টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ৩১জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবারের ঘটনায় আহত ছাত্রদল নেতা নাঈম শিকদার (২৫) বাদী হয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে সখীপুর থানায় এ মামলাটি করেন। মামলায় উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সখীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও উপজেলা বিএনপির সভাপতির পাল্টাপাল্টি বক্তব্যকে ঘিরে গতকাল সোমবার দুপুরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য ও মামলার বাদী নাঈম শিকদার গুরুতর আহত হন। ঘটনার ২৪ ঘন্টা পর আহত ওই নেতা বাদী হয়ে সখীপুর থানায় এ মামলাটি করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত শনিবার বিকেলে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বর্তমান বিএনপিকে আগের আওয়ামী লীগের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেছিলেন, আগে আওয়ামী লীগ যেখান থেকে চাঁদা নিত এখন বিএনপি সেখান থেকে চাঁদা নেয়। এমন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর ওই রাতেই উপজেলা বিএনপি ও তাদের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র তালতলা চত্বরে এসে জড়ো হন। তাৎক্ষণিক এক প্রতিবাদ সভায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান সাজু কাদের সিদ্দিকীকে ভারতের দালাল ও শেখ হাসিনার পেতাত্ত্বা বলাসহ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। তাঁর বক্তব্য মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
কাদের সিদ্দিকীকে গালিগালাজ করার প্রতিবাদে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতালীগ সোমবার বেলা ১০টায় কাদের সিদ্দিকীর সখীপুরের বাসভবনে এক সভা ডাকেন। ওই সভা শেষে জনতালীগের নেতাকর্মীরা লাঠিতে গামছা বেঁধে মিছিল নিয়ে তালতলা চত্বরের দিকে আসতে থাকেন। এদিকে বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা তালতলা চত্বরে কাদের সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সভা ডাকেন। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মিছিলটি থানা পার হয়ে ডাকঘরের সামনে এসে তালতলা চত্বরের দিকে এগোতে থাকে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য নাঈম শিকদার (২৫) গুরুতর আহত হন। ওই সময় তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাঁর মাথায় ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন আজ সন্ধ্যায় মামলা রেকর্ড হওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ৩১জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবারের ঘটনায় আহত ছাত্রদল নেতা নাঈম শিকদার (২৫) বাদী হয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে সখীপুর থানায় এ মামলাটি করেন। মামলায় উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সখীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও উপজেলা বিএনপির সভাপতির পাল্টাপাল্টি বক্তব্যকে ঘিরে গতকাল সোমবার দুপুরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য ও মামলার বাদী নাঈম শিকদার গুরুতর আহত হন। ঘটনার ২৪ ঘন্টা পর আহত ওই নেতা বাদী হয়ে সখীপুর থানায় এ মামলাটি করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত শনিবার বিকেলে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বর্তমান বিএনপিকে আগের আওয়ামী লীগের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেছিলেন, আগে আওয়ামী লীগ যেখান থেকে চাঁদা নিত এখন বিএনপি সেখান থেকে চাঁদা নেয়। এমন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর ওই রাতেই উপজেলা বিএনপি ও তাদের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র তালতলা চত্বরে এসে জড়ো হন। তাৎক্ষণিক এক প্রতিবাদ সভায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান সাজু কাদের সিদ্দিকীকে ভারতের দালাল ও শেখ হাসিনার পেতাত্ত্বা বলাসহ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। তাঁর বক্তব্য মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
কাদের সিদ্দিকীকে গালিগালাজ করার প্রতিবাদে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতালীগ সোমবার বেলা ১০টায় কাদের সিদ্দিকীর সখীপুরের বাসভবনে এক সভা ডাকেন। ওই সভা শেষে জনতালীগের নেতাকর্মীরা লাঠিতে গামছা বেঁধে মিছিল নিয়ে তালতলা চত্বরের দিকে আসতে থাকেন। এদিকে বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা তালতলা চত্বরে কাদের সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সভা ডাকেন। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মিছিলটি থানা পার হয়ে ডাকঘরের সামনে এসে তালতলা চত্বরের দিকে এগোতে থাকে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য নাঈম শিকদার (২৫) গুরুতর আহত হন। ওই সময় তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাঁর মাথায় ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন আজ সন্ধ্যায় মামলা রেকর্ড হওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।