ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যথাযথ দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা—এসব কাজ সম্পন্ন না করে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা অসম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
শুক্রবার দুপুরে পঞ্চগড় মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ মাঠে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এত রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে জনগণের চাওয়া কেবল একটি নির্বাচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। জনগণ প্রকৃত ন্যায়বিচার ও সমঅধিকার চায়। তবে স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর হলে কোনো সমস্যা নেই।
রংপুর বিভাগ ও বিশেষ করে পঞ্চগড় জেলার উন্নয়ন বৈষম্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সারজিস আলম। তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে এই অঞ্চলে খুব সামান্যই উন্নয়ন হয়েছে। কিছু রাস্তা নির্মাণ ছাড়া কোনো শিল্পকারখানা গড়ে ওঠেনি। অথচ এই অঞ্চলের মানুষের চাহিদা বেশি নয়, শুধু ন্যায্য অধিকারটুকু নিশ্চিত করাই সবচেয়ে জরুরি।
তিনি আরও বলেন, দেশের অনেক বিত্তবান ব্যক্তি, বিশেষ করে গার্মেন্টস মালিকরা সহযোগিতায় এগিয়ে এলে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে অনেক কিছু করা সম্ভব। আমরা পঞ্চগড়ের প্রতিটি ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে শীতবস্ত্র বিতরণ করব।
দেশের অনিয়ম ও বৈষম্য দূর করতে প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় কমিটি গঠনের পরিকল্পনার কথা জানান সারজিস আলম। তিনি বলেন, শুধু উন্নয়নই নয়, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতেও এসব কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আদম সুফি, পৌর বিএনপির সদস্যসচিব ও জেলা জজ আদালতের গভর্নমেন্ট প্লিজার আব্দুল বারী, অ্যাডভোকেট খলিল হোসেন, গড়িনাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দীপুসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
অনুষ্ঠানে সারজিস আলম পঞ্চগড় পৌরসভার প্রায় এক হাজার শীতার্ত মানুষের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন।
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যথাযথ দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা—এসব কাজ সম্পন্ন না করে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা অসম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
শুক্রবার দুপুরে পঞ্চগড় মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ মাঠে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এত রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে জনগণের চাওয়া কেবল একটি নির্বাচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। জনগণ প্রকৃত ন্যায়বিচার ও সমঅধিকার চায়। তবে স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর হলে কোনো সমস্যা নেই।
রংপুর বিভাগ ও বিশেষ করে পঞ্চগড় জেলার উন্নয়ন বৈষম্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সারজিস আলম। তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে এই অঞ্চলে খুব সামান্যই উন্নয়ন হয়েছে। কিছু রাস্তা নির্মাণ ছাড়া কোনো শিল্পকারখানা গড়ে ওঠেনি। অথচ এই অঞ্চলের মানুষের চাহিদা বেশি নয়, শুধু ন্যায্য অধিকারটুকু নিশ্চিত করাই সবচেয়ে জরুরি।
তিনি আরও বলেন, দেশের অনেক বিত্তবান ব্যক্তি, বিশেষ করে গার্মেন্টস মালিকরা সহযোগিতায় এগিয়ে এলে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে অনেক কিছু করা সম্ভব। আমরা পঞ্চগড়ের প্রতিটি ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে শীতবস্ত্র বিতরণ করব।
দেশের অনিয়ম ও বৈষম্য দূর করতে প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় কমিটি গঠনের পরিকল্পনার কথা জানান সারজিস আলম। তিনি বলেন, শুধু উন্নয়নই নয়, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতেও এসব কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আদম সুফি, পৌর বিএনপির সদস্যসচিব ও জেলা জজ আদালতের গভর্নমেন্ট প্লিজার আব্দুল বারী, অ্যাডভোকেট খলিল হোসেন, গড়িনাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দীপুসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
অনুষ্ঠানে সারজিস আলম পঞ্চগড় পৌরসভার প্রায় এক হাজার শীতার্ত মানুষের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন।