মাইনাস টু’র আশায় যারা, তারা কখনো সফল হবে না
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিরাজনীতিকরণের মনগড়া তত্ত্ব দিয়ে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব নয়। শুক্রবার বিকেলে ঢাকার শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “যারা ‘মাইনাস টু’-এর মতো মনগড়া তত্ত্ব নিয়ে আশায় থাকে, তাদের সেই আশা কখনো পূরণ হবে না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আজ অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী ও নেতা। তাদের জনপ্রিয়তা এবং দলের ভিত্তি এত মজবুত যে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করা অসম্ভব।
আমীর খসরু বলেন, “২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেন সরকার, এমনকি এরশাদও মাইনাস টু তত্ত্ব বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এখন সেই পুরনো তত্ত্ব দিয়ে বিএনপিকে দমন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু জনগণ এসব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে। বাংলাদেশের মানুষ বিএনপির নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবর্তনের অপেক্ষায় রয়েছে।”
তিনি উল্লেখ করেন, “বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা। সেজন্য প্রথম পদক্ষেপ হবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। নির্বাচন দিয়ে শুরু হবে রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক সংস্কারের প্রক্রিয়া।”
গত ১৬ বছরের প্রবাসী আন্দোলনের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের অবদানের কথা উল্লেখ করেন আমীর খসরু। তিনি জানান, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে কয়েকজন নেতাকর্মী দেশে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান, সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাঈদ এবং আরও কয়েকজন।
তিনি বলেন, “এই নেতারা গত ১৬ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশের ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তারা হোয়াইট হাউজ, ক্যাপিটাল হিল এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সামনে প্রতিবাদ করেছেন। এই মানুষগুলোকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। তাদের পরিবারের অনেক সদস্য নির্যাতিত হয়েছেন, অনেকে সন্তান হারিয়েছেন। তাদের ত্যাগ বিএনপির আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করেছে।”
জুলাই-অগাস্টের গণআন্দোলনের পটভূমি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আমীর খসরু বলেন, “এই আন্দোলন একদিনে আসেনি। এটি গত ১৬ বছরের লক্ষাধিক মানুষের ত্যাগের ফসল। যারা দেশে ফিরেছেন, তাদের মতো অনেকে বিদেশে থেকেও আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তাদের অবদান ছাড়া এই আন্দোলন সম্ভব ছিল না।”
তিনি বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা এবং মনগড়া তত্ত্বের নিন্দা জানিয়ে বলেন, “গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের সংগ্রাম চলবে। বিএনপি জনগণের সঙ্গে ছিল, আছে এবং থাকবে। জনগণের সমর্থনে বাংলাদেশে একটি নতুন গণতান্ত্রিক অধ্যায় সূচিত হবে।”
এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালামসহ দলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, “রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক সংস্কার ছাড়া গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকর হবে না। আমরা সেই সংস্কারের পথে হাঁটছি, যার মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা হবে। বিএনপি অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন আরও ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছে। আমরা সেই লড়াইয়ে জনগণের পাশে আছি এবং থাকব।”
শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচি শেষে বিএনপির নেতারা পুনর্বার জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন এবং সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলার জন্য দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
মাইনাস টু’র আশায় যারা, তারা কখনো সফল হবে না
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিরাজনীতিকরণের মনগড়া তত্ত্ব দিয়ে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব নয়। শুক্রবার বিকেলে ঢাকার শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “যারা ‘মাইনাস টু’-এর মতো মনগড়া তত্ত্ব নিয়ে আশায় থাকে, তাদের সেই আশা কখনো পূরণ হবে না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আজ অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী ও নেতা। তাদের জনপ্রিয়তা এবং দলের ভিত্তি এত মজবুত যে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করা অসম্ভব।
আমীর খসরু বলেন, “২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেন সরকার, এমনকি এরশাদও মাইনাস টু তত্ত্ব বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এখন সেই পুরনো তত্ত্ব দিয়ে বিএনপিকে দমন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু জনগণ এসব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে। বাংলাদেশের মানুষ বিএনপির নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবর্তনের অপেক্ষায় রয়েছে।”
তিনি উল্লেখ করেন, “বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা। সেজন্য প্রথম পদক্ষেপ হবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। নির্বাচন দিয়ে শুরু হবে রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক সংস্কারের প্রক্রিয়া।”
গত ১৬ বছরের প্রবাসী আন্দোলনের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের অবদানের কথা উল্লেখ করেন আমীর খসরু। তিনি জানান, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে কয়েকজন নেতাকর্মী দেশে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান, সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাঈদ এবং আরও কয়েকজন।
তিনি বলেন, “এই নেতারা গত ১৬ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশের ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তারা হোয়াইট হাউজ, ক্যাপিটাল হিল এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সামনে প্রতিবাদ করেছেন। এই মানুষগুলোকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। তাদের পরিবারের অনেক সদস্য নির্যাতিত হয়েছেন, অনেকে সন্তান হারিয়েছেন। তাদের ত্যাগ বিএনপির আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করেছে।”
জুলাই-অগাস্টের গণআন্দোলনের পটভূমি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আমীর খসরু বলেন, “এই আন্দোলন একদিনে আসেনি। এটি গত ১৬ বছরের লক্ষাধিক মানুষের ত্যাগের ফসল। যারা দেশে ফিরেছেন, তাদের মতো অনেকে বিদেশে থেকেও আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তাদের অবদান ছাড়া এই আন্দোলন সম্ভব ছিল না।”
তিনি বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা এবং মনগড়া তত্ত্বের নিন্দা জানিয়ে বলেন, “গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের সংগ্রাম চলবে। বিএনপি জনগণের সঙ্গে ছিল, আছে এবং থাকবে। জনগণের সমর্থনে বাংলাদেশে একটি নতুন গণতান্ত্রিক অধ্যায় সূচিত হবে।”
এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালামসহ দলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, “রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক সংস্কার ছাড়া গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকর হবে না। আমরা সেই সংস্কারের পথে হাঁটছি, যার মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা হবে। বিএনপি অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন আরও ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছে। আমরা সেই লড়াইয়ে জনগণের পাশে আছি এবং থাকব।”
শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচি শেষে বিএনপির নেতারা পুনর্বার জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন এবং সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলার জন্য দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।