জাতীয় ঐক্য গঠনসহ গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনার জন্য বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন খেলাফত মজলিশের নেতারা।
বুধবার সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। অন্যদিকে খেলাফত মজলিশের ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের।
বৈঠক শেষে খেলাফত মজলিশের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের জানান, জাতীয় ঐক্য গঠনসহ সাতটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উভয় দল ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, “আমরা যারা আন্দোলন করছি, তাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহারসহ ৭টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একমত হয়েছি। এই ঐকমত্যের ভিত্তিতেই আমরা ভবিষ্যতে কাজ করব ইনশাআল্লাহ।”
তিনি আরও বলেন, “বিশেষ করে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা এবং জাতীয় পর্যায়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৫ অগাস্ট যে কারণে গণবিপ্লব হয়েছিল, সেটিকে ধরে রাখতে হবে। বিভেদ নয়, জাতীয় স্বার্থে ঐক্য গড়ে তোলাই এখন সবচেয়ে জরুরি।”
বৈঠকে জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ শাসনতন্ত্র আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপির ঐক্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, “এখানে উদ্বেগের কিছু নেই। বাংলাদেশে যারা রাজনীতি করেন, তারা নিজেদের মতাদর্শের মিল থাকলে একসঙ্গে কাজ করতে পারেন। এটি স্বাভাবিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ইতোমধ্যেই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে আছি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা দিয়েছেন, যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে, তারা ভবিষ্যতেও ঐক্যবদ্ধ থাকবে। জনগণের সেবা করার সুযোগ এলে আন্দোলনে যুক্ত সব দলকে নিয়েই আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করব।”
নজরুল ইসলাম খান বলেন, “বর্তমানে আমাদের মধ্যে একটি কার্যকর জোট রয়েছে। যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, তারা আমাদের আন্দোলনের অংশ ছিলেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন।"
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
জাতীয় ঐক্য গঠনসহ গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনার জন্য বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন খেলাফত মজলিশের নেতারা।
বুধবার সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। অন্যদিকে খেলাফত মজলিশের ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের।
বৈঠক শেষে খেলাফত মজলিশের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের জানান, জাতীয় ঐক্য গঠনসহ সাতটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উভয় দল ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, “আমরা যারা আন্দোলন করছি, তাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহারসহ ৭টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একমত হয়েছি। এই ঐকমত্যের ভিত্তিতেই আমরা ভবিষ্যতে কাজ করব ইনশাআল্লাহ।”
তিনি আরও বলেন, “বিশেষ করে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা এবং জাতীয় পর্যায়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৫ অগাস্ট যে কারণে গণবিপ্লব হয়েছিল, সেটিকে ধরে রাখতে হবে। বিভেদ নয়, জাতীয় স্বার্থে ঐক্য গড়ে তোলাই এখন সবচেয়ে জরুরি।”
বৈঠকে জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ শাসনতন্ত্র আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপির ঐক্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, “এখানে উদ্বেগের কিছু নেই। বাংলাদেশে যারা রাজনীতি করেন, তারা নিজেদের মতাদর্শের মিল থাকলে একসঙ্গে কাজ করতে পারেন। এটি স্বাভাবিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ইতোমধ্যেই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে আছি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা দিয়েছেন, যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে, তারা ভবিষ্যতেও ঐক্যবদ্ধ থাকবে। জনগণের সেবা করার সুযোগ এলে আন্দোলনে যুক্ত সব দলকে নিয়েই আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করব।”
নজরুল ইসলাম খান বলেন, “বর্তমানে আমাদের মধ্যে একটি কার্যকর জোট রয়েছে। যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, তারা আমাদের আন্দোলনের অংশ ছিলেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন।"