সবার মধ্যে অনৈক্য তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে এই মুহূর্তে বিভক্তির রাজনীতি না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন ‘কিছু মানুষ যেন বেপরোয়া হয়ে গেছে। তারা দেশ ও জনগণকে বিভক্ত করবে, এমন বিভিন্ন রকম কথা বলছে উসকানি দিচ্ছে। আপনারা দয়া করে এগুলোর মধ্যে যাবেন না।’ ক্ষমতায় টিকে থাকার একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার ওপর লিখিত ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে অল্প কিছুদিনের মধ্যে তিনি দেশে ফিরবেন বলেও এ সময় জানান তিনি।
‘রাজনৈতিক নেতাকর্মী যে যেখানে কাজ করছেন, সবাইকে অনুরোধ করব, বিভাজন সৃষ্টি করবেন না’ দলের নেতাকর্মীদের এমন নির্দেশ দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৭ আগস্ট বেগম জিয়া বলেছিলেন, ধৈর্য ধরতে হবে, কোনো প্রতিহিংসা পরায়ণ কেউ হবেন না। এই বিষয়গুলো ধারণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালানোর পর থেকে আমরা কেন জানিনা নিজেদের মধ্যে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে পারছিনা। ঐক্যের জায়গাটাতে থাকতে পারছি না।’ ক্ষমতায় টিকে থাকতে অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘কি দুর্ভাগ্য, এখন যেটা শুরু হয়েছে এটা এতটুকু সুস্থ ব্যাপার না। ক্ষমতায় টিকে থাকতে হলে আগে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হবে।’
গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণমাধ্যমও কেমন যেন নেতিবাচক জিনিসগুলোকে তুলে ধরতে চায়।’ তিনি তাদের ইতিবাচক বিষয়গুলোকে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
সংস্কারের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সংস্কার তো আমরাই প্রথম শুরু করেছি। আমরাই প্রথম সংস্কারের কথা বলেছি। শহীদ জিয়াউর রহমান প্রথম সংস্কার করেছেন একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের দিকে। এই যে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বাংলাদেশে মাত্র ৪টা পত্রিকা চালু ছিল, সবগুলো পত্রিকা খুলে দিয়েছিলেন তিনি। বন্ধ অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছেন। ভ্রান্ত সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি বাদ দিয়ে মুক্ত অর্থনীতি নিয়ে এসেছিলেন।’
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘১৯ দফা কর্মসূচি ছিল সবচেয়ে বড় সংস্কার। আমরা এই জিনিসগুলো কেউ প্রচার করি না। আমাদের বড় বড় বুদ্ধিজীবীরা এটাকে সামনে আনবে না। কারণ তারা এখনও মাটি ও মানুষের কাছাকাছি যেতে পারেননি। আমি অনুরোধ করবো সবাইকে এই বিষয়গুলো দেখার জন্য।’
‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ বইটি সবাইকে পড়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বইটি যদি পড়েন তাহলে দেখবেন এটাই একটা ইতিহাস, এটাই একটা দিকনির্দেশনা, এটাই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনীতি। আমরা অনেকেই জানি না জবানবন্দীর মধ্যে কী আছে।’
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিগত ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সোচ্চার থাকা জাতীয়তাবাদী আদর্শের কয়েকজন অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট উপস্থিত ছিলেন, যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুম ও কারাগারে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে হুমায়ুন কবির, আবদুর রহমান নূর, রেজওয়ানুল হক, শিপন আহমেদ, ওয়াসিম ইফতেখারুল হক, কাজল রহমান বক্তব্য দেন। সবাই গুম অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতনের বর্ণনা দেন।
এসব ঘটনার উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘যারা লড়াই করেছেন, জেলে গেছেন, নির্যাতিত হয়েছেন, তারা এতটুকু তো পেয়েছেন, তাদের লড়াইয়ে দেশনেত্রী এখন মুক্ত, তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পরেছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, তিনিও মুক্ত হবেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যে তিনিও এসে আমাদের মাঝে উপস্থিত হবেন। আমাদের জনগণের, ছাত্র-যুবক, মহিলাদের সংগ্রাম বৃথা যায়নি, বৃথা যাবে না। এখানে যেন আমরা হীনম্মন্যতায় না ভুগি।’
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
সবার মধ্যে অনৈক্য তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে এই মুহূর্তে বিভক্তির রাজনীতি না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন ‘কিছু মানুষ যেন বেপরোয়া হয়ে গেছে। তারা দেশ ও জনগণকে বিভক্ত করবে, এমন বিভিন্ন রকম কথা বলছে উসকানি দিচ্ছে। আপনারা দয়া করে এগুলোর মধ্যে যাবেন না।’ ক্ষমতায় টিকে থাকার একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার ওপর লিখিত ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে অল্প কিছুদিনের মধ্যে তিনি দেশে ফিরবেন বলেও এ সময় জানান তিনি।
‘রাজনৈতিক নেতাকর্মী যে যেখানে কাজ করছেন, সবাইকে অনুরোধ করব, বিভাজন সৃষ্টি করবেন না’ দলের নেতাকর্মীদের এমন নির্দেশ দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৭ আগস্ট বেগম জিয়া বলেছিলেন, ধৈর্য ধরতে হবে, কোনো প্রতিহিংসা পরায়ণ কেউ হবেন না। এই বিষয়গুলো ধারণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালানোর পর থেকে আমরা কেন জানিনা নিজেদের মধ্যে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে পারছিনা। ঐক্যের জায়গাটাতে থাকতে পারছি না।’ ক্ষমতায় টিকে থাকতে অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘কি দুর্ভাগ্য, এখন যেটা শুরু হয়েছে এটা এতটুকু সুস্থ ব্যাপার না। ক্ষমতায় টিকে থাকতে হলে আগে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হবে।’
গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণমাধ্যমও কেমন যেন নেতিবাচক জিনিসগুলোকে তুলে ধরতে চায়।’ তিনি তাদের ইতিবাচক বিষয়গুলোকে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
সংস্কারের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সংস্কার তো আমরাই প্রথম শুরু করেছি। আমরাই প্রথম সংস্কারের কথা বলেছি। শহীদ জিয়াউর রহমান প্রথম সংস্কার করেছেন একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের দিকে। এই যে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বাংলাদেশে মাত্র ৪টা পত্রিকা চালু ছিল, সবগুলো পত্রিকা খুলে দিয়েছিলেন তিনি। বন্ধ অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছেন। ভ্রান্ত সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি বাদ দিয়ে মুক্ত অর্থনীতি নিয়ে এসেছিলেন।’
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘১৯ দফা কর্মসূচি ছিল সবচেয়ে বড় সংস্কার। আমরা এই জিনিসগুলো কেউ প্রচার করি না। আমাদের বড় বড় বুদ্ধিজীবীরা এটাকে সামনে আনবে না। কারণ তারা এখনও মাটি ও মানুষের কাছাকাছি যেতে পারেননি। আমি অনুরোধ করবো সবাইকে এই বিষয়গুলো দেখার জন্য।’
‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ বইটি সবাইকে পড়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বইটি যদি পড়েন তাহলে দেখবেন এটাই একটা ইতিহাস, এটাই একটা দিকনির্দেশনা, এটাই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনীতি। আমরা অনেকেই জানি না জবানবন্দীর মধ্যে কী আছে।’
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিগত ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সোচ্চার থাকা জাতীয়তাবাদী আদর্শের কয়েকজন অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট উপস্থিত ছিলেন, যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুম ও কারাগারে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে হুমায়ুন কবির, আবদুর রহমান নূর, রেজওয়ানুল হক, শিপন আহমেদ, ওয়াসিম ইফতেখারুল হক, কাজল রহমান বক্তব্য দেন। সবাই গুম অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতনের বর্ণনা দেন।
এসব ঘটনার উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘যারা লড়াই করেছেন, জেলে গেছেন, নির্যাতিত হয়েছেন, তারা এতটুকু তো পেয়েছেন, তাদের লড়াইয়ে দেশনেত্রী এখন মুক্ত, তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পরেছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, তিনিও মুক্ত হবেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যে তিনিও এসে আমাদের মাঝে উপস্থিত হবেন। আমাদের জনগণের, ছাত্র-যুবক, মহিলাদের সংগ্রাম বৃথা যায়নি, বৃথা যাবে না। এখানে যেন আমরা হীনম্মন্যতায় না ভুগি।’