সনাতনী জাগরন জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণদাশের গ্রেফতার ও জামিন না মজ্ঞুরের ঘটনায় রংপুরে বিক্ষোভের নামে তান্ডবের ঘটনায় রংপুরে জিয়া মঞ্চের নেতা লিয়াকত উল্লা লুসানের দায়ের করা মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের নাম থাকায় অস্বস্তিতে পড়েছেন নেতারা। মামলায় তিন সাংবাদিক সহ পঞ্চগড় , লালমনিরহাট সহ বিভিন্ন এলাকা রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা কর্মীদের আসামী করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইতিমধ্যেই বিএনপির সিনিয়র নেতারা রোববারের মধ্যে ঘটনার সাথে যারা জড়িত নয় তাদের নাম বাদ দেবার জন্য মামলার বাদীকে নির্দ্দেশ দেয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে জাগরন জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের ঘটনায় রংপুর নগরীর প্রেসক্লাব চত্বরসহ আশে-পাশের এলাকায় তার সমর্থকরা ২৪ নভেম্বর রাতে বিক্ষোভ করে। এ ঘটনায় জিয়া মঞ্চের বদরগজ্ঞ উপজেলার সদস্য সচিব লিয়াকত উল্লাহ লুসানের উপর হামলা চালিয়ে বেদম মার ধর করে আহত করে। এঘটনায় বেশ কিছুদিন পর গত ১৮ ডিসেম্বর রংপুর মেট্রোপলিটান কোতয়ালী থানায় জাগরন মঞ্চের রংপুরের সমন্ময়ক তিন সাংবাদিক সহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মী সহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নম্বর ১৮ তারিখ ১৮.১২.২৪ইং। ধারা১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩০৭/৩৬৫/৫০৬/৩৪ দন্ডবিধি।
মামলার বিষয়টি ৩ দিন আগে জানাজানি হলে বিভিন্ন মহলে তোলপাড় শুরু হয়। বিশেষ করে বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতার আত্মীয়সহ নিরাপরাধ অনেককে মামলায় আসামী করা হয়েছে বলে প্রশ্ন ওঠে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে মামলার বাদী জিয়া মঞ্চের নেতা লিয়াকত উল্লাহ লুসানের বাড়ি রংপুরের বদরগজ্ঞ উপজেলার শ্যামপুর ষ্টেশন পাড়া গ্রামে তার বাবার নাম শামসুজ্জামান। মামলায় লুসান তার রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ না করলেও নিজেকে জিয়া মঞ্চের বদরগজ্ঞ উপজেলার সদস্য সচিব বলে জানিয়েছেন।
মামলার বিষয়টি জানাজানি হলে রংপুরে তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টি রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং বাদীর নিজ উপজেলা বদরগজ্ঞ বিএনপি নেতাদের মাঝে অস্বস্তিকর ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। নাম প্রকাশে অনিশ্চুক বিএনপির দুজন প্রভাবশালী নেতা জানিয়েছেন ঘটনাটি ঘটেছে রংপুর নগরীর প্রেসক্লাব চত্বর সহ আশে পার্শ্বের এলাকায়। ঘটনাটিও ছিলো আকস্মিক, সেখানে পঞ্চগড় , লালমনিরহাট ও বিভিন্ন উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়কে আসামী করার কারন কি?। নারী সাংসদ ববি তার স্বামী সিরাজুল ইসলাম জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক রাজু ৫ আগষ্ট থেকেই পলাতক তাদের প্রত্যেকের নামে ৪/৫টি হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি করে মামলা রয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে জানার জন্য মামলার বাদী লিয়াকত উল্লাহ লুসানের সাথে তার মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার ফোন দেবার পরে একবার রিসিভ করে জানান তিনি ছাত্রদলের বদরগজ্ঞ উপজেলার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বর্তমানে জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব। মামলায় কাদের আসামী করা হয়েছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি ভীষন ব্যাস্ত জানিয়ে পরে কথা বলবেন জানালেও এরপর তিন দিন ধরে আর ফোন রিসিভ করছেননা।
