বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের দাবি জানালেন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগের মানবাধিকার নিয়ে লড়াই করার মানে ফ্যাসিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা করা। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করা যে কোনো মাধ্যমের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক পথসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নারায়ণগঞ্জ শাখা যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, সহমুখপাত্র আরেফিন মুহাম্মদ, যুগ্ম সদস্যসচিব আবদুল্লাহ্ আল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসানসহ আরও অনেকে।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “যেসব মিডিয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা বুদ্ধিজীবীরা ফ্যাসিবাদের পক্ষে কথা বলবেন, তাদের কলম আমরা ভেঙে দেব। ফ্যাসিবাদের পক্ষে প্রচারণা চালানো প্রতিটি মাধ্যমের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান কঠোর থাকবে।” তিনি আরও যোগ করেন, তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করলে আওয়ামী লীগের মতো ভবিষ্যতে অন্যরাও একই পরিণতির শিকার হবে।
তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির সমন্বয়ে পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠনের জন্য দালিলিক স্বীকৃতি দিতে হবে। জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র এখনই বাস্তবায়ন করতে হবে। আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যারা তাদের পুনর্বাসনের কথা বলবে, তারা ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে গণ্য হবে।”ন
পথসভায় হাসনাত সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “১৫ জানুয়ারি জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনো কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আপনারা যদি জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ হন, তবে উপদেষ্টার পদ ছেড়ে জনগণের কাতারে নেমে আসুন। আমরা যেমন আগস্টে রাস্তায় নেমে শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছি, তেমনই আবার আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করব।”
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, “মুজিববাদ দিয়ে বাংলাদেশের তরুণদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে। সাম্প্রতিক আন্দোলন প্রমাণ করেছে তরুণ প্রজন্ম কী করতে পারে। ঘোষণাপত্রে তরুণদের দাবিগুলো অন্তর্ভুক্ত না করলে বাংলাদেশ পুনর্গঠন অসম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে তরুণ প্রজন্ম তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। গণপরিষদ নির্বাচন ছাড়া আর কোনো যৌক্তিক নির্বাচন এ মুহূর্তে বাংলাদেশে নেই। তরুণদের ম্যান্ডেট ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তরুণদের পার্লামেন্টে নিয়ে না আসা পর্যন্ত লড়াই চলবে।
পথসভা শেষে নেতারা নগরের বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন। পরে মিনি পিকআপে করে সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁয়ে গণসংযোগ করেন। নেতারা জানান, জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের দাবি জানালেন
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগের মানবাধিকার নিয়ে লড়াই করার মানে ফ্যাসিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা করা। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করা যে কোনো মাধ্যমের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক পথসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নারায়ণগঞ্জ শাখা যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, সহমুখপাত্র আরেফিন মুহাম্মদ, যুগ্ম সদস্যসচিব আবদুল্লাহ্ আল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসানসহ আরও অনেকে।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “যেসব মিডিয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা বুদ্ধিজীবীরা ফ্যাসিবাদের পক্ষে কথা বলবেন, তাদের কলম আমরা ভেঙে দেব। ফ্যাসিবাদের পক্ষে প্রচারণা চালানো প্রতিটি মাধ্যমের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান কঠোর থাকবে।” তিনি আরও যোগ করেন, তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করলে আওয়ামী লীগের মতো ভবিষ্যতে অন্যরাও একই পরিণতির শিকার হবে।
তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির সমন্বয়ে পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠনের জন্য দালিলিক স্বীকৃতি দিতে হবে। জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র এখনই বাস্তবায়ন করতে হবে। আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যারা তাদের পুনর্বাসনের কথা বলবে, তারা ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে গণ্য হবে।”ন
পথসভায় হাসনাত সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “১৫ জানুয়ারি জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনো কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আপনারা যদি জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ হন, তবে উপদেষ্টার পদ ছেড়ে জনগণের কাতারে নেমে আসুন। আমরা যেমন আগস্টে রাস্তায় নেমে শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছি, তেমনই আবার আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করব।”
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, “মুজিববাদ দিয়ে বাংলাদেশের তরুণদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে। সাম্প্রতিক আন্দোলন প্রমাণ করেছে তরুণ প্রজন্ম কী করতে পারে। ঘোষণাপত্রে তরুণদের দাবিগুলো অন্তর্ভুক্ত না করলে বাংলাদেশ পুনর্গঠন অসম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে তরুণ প্রজন্ম তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। গণপরিষদ নির্বাচন ছাড়া আর কোনো যৌক্তিক নির্বাচন এ মুহূর্তে বাংলাদেশে নেই। তরুণদের ম্যান্ডেট ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তরুণদের পার্লামেন্টে নিয়ে না আসা পর্যন্ত লড়াই চলবে।
পথসভা শেষে নেতারা নগরের বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন। পরে মিনি পিকআপে করে সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁয়ে গণসংযোগ করেন। নেতারা জানান, জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।