alt

রাজনীতি

সংবিধান সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে সতর্ক বার্তা রাজনীতিক ও আইনজীবীদের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান কার্যকরের স্মরণে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির আয়োজিত এক আলোচনায় রাজনীতিবিদ এবং আইনজীবীরা অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধান সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, “যে সময় যে সরকার আসে, তারা তাদের সুবিধামতো সংবিধান সংস্কার করে। এটা আমাদের রাষ্ট্রের ও জনগণের দলিল, তাই এতে হাত দেওয়ার আগে ভেবে দেখা উচিত।”

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য একটি কমিশন গঠন করেছে, যা সংবিধান সংস্কারের কথাও বলছে। এই কমিশনের প্রধান আলী রিয়াজ নতুন সংবিধান লেখার কথা উল্লেখ করেছেন, যদিও কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী সরকার কী পদক্ষেপ নেবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিএনপি ইতোমধ্যে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে যে, নির্বাচিত সংসদই সংবিধান সংস্কার করবে এবং দলটি আগে থেকেই সংশোধনে সতর্ক।

আইনজীবী শাহদীন মালিককে প্রথমে সংবিধান সংশোধন কমিশনের প্রধান করা হয়েছিল, তবে তিনি পরে এই দায়িত্ব থেকে সরে আসেন। আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের দেশের স্বাধীনতার আইনি ভিত্তি হল এই সংবিধান। কেউ কেউ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদের প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন, কিন্তু এটি এ দেশের প্রেক্ষাপটে যথার্থ নয়।”

ইতিহাসবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, “অনির্বাচিত সরকার সংবিধান সংস্কার করতে পারে না, বিধিবদ্ধও করতে পারে না। সংস্কার শুধু সুপারিশ করতে পারে, বাস্তবায়নের ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের হাতে দিতে হবে।”

আলোচনা সভায় ৭২ এর সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. কামাল হোসেন বলেন, “সংবিধানের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করার দায়িত্ব সকলের। সংবিধানকে ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে এবং কোনো ভুল হলে যুক্তি দিয়ে সেটি তুলে ধরতে হবে, যাতে সংশোধন সম্ভব হয়।”

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী সংবিধান দিবসকে জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সমালোচনা করে বলেন, “সংবিধান দিবস বাতিল করা যাবে না। ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস হিসেবে অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।”

১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান কার্যকর হয় এবং তখন থেকে এই দিনটি সংবিধান দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

ছবি

গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করলে ইউনূসকেও ছাড় নয়: সারজিস

ছবি

*বিএনপি সরকার গঠন করলে প্রতিটি ক্যাম্পাসে নেতৃত্ব দেবে ছাত্রদল*

ছবি

ডিমলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার, আওয়ামী লীগের দাবি ‘জয় বাংলা’ বলায় আটক

ছবি

সিলেটে আওয়ামী লীগ নেতা মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের ওপর হামলা, মুক্তিপণ দিয়ে মুক্তি

ছবি

বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই: ফখরুল

ছবি

দেশে কোনো অপশক্তি আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না: ডা. শফিকুর

মামলা শেষ হলেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান : মির্জা ফখরুল

ছবি

উপদেষ্টা নাহিদের বক্তব্য ‘রাজনীতিবিরোধী’: মির্জা ফখরুল

ছবি

আখাউড়া স্থলবন্দরে যুবদল-ছাত্রদলের লংমার্চ, নিরাপত্তা জোরদার

ছবি

আগরতলার অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠনের লং মার্চ শুরু

ছবি

আগরতলা অভিমুখে বিএনপির লংমার্চ সফল করতে প্রস্তুতি চূড়ান্ত

সখীপুরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ৩১ জনের নামে আহত ছাত্রদল নেতার মামলা

ছবি

নির্বাচন বিলম্বে ষড়যন্ত্র বাড়বে: খন্দকার মোশাররফ

ছবি

গোপন সংগঠনের রাজনীতিকে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা ঘৃণা করে: ছাত্রদল সা. সম্পাদক

ছবি

ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বানে রাজশাহীতে চাদর পোড়ালেন রিজভী

ছবি

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক হলেন সারজিস আলম

ছবি

ভারত কারো সাথে বন্ধুত্ব করতে পারে না: রিজভী

ছবি

ব্রিটিশ হাই কমিশনারের সঙ্গে বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের পৃথক বৈঠক

