alt

সম্পাদকীয়

আমতলী পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলুন

: বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

প্রতিষ্ঠার পর আমতলী পৌরসভার ২৬ বছর পার হলেও শহরের ময়লা-আবর্জনার সঠিক ব্যবস্থাপনা এখনো অনিশ্চিত। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং ২০১৫ সালে প্রথম শ্রেণী পৌরসভায় উন্নীত হওয়া এই শহর আজও বর্র্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে পেছনের সারিতে দাঁড়িয়ে। পৌরসভায় বসবাসকারী ৩৩ হাজারের বেশি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এক বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে, কারণ শহরের ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য কোন স্থায়ী স্থাপনাও এখনো নির্মিত হয়নি।

আমতলীর আয়তন ৭.৭৫ বর্গ কিলোমিটার হলেও, শহরের জনসংখ্যা এবং প্রতিদিনের ১৬ টন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নেই। এর ফলে, শহরের ময়লা নদীতে ফেলা হচ্ছে, যা পরিবেশের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদীতে অবৈধভাবে ফেলা ময়লা এবং প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশ দূষণ করছে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমস্যা একদিকে যেমন পরিবেশগত ক্ষতির কারণ, অন্যদিকে তা মানব স্বাস্থ্যে ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। নদী থেকে পানি ব্যবহারকারী মানুষ চর্মরোগ, ডায়রিয়া এবং অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্থানীয়রা বলছেন, ময়লা-আবর্জনা ও দুর্গন্ধে জীবনযাপন অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে সচেতন নাগরিকদের একটাই দাবি- বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ।

পৌরসভায় বর্তমানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই পৌরসভা এতদিনে অন্তত একটি আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট স্থাপন করতে পারত, যা শহরের ময়লা-আবর্জনা রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে পরিবেশসম্মত স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন তৈরি করত। এর মাধ্যমে ময়লা থেকে সার উৎপাদন ও বায়োগ্যাস উৎপাদনও সম্ভব হতো, যা পরবর্তীতে একটি উৎসাহজনক অর্থনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করতে পারত।

আমতলী পৌরসভার পরিবেশগত সমস্যা থেকে শুরু করে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য একটি কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসেছে। আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিতে হবে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এই সমস্যার সমাধান দ্রুত উদ্যোগ নিচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই। নাগরিকদের দাবি বাস্তবায়ন এবং শহরের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়াই হবে প্রকৃত দায়িত্বশীলতার পরিচয়।

নদীভাঙনের শিকার শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে?

আবারও অপহরণের ঘটনা : সমাধান কী

সারের কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে

ভোটার তালিকা হালনাগাদ : কিছু প্রশ্ন

চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজাল ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

পাহাড়-টিলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ জরুরি

জলমহাল দখল : জেলেদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

সাংবাদিকদের ওপর হামলা : মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য হুমকি

শেরপুরের আলু চাষিদের সংকট

রেলের জমি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

চাঁদাবাজি থেকে বাজার ও সমাজের মুক্তি কোন পথে

বারোমাসি খালের দুর্দশা

এখনো কেন বিচারবহির্ভূত হত্যা

বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন

হরিপুর-চিলমারি তিস্তা সেতুর পাশে বালু তোলা বন্ধ করুন

ইটভাটা হোক পরিবেশবান্ধব

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার সংকট : দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

পানি সংকটে হাইমচরের কৃষকদের হতাশা

ঢাবিতে আবাসন সমস্যা, অধিক ভোগান্তিতে নারী শিক্ষার্থীরা

কুষ্ঠ রোগ : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

জনবল সংকটে অচল আইসিইউ: জনস্বাস্থ্যের করুণ চিত্র

ঢাবি ও অধিভুক্ত সাত কলেজ : সমঝোতার পথেই সমাধান

নওগাঁয় মেনিনজাইটিস টিকা সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নিন

হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দেরি কেন

জলবায়ু সংকট : শিশুদের শিক্ষা জীবনের জন্য বড় হুমকি

সয়াবিন তেলের সংকট : বাজার ব্যবস্থার দুর্বলতার প্রতিচ্ছবি

ভালুকার খীরু নদীর দূষণ বন্ধ করুন

নির্ধারিত মূল্যে ধান সংগ্রহ করা যাচ্ছে না কেন

লালপুরে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা

শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

আমতলীর ভ্যাকসিন সংকট দূর করুন

অতিরিক্ত সেচ খরচ: কৃষকের জীবনযাত্রায় বোঝা

অরক্ষিত রেলক্রসিং : সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি

সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন

পাহাড় রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণে ‘টম অ্যান্ড জেরি খেলা’র অবসান ঘটুক

শিক্ষার্থী আত্মহত্যার উদ্বেগজনক চিত্র

tab

সম্পাদকীয়

আমতলী পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলুন

বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

প্রতিষ্ঠার পর আমতলী পৌরসভার ২৬ বছর পার হলেও শহরের ময়লা-আবর্জনার সঠিক ব্যবস্থাপনা এখনো অনিশ্চিত। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং ২০১৫ সালে প্রথম শ্রেণী পৌরসভায় উন্নীত হওয়া এই শহর আজও বর্র্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে পেছনের সারিতে দাঁড়িয়ে। পৌরসভায় বসবাসকারী ৩৩ হাজারের বেশি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এক বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে, কারণ শহরের ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য কোন স্থায়ী স্থাপনাও এখনো নির্মিত হয়নি।

আমতলীর আয়তন ৭.৭৫ বর্গ কিলোমিটার হলেও, শহরের জনসংখ্যা এবং প্রতিদিনের ১৬ টন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নেই। এর ফলে, শহরের ময়লা নদীতে ফেলা হচ্ছে, যা পরিবেশের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদীতে অবৈধভাবে ফেলা ময়লা এবং প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশ দূষণ করছে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমস্যা একদিকে যেমন পরিবেশগত ক্ষতির কারণ, অন্যদিকে তা মানব স্বাস্থ্যে ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। নদী থেকে পানি ব্যবহারকারী মানুষ চর্মরোগ, ডায়রিয়া এবং অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্থানীয়রা বলছেন, ময়লা-আবর্জনা ও দুর্গন্ধে জীবনযাপন অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে সচেতন নাগরিকদের একটাই দাবি- বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ।

পৌরসভায় বর্তমানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই পৌরসভা এতদিনে অন্তত একটি আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট স্থাপন করতে পারত, যা শহরের ময়লা-আবর্জনা রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে পরিবেশসম্মত স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন তৈরি করত। এর মাধ্যমে ময়লা থেকে সার উৎপাদন ও বায়োগ্যাস উৎপাদনও সম্ভব হতো, যা পরবর্তীতে একটি উৎসাহজনক অর্থনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করতে পারত।

আমতলী পৌরসভার পরিবেশগত সমস্যা থেকে শুরু করে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য একটি কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসেছে। আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিতে হবে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এই সমস্যার সমাধান দ্রুত উদ্যোগ নিচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই। নাগরিকদের দাবি বাস্তবায়ন এবং শহরের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়াই হবে প্রকৃত দায়িত্বশীলতার পরিচয়।

back to top