এ ব্যাপারে রংপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক শামসুজ্জামান শামুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান জিয়া মঞ্চের লুসান নামে কাউকে চেনেননা। আর মহানগর বিএনপির জিয়া মঞ্চ নামে সংগঠন নেই। মামলায় তিন সাংবাদিক সহ নিরীহ ব্যাক্তিদের আসামী করা প্রসঙ্গে বলেন এমন অভিযোগ তিনিও পেয়েছেন। একই কথা বলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মাহফুজুন্নবী ডন। তিনি বলেন রংপুর মহানগরে জিয়া মঞ্চের কোন কমিটি নেই বিষয়টি জেলা বিএনপি বলতে পারবে। মামলায় নিরীহ ব্যাক্তিদের অনেককেই আসামী করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন বিষয়টি তিনি জানেননা।
পরে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন মামলায় কিছু ব্যাক্তিকে আসামী করা হয়েছে যারা নিরীহ বিষয়টি শুনেছেন পুরো বিষয়টি তিনি দেখে ব্যাবস্থা নিবেন।
অপরদিকে মামলার বাদী লুসানের নিজ উপজেলা বদরগজ্ঞ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক পরিতোষ চক্রবতৃীর সাথে শুক্রবার দুপুরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন লুসান বদরগজ্ঞ উপজেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব। তার করা মামলায় নিরীহ ব্যাক্তিদের আসামী করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ পেয়েছেন, এর মধ্যে তার নিকটতম আত্মীয় আছেন। তিনি আরও বলেন মামলার বাদী লুসানকে তিনি ডেকে এনে বলেছেন যারা সত্যিকার ভাবে ঘটনার সাথে জড়িত ছিলো তারা ছাড়া নিরীহ যাদের আসামী করা হয়েছে, রোববারের মধ্যে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক লাকুর সাথে দেখা করে নাম বাদ দেবার জন্য এফিডেফিট সহ যা করা দরকার তা করতে তাকে নির্দ্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে রংপুর মেট্রোপলিটান কোতয়ালী থানার ওসি আতাউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মামলাটি নিবিড় ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। এখনো কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি। তবে দায়িদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫
সনাতনী জাগরন জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণদাশের গ্রেফতার ও জামিন না মজ্ঞুরের ঘটনায় রংপুরে বিক্ষোভের নামে তান্ডবের ঘটনায় রংপুরে জিয়া মঞ্চের নেতা লিয়াকত উল্লা লুসানের দায়ের করা মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের নাম থাকায় অস্বস্তিতে পড়েছেন নেতারা। মামলায় তিন সাংবাদিক সহ পঞ্চগড় , লালমনিরহাট সহ বিভিন্ন এলাকা রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা কর্মীদের আসামী করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইতিমধ্যেই বিএনপির সিনিয়র নেতারা রোববারের মধ্যে ঘটনার সাথে যারা জড়িত নয় তাদের নাম বাদ দেবার জন্য মামলার বাদীকে নির্দ্দেশ দেয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে জাগরন জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের ঘটনায় রংপুর নগরীর প্রেসক্লাব চত্বরসহ আশে-পাশের এলাকায় তার সমর্থকরা ২৪ নভেম্বর রাতে বিক্ষোভ করে। এ ঘটনায় জিয়া মঞ্চের বদরগজ্ঞ উপজেলার সদস্য সচিব লিয়াকত উল্লাহ লুসানের উপর হামলা চালিয়ে বেদম মার ধর করে আহত করে। এঘটনায় বেশ কিছুদিন পর গত ১৮ ডিসেম্বর রংপুর মেট্রোপলিটান কোতয়ালী থানায় জাগরন মঞ্চের রংপুরের সমন্ময়ক তিন সাংবাদিক সহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মী সহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নম্বর ১৮ তারিখ ১৮.১২.২৪ইং। ধারা১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩০৭/৩৬৫/৫০৬/৩৪ দন্ডবিধি।
মামলার বিষয়টি ৩ দিন আগে জানাজানি হলে বিভিন্ন মহলে তোলপাড় শুরু হয়। বিশেষ করে বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতার আত্মীয়সহ নিরাপরাধ অনেককে মামলায় আসামী করা হয়েছে বলে প্রশ্ন ওঠে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে মামলার বাদী জিয়া মঞ্চের নেতা লিয়াকত উল্লাহ লুসানের বাড়ি রংপুরের বদরগজ্ঞ উপজেলার শ্যামপুর ষ্টেশন পাড়া গ্রামে তার বাবার নাম শামসুজ্জামান। মামলায় লুসান তার রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ না করলেও নিজেকে জিয়া মঞ্চের বদরগজ্ঞ উপজেলার সদস্য সচিব বলে জানিয়েছেন।
