আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর লালবাগে জাতীয় নাগরিক কমিটির আয়োজিত এক সমাবেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র নিয়ে মিথ্যাচার করার অভিযোগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবি জানানো হয়। নাগরিক কমিটির নেতারা অভিযোগ করেন, সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছেন, তাই তাঁকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরানো প্রয়োজন। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে এই অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানান তারা।
‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে’ ‘ঢাকা রাইজিং’ শিরোনামে এ সমাবেশটি ছিল জাতীয় নাগরিক কমিটির তৃতীয় আয়োজন। এতে দুই শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশে লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর, চকবাজার, বংশাল ও কোতোয়ালি এলাকাকে ‘পালস পয়েন্ট’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রপতির বিষয়ে ৫ আগস্টে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। সংবিধান অকার্যকর হয়ে গেছে এবং সাহাবুদ্দিনের বঙ্গভবনে থাকা উচিত নয়। তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার পাশে দাঁড়ানোর পর এখন নির্বাচন সামনে রেখে বিভেদমূলক রাজনীতি শুরু হয়েছে।
এছাড়া নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, রাষ্ট্রপতির পদে থেকে মহামিথ্যাচার চালিয়ে যাওয়া ব্যক্তি কোনোভাবেই এই দায়িত্বে থাকতে পারেন না। বিএনপি, জামায়াত, গণতন্ত্র মঞ্চসহ সব রাজনৈতিক দলকে একজোট হয়ে সাহাবুদ্দিনের অপসারণের জন্য কাজ করতে হবে।
দেশের সংকট এবং সংবিধানের অকার্যকারিতা উল্লেখ করে আখতার হোসেন ছাত্রলীগকে মদদ দেওয়া শিক্ষক ও প্রশাসকদের বিচারের আওতায় আনার কথা বলেন। অন্যদিকে, কমিটির সদস্য মানজুর-আল-মতিন বলেন, "শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরেও সংকট রয়ে গেছে, পুরনো ব্যবস্থা ধরে রাখার চেষ্টা চলছে।"
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য সানজিদা রহমান, আবদুল্ল্যাহ আল মামুন ফয়সাল এবং মশিউর রহমান। তাঁরা বলেন, গুম–খুনের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের ন্যায্য অধিকার আদায় না হলে সংগ্রাম চলবে।
শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর লালবাগে জাতীয় নাগরিক কমিটির আয়োজিত এক সমাবেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র নিয়ে মিথ্যাচার করার অভিযোগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবি জানানো হয়। নাগরিক কমিটির নেতারা অভিযোগ করেন, সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছেন, তাই তাঁকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরানো প্রয়োজন। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে এই অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানান তারা।
‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে’ ‘ঢাকা রাইজিং’ শিরোনামে এ সমাবেশটি ছিল জাতীয় নাগরিক কমিটির তৃতীয় আয়োজন। এতে দুই শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশে লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর, চকবাজার, বংশাল ও কোতোয়ালি এলাকাকে ‘পালস পয়েন্ট’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রপতির বিষয়ে ৫ আগস্টে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। সংবিধান অকার্যকর হয়ে গেছে এবং সাহাবুদ্দিনের বঙ্গভবনে থাকা উচিত নয়। তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার পাশে দাঁড়ানোর পর এখন নির্বাচন সামনে রেখে বিভেদমূলক রাজনীতি শুরু হয়েছে।
এছাড়া নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, রাষ্ট্রপতির পদে থেকে মহামিথ্যাচার চালিয়ে যাওয়া ব্যক্তি কোনোভাবেই এই দায়িত্বে থাকতে পারেন না। বিএনপি, জামায়াত, গণতন্ত্র মঞ্চসহ সব রাজনৈতিক দলকে একজোট হয়ে সাহাবুদ্দিনের অপসারণের জন্য কাজ করতে হবে।
দেশের সংকট এবং সংবিধানের অকার্যকারিতা উল্লেখ করে আখতার হোসেন ছাত্রলীগকে মদদ দেওয়া শিক্ষক ও প্রশাসকদের বিচারের আওতায় আনার কথা বলেন। অন্যদিকে, কমিটির সদস্য মানজুর-আল-মতিন বলেন, "শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরেও সংকট রয়ে গেছে, পুরনো ব্যবস্থা ধরে রাখার চেষ্টা চলছে।"
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য সানজিদা রহমান, আবদুল্ল্যাহ আল মামুন ফয়সাল এবং মশিউর রহমান। তাঁরা বলেন, গুম–খুনের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের ন্যায্য অধিকার আদায় না হলে সংগ্রাম চলবে।