alt

রাজনীতি

সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অপসারণের দাবি জাতীয় নাগরিক কমিটির

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর লালবাগে জাতীয় নাগরিক কমিটির আয়োজিত এক সমাবেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র নিয়ে মিথ্যাচার করার অভিযোগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবি জানানো হয়। নাগরিক কমিটির নেতারা অভিযোগ করেন, সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছেন, তাই তাঁকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরানো প্রয়োজন। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে এই অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানান তারা।

‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে’ ‘ঢাকা রাইজিং’ শিরোনামে এ সমাবেশটি ছিল জাতীয় নাগরিক কমিটির তৃতীয় আয়োজন। এতে দুই শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশে লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর, চকবাজার, বংশাল ও কোতোয়ালি এলাকাকে ‘পালস পয়েন্ট’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রপতির বিষয়ে ৫ আগস্টে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। সংবিধান অকার্যকর হয়ে গেছে এবং সাহাবুদ্দিনের বঙ্গভবনে থাকা উচিত নয়। তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার পাশে দাঁড়ানোর পর এখন নির্বাচন সামনে রেখে বিভেদমূলক রাজনীতি শুরু হয়েছে।

এছাড়া নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, রাষ্ট্রপতির পদে থেকে মহামিথ্যাচার চালিয়ে যাওয়া ব্যক্তি কোনোভাবেই এই দায়িত্বে থাকতে পারেন না। বিএনপি, জামায়াত, গণতন্ত্র মঞ্চসহ সব রাজনৈতিক দলকে একজোট হয়ে সাহাবুদ্দিনের অপসারণের জন্য কাজ করতে হবে।

দেশের সংকট এবং সংবিধানের অকার্যকারিতা উল্লেখ করে আখতার হোসেন ছাত্রলীগকে মদদ দেওয়া শিক্ষক ও প্রশাসকদের বিচারের আওতায় আনার কথা বলেন। অন্যদিকে, কমিটির সদস্য মানজুর-আল-মতিন বলেন, "শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরেও সংকট রয়ে গেছে, পুরনো ব্যবস্থা ধরে রাখার চেষ্টা চলছে।"

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য সানজিদা রহমান, আবদুল্ল্যাহ আল মামুন ফয়সাল এবং মশিউর রহমান। তাঁরা বলেন, গুম–খুনের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের ন্যায্য অধিকার আদায় না হলে সংগ্রাম চলবে।

ছবি

আমির হোসেন আমু ৬ দিনের রিমান্ডে

ছবি

তিন মাসে অন্তর্বর্তী সরকার কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে : মির্জা ফখরুল

ছবি

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে পাঁচ সদস্যের তালিকা জমা দিয়েছে বিএনপি

ছবি

আমির হোসেন আমু গ্রেপ্তার

ছবি

যে পরিবর্তনের ফলে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে, সেটিই সংস্কার : তারেক রহমান

ছবি

ঢাকা উত্তর ও ৩ মহানগরে বিএনপির নতুন কমিটি

ছবি

কৃত্রিম পায়ে ভর দিয়ে ট্রাইব্যুনালে শিবিরের ৪ নেতা

ছবি

দেশে ইজতেমা ‘দুবার নয়, একবারই হবে’, ঢাকায় ইসলামি ‘মহাসম্মেলনে’ দাবি তাবলিগ জামাতের একাংশের

ছবি

খালেদা জিয়াসহ ৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২০ নভেম্বর

ছবি

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলেম-ওলামাদের ঢল

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে মাস্কের মিথ্যা তথ্যের ভিউ হয়েছে ২০০ কোটি

ছবি

রাষ্ট্রপতির অপসারণে জাতীয় ঐকমত্যের দাবি গণ অধিকার পরিষদের

ছবি

সংবিধান পুনর্বিবেচনার আহ্বান, তবে ব্যক্তিগত ইচ্ছায় পরিবর্তনের বিরোধিতা

ছবি

সংবিধান সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে সতর্ক বার্তা রাজনীতিক ও আইনজীবীদের

ছবি

হাছান মাহমুদ: ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ প্রয়োজনে বিএনপির সাথে কাজ করতে প্রস্তুত

তদন্ত করে ইসকনের আর্থিক উৎস প্রকাশের দাবি ইনকিলাব মঞ্চের

ছবি

৮ নভেম্বর ঢাকায় বৃহত্তর র‍্যালির প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি

ছবি

খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল শুনানি ১০ নভেম্বর

ছবি

দেশে বি-রাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া চলছে: মুজিবুল হক চুন্নু

ছবি

আদালতে নির্দোষ প্রমাণের প্রত্যাশায় আপিলের উদ্যোগ খালেদা জিয়ার

ছবি

আওয়ামী লীগ জনগণের রায় কেড়ে নিয়েছিল, তা প্রমাণ হল: ফখরুল

ছবি

সোনারগাঁয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

ছবি

বিএনপির ৭ আইনজীবীকে অব্যাহতি, আবেদনকারীকে লাখ টাকা জরিমানা

ছবি

ক্ষমতায় চিরস্থায়িত্বের বাসনায় গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ

ছবি

কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১১১ সদস্যের কমিটি গঠন

ছবি

স্বৈরাচারী শাসনের রোধে সংবিধান সংশোধনের আহ্বান কামাল হোসেনের

ছবি

নোয়াখালীতে নুরের বক্তব্য চলাকালে লোডশেডিং, বিদ্যুৎ বিভাগের ওপর ক্ষোভ

ছবি

বিএনপির রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে ২০ সাবেক সামরিক কর্মকর্তার মতবিনিময়

ছবি

‘রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের আমরা কারা’, প্রশ্ন ফখরুলের

ছবি

জাতীয় পার্টির শনিবারের বিক্ষোভ সমাবেশ স্থগিত

জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে যশোরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ

ছবি

আমরা মরতে চাই, দেখি কত লোক মারতে পারে: জিএম কাদের

ছবি

সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির গ্রেপ্তার

ছবি

সরকারের মেয়াদ নিয়ে এক উপদেষ্টার বক্তব্যে ফখরুলের ‘খটকা’

ছবি

‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালনে বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি

ছবি

রাশেদকে সহযোগিতায় বিএনপির নির্দেশ, নেতাকর্মীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

tab

রাজনীতি

সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অপসারণের দাবি জাতীয় নাগরিক কমিটির

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর লালবাগে জাতীয় নাগরিক কমিটির আয়োজিত এক সমাবেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র নিয়ে মিথ্যাচার করার অভিযোগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবি জানানো হয়। নাগরিক কমিটির নেতারা অভিযোগ করেন, সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছেন, তাই তাঁকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরানো প্রয়োজন। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে এই অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানান তারা।

‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে’ ‘ঢাকা রাইজিং’ শিরোনামে এ সমাবেশটি ছিল জাতীয় নাগরিক কমিটির তৃতীয় আয়োজন। এতে দুই শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশে লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর, চকবাজার, বংশাল ও কোতোয়ালি এলাকাকে ‘পালস পয়েন্ট’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রপতির বিষয়ে ৫ আগস্টে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। সংবিধান অকার্যকর হয়ে গেছে এবং সাহাবুদ্দিনের বঙ্গভবনে থাকা উচিত নয়। তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার পাশে দাঁড়ানোর পর এখন নির্বাচন সামনে রেখে বিভেদমূলক রাজনীতি শুরু হয়েছে।

এছাড়া নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, রাষ্ট্রপতির পদে থেকে মহামিথ্যাচার চালিয়ে যাওয়া ব্যক্তি কোনোভাবেই এই দায়িত্বে থাকতে পারেন না। বিএনপি, জামায়াত, গণতন্ত্র মঞ্চসহ সব রাজনৈতিক দলকে একজোট হয়ে সাহাবুদ্দিনের অপসারণের জন্য কাজ করতে হবে।

দেশের সংকট এবং সংবিধানের অকার্যকারিতা উল্লেখ করে আখতার হোসেন ছাত্রলীগকে মদদ দেওয়া শিক্ষক ও প্রশাসকদের বিচারের আওতায় আনার কথা বলেন। অন্যদিকে, কমিটির সদস্য মানজুর-আল-মতিন বলেন, "শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরেও সংকট রয়ে গেছে, পুরনো ব্যবস্থা ধরে রাখার চেষ্টা চলছে।"

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য সানজিদা রহমান, আবদুল্ল্যাহ আল মামুন ফয়সাল এবং মশিউর রহমান। তাঁরা বলেন, গুম–খুনের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের ন্যায্য অধিকার আদায় না হলে সংগ্রাম চলবে।

back to top