আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছে বিএনপি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গত ১৫ বছরে হওয়া বিদ্যুৎ খাতের সব চুক্তি আমরা রিভিউ করব এবং পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে, তা রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কের মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে। এরা এক ধরনের সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে। এ কথাগুলো আমাদের বারবার বলা দরকার। কারণ, এটা না বললে আওয়ামী লীগ যে দুর্বৃত্তায়ন করেছে মানুষ তা ভুলে যাবে।’ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি ও লুটপাট নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে দুর্নীতি’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
বিদ্যুৎখাতে আওয়ামী লীগের দুর্নীতি তুলে ধরতে গিয়ে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে ম্যাজিক দেখাতে গিয়ে আওয়ামী লীগ মানুষকে সর্বশান্ত করেছে। বিদ্যুৎ খাতের সব জায়গায় দুর্নীতি হয়েছে। কোনো জায়গা বাদ নেই।’
বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে ২০২৭ সালের পর থেকে দেশে ভয়াবহ বৈদেশিক মুদ্রা সংকট হবে বলেও আশঙ্কা করছেন সাবেক এই বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর। বিদ্যুৎখাত থেকে দুর্নীতির টাকা বিদেশে পাচার করাই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য ছিল বলে দাবি তার। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি আর লুটপাট করতে আওয়ামী লীগ বিদ্যুৎ ও জ্বালানির কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছিল।
টুকু বলেন, ‘আওয়ামী সরকার রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ খাত থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ও ক্যাপাসিটি চার্জের নামে ১ লাখ কোটি টাকা লুটপাট করেছে। তারা বুঝতে পেরেছিল কোনো হিসাব না দিয়ে এই খাত থেকে কুইক মানি বানানো যায়।’ এর পেছনে সামিটসহ পাঁচটি কোম্পানি জড়িত বলে দাবি তার।
সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতটা তারা (আওয়ামী লীগ) ব্যবসার খাত বানিয়েছিল। তাদের দুর্নীতির বোঝা এখন জনগণকে বহন করতে হচ্ছে। এই বিদ্যুৎ উন্নয়ন টেকসই নয় এবং যে কোনো সময় মুখ থুবড়ে পড়বে।’ বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব চুক্তি উন্মুক্ত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছে বিএনপি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গত ১৫ বছরে হওয়া বিদ্যুৎ খাতের সব চুক্তি আমরা রিভিউ করব এবং পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে, তা রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কের মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে। এরা এক ধরনের সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে। এ কথাগুলো আমাদের বারবার বলা দরকার। কারণ, এটা না বললে আওয়ামী লীগ যে দুর্বৃত্তায়ন করেছে মানুষ তা ভুলে যাবে।’ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি ও লুটপাট নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে দুর্নীতি’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
বিদ্যুৎখাতে আওয়ামী লীগের দুর্নীতি তুলে ধরতে গিয়ে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে ম্যাজিক দেখাতে গিয়ে আওয়ামী লীগ মানুষকে সর্বশান্ত করেছে। বিদ্যুৎ খাতের সব জায়গায় দুর্নীতি হয়েছে। কোনো জায়গা বাদ নেই।’
বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে ২০২৭ সালের পর থেকে দেশে ভয়াবহ বৈদেশিক মুদ্রা সংকট হবে বলেও আশঙ্কা করছেন সাবেক এই বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর। বিদ্যুৎখাত থেকে দুর্নীতির টাকা বিদেশে পাচার করাই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য ছিল বলে দাবি তার। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি আর লুটপাট করতে আওয়ামী লীগ বিদ্যুৎ ও জ্বালানির কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছিল।
টুকু বলেন, ‘আওয়ামী সরকার রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ খাত থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ও ক্যাপাসিটি চার্জের নামে ১ লাখ কোটি টাকা লুটপাট করেছে। তারা বুঝতে পেরেছিল কোনো হিসাব না দিয়ে এই খাত থেকে কুইক মানি বানানো যায়।’ এর পেছনে সামিটসহ পাঁচটি কোম্পানি জড়িত বলে দাবি তার।
সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতটা তারা (আওয়ামী লীগ) ব্যবসার খাত বানিয়েছিল। তাদের দুর্নীতির বোঝা এখন জনগণকে বহন করতে হচ্ছে। এই বিদ্যুৎ উন্নয়ন টেকসই নয় এবং যে কোনো সময় মুখ থুবড়ে পড়বে।’ বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব চুক্তি উন্মুক্ত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।