মামলার বিষয়টি জানাজানি হলে রংপুরে তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টি রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং বাদীর নিজ উপজেলা বদরগজ্ঞ বিএনপি নেতাদের মাঝে অস্বস্তিকর ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। নাম প্রকাশে অনিশ্চুক বিএনপির দুজন প্রভাবশালী নেতা জানিয়েছেন ঘটনাটি ঘটেছে রংপুর নগরীর প্রেসক্লাব চত্বর সহ আশে পার্শ্বের এলাকায়। ঘটনাটিও ছিলো আকস্মিক, সেখানে পঞ্চগড় , লালমনিরহাট ও বিভিন্ন উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়কে আসামী করার কারন কি?। নারী সাংসদ ববি তার স্বামী সিরাজুল ইসলাম জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক রাজু ৫ আগষ্ট থেকেই পলাতক তাদের প্রত্যেকের নামে ৪/৫টি হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি করে মামলা রয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে জানার জন্য মামলার বাদী লিয়াকত উল্লাহ লুসানের সাথে তার মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার ফোন দেবার পরে একবার রিসিভ করে জানান তিনি ছাত্রদলের বদরগজ্ঞ উপজেলার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বর্তমানে জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব। মামলায় কাদের আসামী করা হয়েছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি ভীষন ব্যাস্ত জানিয়ে পরে কথা বলবেন জানালেও এরপর তিন দিন ধরে আর ফোন রিসিভ করছেননা।
এ ব্যাপারে রংপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক শামসুজ্জামান শামুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান জিয়া মঞ্চের লুসান নামে কাউকে চেনেননা। আর মহানগর বিএনপির জিয়া মঞ্চ নামে সংগঠন নেই। মামলায় তিন সাংবাদিক সহ নিরীহ ব্যাক্তিদের আসামী করা প্রসঙ্গে বলেন এমন অভিযোগ তিনিও পেয়েছেন। একই কথা বলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মাহফুজুন্নবী ডন। তিনি বলেন রংপুর মহানগরে জিয়া মঞ্চের কোন কমিটি নেই বিষয়টি জেলা বিএনপি বলতে পারবে। মামলায় নিরীহ ব্যাক্তিদের অনেককেই আসামী করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন বিষয়টি তিনি জানেননা।
পরে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন মামলায় কিছু ব্যাক্তিকে আসামী করা হয়েছে যারা নিরীহ বিষয়টি শুনেছেন পুরো বিষয়টি তিনি দেখে ব্যাবস্থা নিবেন।
অপরদিকে মামলার বাদী লুসানের নিজ উপজেলা বদরগজ্ঞ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক পরিতোষ চক্রবতৃীর সাথে শুক্রবার দুপুরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন লুসান বদরগজ্ঞ উপজেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব। তার করা মামলায় নিরীহ ব্যাক্তিদের আসামী করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ পেয়েছেন, এর মধ্যে তার নিকটতম আত্মীয় আছেন। তিনি আরও বলেন মামলার বাদী লুসানকে তিনি ডেকে এনে বলেছেন যারা সত্যিকার ভাবে ঘটনার সাথে জড়িত ছিলো তারা ছাড়া নিরীহ যাদের আসামী করা হয়েছে, রোববারের মধ্যে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক লাকুর সাথে দেখা করে নাম বাদ দেবার জন্য এফিডেফিট সহ যা করা দরকার তা করতে তাকে নির্দ্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে রংপুর মেট্রোপলিটান কোতয়ালী থানার ওসি আতাউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মামলাটি নিবিড় ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। এখনো কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি। তবে দায়িদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।