিয়ে সংবর্ধনা নেন দীর্ঘদিন ভারতে থাকা বিএনপির এই নেতা। বিএনপির নেতাকর্মীরা বিমানবন্দর থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদের গাড়িবহর পেকুয়ায় পৌঁছানোর এই ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, যে গাড়িতে (জিপ) চড়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ কক্সবাজার থেকে পেকুয়ায় আসেন, সেটির নম্বর চট্ট মেট্রো ঘ-১১-১৫৩৩। এটি মিতসুবিশি কোম্পানি একটি এসইউভি (স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল)। তিনি সামনে সিটে বসে হাত নেড়ে আশপাশের লোকজনকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিববহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) চট্টগ্রাম কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সালাহউদ্দিন আহমেদকে বহন করা গাড়িটি এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন। এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্টের নামে এটি ২০১০ সালে নিবন্ধন করা। ঠিকানা লেখা আছে এস আলম ভবন, চট্টগ্রাম নগরের আছদগঞ্জ। এটি এস আলম গ্রুপের প্রধান কার্যালয়। বিআরটিএ চট্টগ্রামের এক কর্মকর্তা গাড়িটি এস আলম গ্রুপের নামে নিবন্ধন করা বলে নিশ্চিত করেন।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১৪ জুন কক্সবাজারে জেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। ৬২ দিন পর ওই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি দেশে ফেরেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসন থেকে দুবার (১৯৯৬ ও ২০০১) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদও একবার (২০০৮) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১০ বছরের বেশি সময় পর বুধবার নিজ জেলা কক্সবাজারে যান সালাহউদ্দিন আহমেদ। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা থেকে তিনি কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। এরপর দলের নেতাকর্মীদের গাড়িবহরের সঙ্গে তার গ্রামের বাড়ি পেকুয়ায় পৌঁছান তিনি। সেখানে তাকে গণসংবর্ধনা দেয়া হয়। এর আগে সালাহউদ্দিন আহমেদ চকরিয়া শহীদ আবদুল হামিদ পৌর বাস টার্মিনালে বিএনপি আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেন।
এস আলম গ্রুপের গাড়িতে চড়ে এসে নিজ এলাকায় সংবর্ধনা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শত শত লোক এসেছে। কার গাড়িতে উঠেছি জানিনা। যে চালক গাড়িটি চালিয়েছেন, তিনি সাত-আট বছর ধরে আমার পরিবারের গাড়ি চালিয়ে আসছেন।’
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরের কালুরঘাট এলাকার একটি কারখানা থেকে বিলাসবহুল কয়েকটি গাড়ি বের হওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, একটি কারখানা থেকে একের পর এক দামি গাড়ি বের হচ্ছে। সেখানে কয়েকজন ব্যক্তি তা তদারক করছেন। যারা ভিডিওটি শেয়ার করেছেন, তাদের ভাষ্য, এগুলো শিল্প গ্রুপ এস আলমের গাড়ি এবং যারা তত্ত্বাবধানে আছেন, তারা বিএনপির নেতাকর্মী। এ ঘটনার পর দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানসহ তিন নেতাকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে দলটি।
ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম)। দেশের ছয়টি ব্যাংকের মালিকানা ছিল এই গ্রুপের। দেশে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর একে একে সামনে আসে এস আলম গ্রুপের দুর্নীতি।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডির) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল ইসলাম (এস আলম) ও তার সহযোগী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ১ লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
সোমবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ ঢাকা থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান গত ২৮ আগস্ট বুধবার। এরপর এস আলমের মালিকানাধীন ওই গাড়িতে চড়েই নিজ এলাকায় গিয়ে সংবর্ধনা নেন দীর্ঘদিন ভারতে থাকা বিএনপির এই নেতা। বিএনপির নেতাকর্মীরা বিমানবন্দর থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদের গাড়িবহর পেকুয়ায় পৌঁছানোর এই ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, যে গাড়িতে (জিপ) চড়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ কক্সবাজার থেকে পেকুয়ায় আসেন, সেটির নম্বর চট্ট মেট্রো ঘ-১১-১৫৩৩। এটি মিতসুবিশি কোম্পানি একটি এসইউভি (স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল)। তিনি সামনে সিটে বসে হাত নেড়ে আশপাশের লোকজনকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিববহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) চট্টগ্রাম কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সালাহউদ্দিন আহমেদকে বহন করা গাড়িটি এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন। এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্টের নামে এটি ২০১০ সালে নিবন্ধন করা। ঠিকানা লেখা আছে এস আলম ভবন, চট্টগ্রাম নগরের আছদগঞ্জ। এটি এস আলম গ্রুপের প্রধান কার্যালয়। বিআরটিএ চট্টগ্রামের এক কর্মকর্তা গাড়িটি এস আলম গ্রুপের নামে নিবন্ধন করা বলে নিশ্চিত করেন।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১৪ জুন কক্সবাজারে জেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। ৬২ দিন পর ওই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি দেশে ফেরেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসন থেকে দুবার (১৯৯৬ ও ২০০১) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদও একবার (২০০৮) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১০ বছরের বেশি সময় পর বুধবার নিজ জেলা কক্সবাজারে যান সালাহউদ্দিন আহমেদ। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা থেকে তিনি কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। এরপর দলের নেতাকর্মীদের গাড়িবহরের সঙ্গে তার গ্রামের বাড়ি পেকুয়ায় পৌঁছান তিনি। সেখানে তাকে গণসংবর্ধনা দেয়া হয়। এর আগে সালাহউদ্দিন আহমেদ চকরিয়া শহীদ আবদুল হামিদ পৌর বাস টার্মিনালে বিএনপি আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেন।
এস আলম গ্রুপের গাড়িতে চড়ে এসে নিজ এলাকায় সংবর্ধনা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শত শত লোক এসেছে। কার গাড়িতে উঠেছি জানিনা। যে চালক গাড়িটি চালিয়েছেন, তিনি সাত-আট বছর ধরে আমার পরিবারের গাড়ি চালিয়ে আসছেন।’
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরের কালুরঘাট এলাকার একটি কারখানা থেকে বিলাসবহুল কয়েকটি গাড়ি বের হওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, একটি কারখানা থেকে একের পর এক দামি গাড়ি বের হচ্ছে। সেখানে কয়েকজন ব্যক্তি তা তদারক করছেন। যারা ভিডিওটি শেয়ার করেছেন, তাদের ভাষ্য, এগুলো শিল্প গ্রুপ এস আলমের গাড়ি এবং যারা তত্ত্বাবধানে আছেন, তারা বিএনপির নেতাকর্মী। এ ঘটনার পর দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানসহ তিন নেতাকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে দলটি।
ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম)। দেশের ছয়টি ব্যাংকের মালিকানা ছিল এই গ্রুপের। দেশে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর একে একে সামনে আসে এস আলম গ্রুপের দুর্নীতি।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডির) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল ইসলাম (এস আলম) ও তার সহযোগী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ১ লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।