অন্তর্বর্তী সরকার কাজ শুরু করেছে, এই কাজের জন্য তাদেরকে সময় ও সুযোগ দেয়ার জন্য বিএনপি প্রস্তুত ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে আবারও ঘোষণা দিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আশা করেন যথাশিগগির স্বল্প সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ করে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের দিকে যাবে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ও ১৫ সেপ্টেম্বর বিএনপির ঘোষিত কর্মসূচি সফল করতে এই সমন্বয় সভার আয়োজন করে বিএনপি। সভায় বিএনপির এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ১৫ তারিখ রোববার নয়াপল্টনের সমাবেশে ঢাকাসহ আশপাশের জেলা থেকেও নেতাকর্মীরা অংশ নিবেন বলে জানা গেছে। সেজন্য প্রস্তুতিও শুরু করেছে দলটি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আমাদের স্থায়ী কমিটিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে রূপ দেয়ার জন্য দিনটিকে গুরুত্বসহকারে পালন করার। তাই আমরা ২ দিনের কর্মসূচি দিয়েছি। ১৪ সেপ্টেম্বর শহীদ মিনারে সমাবেশ। গত ১৫ বছরে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন ও নির্যাতিত হয়েছেন, তাদের স্বজনদের নিয়ে এই সমাবেশ করা হবে। সমাবেশে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে। আর ১৫ তারিখ নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে সমাবেশ হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। সেখানে তিনি সংস্কারের কথা ঘোষণা করেছেন, এজন্য একটি কমিটির নামও ঘোষণা করেছেন। এই ভাষণে তিনি মোটামুটিভাবে তার লক্ষ্যের কথা ঘোষণা করেছেন।’
মির্জা ফখরুল আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা মনে করি অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে। এই কাজের জন্য তাদেরকে সময়-সুযোগ দেয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আশা করি, তারা যথাশিগগির সম্ভব ও স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদের সংস্কার কাজ শেষ করে নির্বাচনের দিকে যাবে।’
জনপ্রশাসন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার তো সম্পূর্ণ নতুন। দ্বিতীয়ত, প্রশাসনে এতদিন ধরে আওয়ামী লীগ যেটা করেছে, এটাকে রাজনীতিকরণ করতে গিয়ে এখানে বেশিরভাগই তাদের মতাবলম্বী লোকদের সেখানে প্রমোশন দিয়েছে। ফলে, এখানে শৃঙ্খলা আনতে সময় লাগবে। এখানে নতুন করে লোক নিয়োগ তো সম্ভব না, যা আছ, তা দিয়েই কাজ করতে হবে। সেই জন্য আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার জন্য একটি চক্র অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা সেখানে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপ্রচার চালাচ্ছে। একইসময়ে শিল্প ক্ষেত্রে একটা অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। দেশের মানুষকে এই চক্রান্ত রুখে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সংস্কারে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচনের যে সংস্কার সেটি দ্রুত শেষ হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে। এই সরকার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এসেছে, আশা করি তারা জনগণের আশা-আখাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।’
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকার কাজ শুরু করেছে, এই কাজের জন্য তাদেরকে সময় ও সুযোগ দেয়ার জন্য বিএনপি প্রস্তুত ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে আবারও ঘোষণা দিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আশা করেন যথাশিগগির স্বল্প সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ করে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের দিকে যাবে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ও ১৫ সেপ্টেম্বর বিএনপির ঘোষিত কর্মসূচি সফল করতে এই সমন্বয় সভার আয়োজন করে বিএনপি। সভায় বিএনপির এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ১৫ তারিখ রোববার নয়াপল্টনের সমাবেশে ঢাকাসহ আশপাশের জেলা থেকেও নেতাকর্মীরা অংশ নিবেন বলে জানা গেছে। সেজন্য প্রস্তুতিও শুরু করেছে দলটি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আমাদের স্থায়ী কমিটিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে রূপ দেয়ার জন্য দিনটিকে গুরুত্বসহকারে পালন করার। তাই আমরা ২ দিনের কর্মসূচি দিয়েছি। ১৪ সেপ্টেম্বর শহীদ মিনারে সমাবেশ। গত ১৫ বছরে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন ও নির্যাতিত হয়েছেন, তাদের স্বজনদের নিয়ে এই সমাবেশ করা হবে। সমাবেশে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে। আর ১৫ তারিখ নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে সমাবেশ হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। সেখানে তিনি সংস্কারের কথা ঘোষণা করেছেন, এজন্য একটি কমিটির নামও ঘোষণা করেছেন। এই ভাষণে তিনি মোটামুটিভাবে তার লক্ষ্যের কথা ঘোষণা করেছেন।’
মির্জা ফখরুল আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা মনে করি অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে। এই কাজের জন্য তাদেরকে সময়-সুযোগ দেয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আশা করি, তারা যথাশিগগির সম্ভব ও স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদের সংস্কার কাজ শেষ করে নির্বাচনের দিকে যাবে।’
জনপ্রশাসন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার তো সম্পূর্ণ নতুন। দ্বিতীয়ত, প্রশাসনে এতদিন ধরে আওয়ামী লীগ যেটা করেছে, এটাকে রাজনীতিকরণ করতে গিয়ে এখানে বেশিরভাগই তাদের মতাবলম্বী লোকদের সেখানে প্রমোশন দিয়েছে। ফলে, এখানে শৃঙ্খলা আনতে সময় লাগবে। এখানে নতুন করে লোক নিয়োগ তো সম্ভব না, যা আছ, তা দিয়েই কাজ করতে হবে। সেই জন্য আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার জন্য একটি চক্র অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা সেখানে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপ্রচার চালাচ্ছে। একইসময়ে শিল্প ক্ষেত্রে একটা অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। দেশের মানুষকে এই চক্রান্ত রুখে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সংস্কারে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচনের যে সংস্কার সেটি দ্রুত শেষ হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে। এই সরকার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এসেছে, আশা করি তারা জনগণের আশা-আখাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।’