মামলা শেষ হলে দ্রুত সময়ের মধ্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তারেক রহমান নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে চিকিৎসা শেষে ১২ দিন পর লন্ডন থেকে সস্ত্রীক দেশে ফিরেন বিএনপি মহাসচিব। বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকাল তিনি এসব কথা জানান। তার এই সফর ফলপ্রসূ হয়েছে এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বার্তা নিয়ে তিনি দেশে ফিরেছেন বলে জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেব বলেছেন, আপনারা (দেশবাসী) ধৈর্য ধরবেন। একটা বিশাল বিজয় এসেছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে। এই বিজয়কে ফলপ্রসূ ও সার্থক করতে হলে অবশ্যই সবাইকে ধৈর্য ধরে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে এবং গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। গণতন্ত্রের যে প্রথম পদক্ষেপ, সেই নির্বাচনের জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে।’
তারেক রহমান কবে নাগাদ ফিরতে পারেন জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘উনার বিরুদ্ধে আপনারা জানেন অনেক মিথ্যা প্রতিহিংসামূলক মামলা রয়েছে। সেগুলো প্রত্যাহার হলে বা আদালতের মাধ্যমে শেষ হলেই তিনি ফিরবেন।’
‘রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করছে’ তথ্য উপদেষ্টার এমন বক্তব্য রাজনীতি বিরোধী বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সব রাজনৈতিক দল সহযোগিতা করেছ।’ সংস্কার নয়, নির্বাচনকে প্রধান্য দিচ্ছে বিএনপি এমন ধারণা ভুল বলে জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করি, ন্যূনতম যেসব সংস্কার জরুরি, তা সম্পন্ন করে তারা নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে যাবেন।’
লন্ডনে মির্জা ফখরুল চিকিৎসার পাশাপাশি দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। এছাড়া লন্ডন বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিএনপি মহাসচিবের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও দীর্ঘ ভ্রমন ক্লান্তির কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। মহাসচিবের অবর্তমানে যৌথসভায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সভাপতিত্ব করেন। সভায় যুগ্ম মহাসচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি/আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক/সদস্যসচিবরা উপস্থিত ছিলেন। যৌথসভা শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, ‘গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্যই ’৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। এই মুক্তিযুদ্ধ হঠাৎ করে শুরু হয়নি। পশ্চিমা কলাঘাতে জর্জড়িত হয়ে বিদ্রোহের মাধ্যমে ’৭১ এর সূচনা। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়।’ সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চলছে, উপদেষ্টাদের এমন কথা বলা সমীচীন নয় এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের কথা শুনলেই রিএ্যাকশন হচ্ছে, নির্বাচনতো গণতন্ত্রের বাইরে নয়।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দুইদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। আজ সমাবেশ ও আগামীকাল জিয়াউর রহমানের সমাধীতে শ্রদ্ধা জানাবে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলো। ১৬ ডিসেম্বর সংসদ ভবনের দক্ষিণ পাশে মানিক মিয়া এ্যাভিনিউতে উন্মুক্ত কনসার্ট আয়োজনেরও ঘোষণা দেন তিনি।
শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
মামলা শেষ হলে দ্রুত সময়ের মধ্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তারেক রহমান নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে চিকিৎসা শেষে ১২ দিন পর লন্ডন থেকে সস্ত্রীক দেশে ফিরেন বিএনপি মহাসচিব। বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকাল তিনি এসব কথা জানান। তার এই সফর ফলপ্রসূ হয়েছে এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বার্তা নিয়ে তিনি দেশে ফিরেছেন বলে জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেব বলেছেন, আপনারা (দেশবাসী) ধৈর্য ধরবেন। একটা বিশাল বিজয় এসেছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে। এই বিজয়কে ফলপ্রসূ ও সার্থক করতে হলে অবশ্যই সবাইকে ধৈর্য ধরে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে এবং গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। গণতন্ত্রের যে প্রথম পদক্ষেপ, সেই নির্বাচনের জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে।’
তারেক রহমান কবে নাগাদ ফিরতে পারেন জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘উনার বিরুদ্ধে আপনারা জানেন অনেক মিথ্যা প্রতিহিংসামূলক মামলা রয়েছে। সেগুলো প্রত্যাহার হলে বা আদালতের মাধ্যমে শেষ হলেই তিনি ফিরবেন।’
‘রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করছে’ তথ্য উপদেষ্টার এমন বক্তব্য রাজনীতি বিরোধী বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সব রাজনৈতিক দল সহযোগিতা করেছ।’ সংস্কার নয়, নির্বাচনকে প্রধান্য দিচ্ছে বিএনপি এমন ধারণা ভুল বলে জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করি, ন্যূনতম যেসব সংস্কার জরুরি, তা সম্পন্ন করে তারা নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে যাবেন।’
লন্ডনে মির্জা ফখরুল চিকিৎসার পাশাপাশি দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। এছাড়া লন্ডন বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিএনপি মহাসচিবের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও দীর্ঘ ভ্রমন ক্লান্তির কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। মহাসচিবের অবর্তমানে যৌথসভায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সভাপতিত্ব করেন। সভায় যুগ্ম মহাসচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি/আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক/সদস্যসচিবরা উপস্থিত ছিলেন। যৌথসভা শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, ‘গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্যই ’৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। এই মুক্তিযুদ্ধ হঠাৎ করে শুরু হয়নি। পশ্চিমা কলাঘাতে জর্জড়িত হয়ে বিদ্রোহের মাধ্যমে ’৭১ এর সূচনা। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়।’ সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চলছে, উপদেষ্টাদের এমন কথা বলা সমীচীন নয় এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের কথা শুনলেই রিএ্যাকশন হচ্ছে, নির্বাচনতো গণতন্ত্রের বাইরে নয়।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দুইদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। আজ সমাবেশ ও আগামীকাল জিয়াউর রহমানের সমাধীতে শ্রদ্ধা জানাবে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলো। ১৬ ডিসেম্বর সংসদ ভবনের দক্ষিণ পাশে মানিক মিয়া এ্যাভিনিউতে উন্মুক্ত কনসার্ট আয়োজনেরও ঘোষণা দেন তিনি।