ছবি

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের গ্রেপ্তারে আইনি নোটিস

ছবি

ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশের আগে এনআইডি সংশোধনের আহ্বান

ছবি

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় হাই কোর্টে আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুরু

ছবি

জাতীয় পতাকা অবমাননার প্রতিবাদে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশন অভিমুখে পদযাত্রা

ছবি

বিএনপি কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের ঢল

বৈরাচারের পতন হবে জেনেই আমরা ৩১ দফা দিয়েছিলাম - তারেক রহমান

ছবি

মিথ্যার বেড়াজাল তৈরি করেও সফল হতে পারছে না ভারত : রিজভী

সাম্প্রদায়িকতার ধোঁয়া তুলে উপমহাদেশে আধিপত্য কায়েম করতে চায় ভারত : রিজভী

ছবি

সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণে সব ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে: খন্দকার মোশাররফ

ছবি

২৮ ছাত্রসংগঠনের সভায় ঐক্যবদ্ধ ছাত্র আন্দোলনের আহ্বান

ছবি

ভারতীয় শাড়ি আগুনে পোড়ালেন রিজভী

ছবি

সংবিধান সংস্কারে বিএনপির ৬২ প্রস্তাব

ছবি

শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞা

ছবি

সাত বছরের দণ্ড থেকে গিয়াস উদ্দিন মামুনকে খালাস দিলেন হাইকোর্ট

ছবি

‘কল্পকাহিনীর’ প্রচার ঠেকাতে একজোট হওয়ার আহ্বান ইউনূসের

ছবি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার মাধ্যমে ৮০ শতাংশ সমস্যা নিরসন হবে: রাকিবুল ইসলাম

ছবি

দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্তিতে শিক্ষার সংস্কার জরুরি: শিবির সভাপতি

ছবি

গণহত্যা: আমু ও কামরুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠাল ট্রাইব্যুনাল

tab

রাজনীতি

সংবিধান সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে সতর্ক বার্তা রাজনীতিক ও আইনজীবীদের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান কার্যকরের স্মরণে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির আয়োজিত এক আলোচনায় রাজনীতিবিদ এবং আইনজীবীরা অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধান সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, “যে সময় যে সরকার আসে, তারা তাদের সুবিধামতো সংবিধান সংস্কার করে। এটা আমাদের রাষ্ট্রের ও জনগণের দলিল, তাই এতে হাত দেওয়ার আগে ভেবে দেখা উচিত।”

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য একটি কমিশন গঠন করেছে, যা সংবিধান সংস্কারের কথাও বলছে। এই কমিশনের প্রধান আলী রিয়াজ নতুন সংবিধান লেখার কথা উল্লেখ করেছেন, যদিও কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী সরকার কী পদক্ষেপ নেবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিএনপি ইতোমধ্যে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে যে, নির্বাচিত সংসদই সংবিধান সংস্কার করবে এবং দলটি আগে থেকেই সংশোধনে সতর্ক।

আইনজীবী শাহদীন মালিককে প্রথমে সংবিধান সংশোধন কমিশনের প্রধান করা হয়েছিল, তবে তিনি পরে এই দায়িত্ব থেকে সরে আসেন। আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের দেশের স্বাধীনতার আইনি ভিত্তি হল এই সংবিধান। কেউ কেউ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদের প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন, কিন্তু এটি এ দেশের প্রেক্ষাপটে যথার্থ নয়।”

ইতিহাসবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, “অনির্বাচিত সরকার সংবিধান সংস্কার করতে পারে না, বিধিবদ্ধও করতে পারে না। সংস্কার শুধু সুপারিশ করতে পারে, বাস্তবায়নের ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের হাতে দিতে হবে।”

আলোচনা সভায় ৭২ এর সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. কামাল হোসেন বলেন, “সংবিধানের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করার দায়িত্ব সকলের। সংবিধানকে ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে এবং কোনো ভুল হলে যুক্তি দিয়ে সেটি তুলে ধরতে হবে, যাতে সংশোধন সম্ভব হয়।”

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী সংবিধান দিবসকে জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সমালোচনা করে বলেন, “সংবিধান দিবস বাতিল করা যাবে না। ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস হিসেবে অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।”

১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান কার্যকর হয় এবং তখন থেকে এই দিনটি সংবিধান দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

back to top