ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান
ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এবং নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ‘ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ার চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, “ভোটার তালিকা হলো সুষ্ঠু নির্বাচনের ভিত্তি। আসুন, আমরা সবাই মিলে জাতিকে একটি নির্ভুল এবং নির্ভেজাল ভোটার তালিকা উপহার দিই। উদ্দেশ্য মহৎ হলে কোনো চ্যালেঞ্জই বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।”
কর্মশালার আয়োজন ও উপস্থিতি
‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ প্রকল্পের আওতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর, নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন এবং সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আফরোজা খাতুন।
ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ার চ্যালেঞ্জ
ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ার চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো মনকে ঠিক করা। ১ শতাংশ ত্রুটিও যদি থাকে, সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। জনগণের পক্ষ থেকে কিছু ভুল হতেই পারে, কিন্তু দালালমুক্ত একটি ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা কঠিন কাজ নয়। সতর্ক থাকলে এটি সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “ভোটার তালিকা হালনাগাদের দায়িত্ব যারা পালন করবেন, তাদের সৎ ও নিষ্ঠাবান হতে হবে। দালালদের মাধ্যমে ভোটার তালিকায় কোনো ধরনের ত্রুটি বা অযাচিত প্রভাব পড়তে দেওয়া যাবে না। এনআইডি নিয়ে অতীতে অনেক বদনাম হয়েছে। এই খাতের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে আমাদের অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।”
ভালো নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি
নির্বাচন কমিশনার জানান, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য সঠিক এবং নির্ভুল ভোটার তালিকা অপরিহার্য। তিনি বলেন, “জাতির স্বার্থে একটি নিরপেক্ষ ও নির্ভেজাল নির্বাচন উপহার দিতে হবে। জনগণ আমাদের কাছ থেকে সেটাই প্রত্যাশা করে। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও এই দায়িত্ব পালন করতে হবে। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলে এটি সম্ভব।”
নতুন ভোটারদের অন্তর্ভুক্তি
কর্মশালায় নির্বাচন কমিশনার জানান, এই বছর ৩৫ লাখ নতুন ভোটার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, “ভালো নির্বাচন আয়োজনের পূর্বশর্ত একটি সুষ্ঠু ভোটার তালিকা প্রণয়ন। এই দায়িত্ব যদি সঠিকভাবে পালন না করা হয়, তবে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে নির্বাচনে।”
ভোটারদের প্রত্যাশা
আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “ভোটাররা নির্ভেজাল গণতন্ত্র চায়। তাদের প্রত্যাশা পূরণে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য আমাদের ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া ত্রুটিমুক্ত রাখতে হবে। এটি আমাদের ভাবমূর্তি রক্ষারও প্রধান উপায়।”
নির্বাচন কমিশনের এই কর্মশালা থেকে অংশগ্রহণকারীরা ভোটার তালিকা প্রণয়নের চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে উত্তরণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা ভোটার তালিকা তৈরিতে আধুনিক প্রযুক্তি এবং সতর্কতা অবলম্বনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
নির্বাচন কমিশন জাতিকে একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা উপহার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানানো হয়। এতে জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কর্মকর্তারা।
ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এবং নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ‘ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ার চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, “ভোটার তালিকা হলো সুষ্ঠু নির্বাচনের ভিত্তি। আসুন, আমরা সবাই মিলে জাতিকে একটি নির্ভুল এবং নির্ভেজাল ভোটার তালিকা উপহার দিই। উদ্দেশ্য মহৎ হলে কোনো চ্যালেঞ্জই বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।”
কর্মশালার আয়োজন ও উপস্থিতি
‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ প্রকল্পের আওতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর, নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন এবং সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আফরোজা খাতুন।
ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ার চ্যালেঞ্জ
ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ার চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো মনকে ঠিক করা। ১ শতাংশ ত্রুটিও যদি থাকে, সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। জনগণের পক্ষ থেকে কিছু ভুল হতেই পারে, কিন্তু দালালমুক্ত একটি ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা কঠিন কাজ নয়। সতর্ক থাকলে এটি সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “ভোটার তালিকা হালনাগাদের দায়িত্ব যারা পালন করবেন, তাদের সৎ ও নিষ্ঠাবান হতে হবে। দালালদের মাধ্যমে ভোটার তালিকায় কোনো ধরনের ত্রুটি বা অযাচিত প্রভাব পড়তে দেওয়া যাবে না। এনআইডি নিয়ে অতীতে অনেক বদনাম হয়েছে। এই খাতের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে আমাদের অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।”
ভালো নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি
নির্বাচন কমিশনার জানান, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য সঠিক এবং নির্ভুল ভোটার তালিকা অপরিহার্য। তিনি বলেন, “জাতির স্বার্থে একটি নিরপেক্ষ ও নির্ভেজাল নির্বাচন উপহার দিতে হবে। জনগণ আমাদের কাছ থেকে সেটাই প্রত্যাশা করে। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও এই দায়িত্ব পালন করতে হবে। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলে এটি সম্ভব।”
নতুন ভোটারদের অন্তর্ভুক্তি
কর্মশালায় নির্বাচন কমিশনার জানান, এই বছর ৩৫ লাখ নতুন ভোটার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, “ভালো নির্বাচন আয়োজনের পূর্বশর্ত একটি সুষ্ঠু ভোটার তালিকা প্রণয়ন। এই দায়িত্ব যদি সঠিকভাবে পালন না করা হয়, তবে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে নির্বাচনে।”
ভোটারদের প্রত্যাশা
আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “ভোটাররা নির্ভেজাল গণতন্ত্র চায়। তাদের প্রত্যাশা পূরণে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য আমাদের ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া ত্রুটিমুক্ত রাখতে হবে। এটি আমাদের ভাবমূর্তি রক্ষারও প্রধান উপায়।”
নির্বাচন কমিশনের এই কর্মশালা থেকে অংশগ্রহণকারীরা ভোটার তালিকা প্রণয়নের চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে উত্তরণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা ভোটার তালিকা তৈরিতে আধুনিক প্রযুক্তি এবং সতর্কতা অবলম্বনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
নির্বাচন কমিশন জাতিকে একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা উপহার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানানো হয়। এতে জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কর্মকর্তারা।